মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (November)
Model Activity Task Class – 9
১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখো : ১×৩ = ৩
১.১ যে পর্বের প্রাণীদের মধ্যে কোলোব্লাস্ট কোশ দেখা যায় তা শনাক্ত করো
(ক) নিমাটোডা
(খ) নিডারিয়া
(গ) টিনোফোরা
(ঘ) মোলাস্কা
উত্তরঃ টিনোফোরা
১.২ নীচের বক্তব্যগুলি পড়ো এবং সঠিক বক্তব্যটি চিহ্নিত করো—
(ক) কনড্রিকথিস শ্রেণির অন্তর্গত প্রাণীদের অন্তঃকঙ্কাল তাস্থি দিয়ে তৈরি
(খ) টেরিডোফাইটার প্রধান উদ্ভিদদেহটি লিঙ্গধর
(গ) মোলাস্কা পর্বের অন্তর্গত প্রাণীদের দেহ খণ্ডিত
(ঘ) ব্যক্তবীজীর প্রধান উদ্ভিদদেহটি রেণুধর।
উত্তরঃ ব্যক্তবীজীর প্রধান উদ্ভিদদেহটি রেণুধর।
১.৩ যে জোড়টি সঠিক নয় সেটি নির্বাচন করো–
(ক) প্যারেনকাইমা কলা কোশান্তরন্ধ্র উপস্থিত।
(খ) আবরণী কলা – ভিত্তিপৰ্দা উপস্থিত
(গ) স্ক্লেরেনকাইমা কলা— জীবিত কোশ উপস্থিত
(ঘ) স্নায়ুকলা – স্নায়ুকোশ এবং নিউরোগ্লিয়া উপস্থিত
উত্তরঃ স্ক্লেরেনকাইমা কলা— জীবিত কোশ উপস্থিত।
১.৪ যে জোড়টি সঠিক নয় সেটি নির্বাচন করো
(ক) ফোটোফসফোরাইলেশন – ATP সংশ্লেষ
(খ) গ্লাইকোলাইসিস – পাইরুভেট সংশ্লেষ
(গ) ক্রেবস চক্র – সাইট্রিক অ্যাসিড সংশ্লেষ
(ঘ) অরনিথিন চক্র – অ্যামোনিয়া সংশ্লেষ।
উত্তরঃ অরনিথিন চক্র – অ্যামোনিয়া সংশ্লেষ।
১.৫ সঠিক বক্তব্যটি নিরূপণ করো—
(ক) লোহিত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে রোগজীবাণু ধ্বংসে সাহায্য করে।
(খ) বেসোফিল হিস্টামিন শোষণ করে অ্যালার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
(গ) লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি সংশ্লেষ করে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে
(ঘ) ইওসিনোফিল হেপারিন নিঃসরণ করে রক্তবাহে রক্ততঞ্চন রোধে সাহায্য করে
উত্তরঃ লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি সংশ্লেষ করে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
১.৬ প্রজাপতির রেচন অঙ্গটি চিহ্নিত করো
(ক) নেফ্রিডিয়া
(খ) ম্যালপিজিয়ান নালিকা
(গ) ফ্লেমকোশ
(ঘ) বৃক্ক
উত্তরঃ ম্যালপিজিয়ান নালিকা।
১.৭ বাষ্পমোচন সংক্রান্ত সঠিক বক্তব্যটি নিরূপণ করো
(ক) বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা হ্রাস পেলে বাষ্পমোচনের হার হ্রাস পায়।
(খ) বায়ুপ্রবাহ বৃদ্ধি পেলে বাষ্পমোচনের হার বৃদ্ধি পায়।
(গ) আলোর তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে বাষ্পমোচনের হার হ্রাস পায়।
(ঘ) পরিবেশের তাপমাত্রা হ্রাস পেলে বাষ্পমোচনের হার বৃদ্ধি পায়।
উত্তরঃ বায়ুপ্রবাহ বৃদ্ধি পেলে বাষ্পমোচনের হার বৃদ্ধি পায়।
১.৮ নীচের যে জোড়টি সঠিক তা স্থির করো–
(ক) সালোকসংশ্লেষের আলোক-নির্ভর দশা- ক্লোরোপ্লাস্টের স্ট্রোমা।
(খ) গ্লাইকোলাইসিস – কোশের মাইটোকন্ড্রিয়া।
(গ) রসের উৎস্রোত- জাইলেম কলা।
(ঘ) সালোকসংশ্লেষের আলোক-নিরপেক্ষ দশা – ক্লোরোপ্লাস্টের গ্রানা।
উত্তরঃ রসের উৎস্রোত- জাইলেম কলা।
১.৯ নীচের যে বিশেষ সংযোগী কলাকে ‘রিজার্ভ পেসমেকার’ বলা হয় সেটিকে শনাক্ত করো—
(ক) SA নোড
(খ) পারকিনজি তন্তু
(গ) হিজের বান্ডিল
(ঘ) AV নোড
উত্তরঃ SA নোড।
২. নীচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানগুলোতে উপযুক্ত শব্দ বসাও : ১×৩ = ৩
২.১ সূর্যালোকের ____________ কণা শোষণ করে ক্লোরোফিল সক্রিয় হয়।
উত্তরঃ অদৃশ্য ফোটন কণা বা কোয়ান্টাম।
২.২ A গ্রুপের ব্যক্তির রক্তে _____________ অ্যাগ্লুটিনিন থাকে।
উত্তরঃ বিটা (β)
২.৩ পেঁপে গাছের তরুক্ষীরে নামক উৎসেচক থাকে যা প্রোটিন পরিপাকে সাহায্য করে।
উত্তরঃ প্যাপাইন
৩. নীচের বাক্যগুলো সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করো : ১×৩ = ৩
৩.১ নানা জৈব অণু মিশ্রিত সমুদ্রের গরম জলকে বিজ্ঞানী সিডনি ফল্ম ‘হট ডাইলিউট সুপ’ নামে অভিহিত করেন।
উত্তরঃ মিথ্যা
৩.২ প্রোটিস্টা জাতীয় জীবদের কোশ প্রোক্যারিওটিক প্রকৃতির।
উত্তরঃ সত্য
৩.৩ নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষার, পেন্টোজ শর্করা ও ফসফেট মূলক নিয়ে নিউক্লিওটাইড গঠিত।
উত্তরঃ সত্য
৪. A- স্তম্ভে দেওয়া শব্দের সঙ্গে B-স্তম্ভে দেওয়া সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত শব্দটির সমতা বিধান করে উভয় স্তম্ভের ক্রমিক নং উল্লেখসহ সঠিক জোড়টি পুনরায় লেখো : ১×৩ = ৩
A স্তম্ভ B স্তম্ভ
৪.১ অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস (a) ট্র্যাকিয়া
৪.২ পতঙ্গ (b) রক্ষীকোশ
৪.৩ পত্ররন্দ্র (c) বিপাকীয় সমস্যাজনিত রোগ
(d) ফুলকা
উত্তরঃ
৪.১ অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস ☞ (c) বিপাকীয় সমস্যাজনিত রোগ
৪.২ পতঙ্গ ☞ (a) ট্র্যাকিয়া
৪.৩ পত্ররন্ধ্র ☞ (b) রক্ষীকোশ
(d) ফুলকা
৫. একটি শব্দে বা একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১✘ ৩=৩
৫.১ ভাজক কলার একটি কাজ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ভাজক কলা কোশের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ও উদ্ভিদের অঙ্গের বৃদ্ধি ঘটায় ।
৫.২ বিসদৃশ শব্দটি বেছে লেখো : পেপসিন, লাইপেজ, ট্রিপসিন, ইরেপসিন।
উত্তরঃ বিসদৃশ শব্দটি হল – লাইপেজ
৫.৩ নীচে সম্পর্কযুক্ত একটি শব্দ জোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও :
নাইট্রোজেনযুক্ত রেচন পদার্থ : কুইনাইন : নাইট্রোজেনবিহীন রেচন পদার্থ :
উত্তরঃ রজন
৬. দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও : 2 × ৭ = ১৪
৬.১ “এই পর্বের প্রাণীদের দেহ আংটির মতো ছোটো ছোটো খণ্ডক নিয়ে গঠিত” –পর্বটির নাম ও একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ পর্বটির নাম অ্যানিলিডা।
বৈশিষ্ট্যঃ রক্ত সংবহনতন্ত্র বদ্ধ প্রকৃতির। নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে।
উদাহরণ : কেঁচো, জোঁক।
৬.২ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার দুটি কাজ উল্লেখ করো।
উত্তরঃ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকার দুটি কাজ হল-
১) সাইটোপ্লাজম এর কাঠামো গঠন করে কোষের আয়তন বৃদ্ধি।
২) রাসায়নিক অনুর পরিবহন।
৬.৩ উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পরজীবীয় ও মিথোজীবীয় পুষ্টির দুটি পার্থক্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ
পরজীবিয় পুষ্টি :১)পুষ্টির জন্য সজীব পোষকের ওপর নির্ভরশীল ২)এরা পোষকের ক্ষতি করে নিজেরা উপকৃত হয় উদাহরণঃ স্বর্ণলতা কৃমি।
মিথোজীবীয় পুষ্টি : ১)পুষ্টির জন্য দুটি সহাবস্থানকারি বিভিন্ন জীব পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল।
২)এক্ষেত্রে উভয় জীব ই পরস্পরের দ্বারা উপকৃত হয়। কেউ কারো ক্ষতি করে না উদাহরণঃ লাইকেন
৬.৪ সৌরশক্তির আবদ্ধকরণ ও রুপান্তরে সালোকসংশ্লেষের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সৌর শক্তির আবদ্ধকরণ ও রুপান্তরে সালোকসংশ্লেষের ভূমিকা হল সূর্য হলো সকল শক্তির উৎস। একমাত্র সবুজ উদ্ভিদই পারে সৌরশক্তিকে আবদ্ধ করে বিভিন্ন জৈবনিক কার্যে ব্যবহার করতে সালোকসংশ্লেষের সময় সবুজ উদ্ভিদ সৌরশক্তি কে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে ATP অনুর মধ্যে আবদ্ধ করে। পরে সেই শক্তি উৎপন্ন খাদ্যের মধ্যে স্থৈতিক শক্তিরূপে সঞ্চিত হয়। প্রাণীকুল সবুজ উদ্ভিদ থেকে খাদ্যের মাধ্যমে শক্তি সংগ্রহ করে অর্থাৎ গৃহীত খাদ্য মধ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি প্রাণীদের দেহ কোষে খাদ্যের জারণ প্রক্রিয়ায় গতিশক্তি উৎপন্ন করে। এইভাবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবুজ উদ্ভিদ পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকে শক্তির যোগান দেয়।
৬.৫ মুখবিবরে কীভাবে শর্করাজাতীয় খাদ্যের পরিপাক হয় তা বিশ্লেষণ করো।
উত্তরঃ মুখবিবরে শর্করা জাতীয় খাদ্যের পরিপাক হয় চর্বণ বা ম্যাস্টিকেশন পদ্ধতিতে।
পদ্ধতিটি হলো–মুখবিবরে খাদ্যবস্তু গৃহীত হলে খাদ্যকে ভালো করে চর্বণ করতে হয়, ফলে খাদ্য বস্তু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে পরিণত হয়। চর্বণকালে খাদ্যের সঙ্গে লালা মিশ্রিত হয়, লালারসে উপস্থিত উৎসেচকে টায়ালিন সেদ্ধ শ্বেতসারকে মলটোজে পরিণত করে। খাদ্যের কণা যত সূক্ষ্ম হবে ততই তার পরিপাক সহজ হবে অর্থাৎ উৎসেচকের সঙ্গে খাদ্যের বিক্রিয়া ঘটবে। এরপর চর্বিত ও লালা মিশ্রিত খাদ্য বস্তু গলাধঃকরণ হলে খাদ্য পৌষ্টিক নালির বিভিন্ন অংশে স্থানান্তরিত হয়।
৬.৬ কোশ থেকে কোশে পরিবহণে ব্যাপনের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কোশ থেকে কোশে পরিবহণে ব্যাপনের ভুমিকা-
(i) পরিবেশ থেকে বিভিন্ন গ্যাসের (O2 , CO2 ইত্যাদি) গ্রহণ এবং কলাকোশে এদের বিনিময় ব্যাপনের মাধ্যমে ঘটে।
(ii) জল এবং জলে দ্রবীভূত সকল বস্তুই সজীব কোশে ব্যাপনের মাধ্যমে প্রবেশ করে।
(iii) খাদ্যের সরল অংশ ব্যাপনের মাধ্যমে কোশে প্রবেশ করে এবং বিপাকে অংশ নেয়।
(iv) বিপাকের ফলে উৎপন্ন রেচন পদার্থ ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোশ থেকে নির্গত হয়।
৬.৭ একাইনোডার্মাটা পর্বের দুটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তরঃ একাইনোডার্মাটা পর্বের দুটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হল-ক) সামুদ্রিক প্রাণীগুলির দেহের বহির্দেশ চুননির্মিত কাঁটা দ্বারা আবৃত থাকে।খ) দেহে জলসংবহনতন্ত্র থাকে।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো : ৫× ৩ = ১৫
৭.১ মানবদেহে যকৃতের অবস্থান ও দুটি ভূমিকা উল্লেখ করো। নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে জাইলেম ও ফ্লোয়েমের পার্থক্য নিরূপণ করো : ৩+২=৫
উত্তরঃ মানবদেহে যকৃতের অবস্থান:মানবদেহের সর্ববৃহৎ এই গ্রন্থিটি মধ্যচ্ছদার ঠিক নিচে উদরগহ্বর এর উপরের দিকে এবং ডান দিকে অবস্থিত।
মানবদেহে যকৃতের দুটি ভূমিকা :
1) পিত্ত নিঃসরণ করে ফ্যাট পরিপাকে সাহায্য করে।
2) বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিবডি গঠন করে।
বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে জাইলেম ও ফ্লোয়েমের পার্থক্য-
৭.২ “উদ্ভিদের দেহে কোনো নির্দিষ্ট রেচন অঙ্গ থাকে না”- তাহলে উদ্ভিদ কীভাবে রেচন পদার্থ ত্যাগ করে বলে তোমার মনে হয়? রক্ততঞ্চন কীভাবে ঘটে ব্যাখ্যা করো। ৩+২ = ৫
উত্তরঃ উদ্ভিদের দেহে নির্দিষ্ট কোনো রেচন অঙ্গ থাকে না । উদ্ভিদেরা নিম্নলিখিত উপায় রেচন পদার্থ ত্যাগ করে :
পত্রমোচন : বিভিন্ন পর্ণমোচী উদ্ভিদ যেমন শিরীষ, আমরা, শিমুল, সজনে ইত্যাদির পাতা বছরের নির্দিষ্ট সময়ে তাদের ত্বকে সঞ্চিত রেচন পদার্থ ত্যাগ করে বাকল বা ছাল ত্যাগের মাধ্যমে।
ফল মোচন : তেতুল, আপেল, লেবু ইত্যাদি ফলে সঞ্চিত জৈব অ্যাসিড রেচন পদার্থ হিসেবে ত্যাগ করে তাদের ফল ঝরে পড়ার মাধ্যমে।
রক্ত তঞ্চন এর তিনটি পর্যায় :
প্রথম ধাপ : আঘাতপ্রাপ্ত স্থান থেকে এবং ফেঁটে যাওয়া অনুচক্রিকা থেকে থ্রম্বোপ্লাস্টিন নিঃসৃত হয়।
এই থ্রম্বোপ্লাস্টিন ক্যালসিয়াম আয়নের সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রথ্রোমবিন নামক উৎসেচক গঠন করে।
দ্বিতীয় ধাপঃ প্রথ্রোম্বিনেজ উৎসচক হেপারিনের ক্রিয়া বিনষ্ট করে এবং প্রথ্রোমবিনকে থ্রম্বিনে পরিণত করে। প্রথ্রোম্বিনকে ফ্যাক্টর এক্স বলা হয়।
তৃতীয় ধাপঃ থ্রোম্বিন ফাইব্রিনোজেন এর সঙ্গে মিলিত হয়ে ফাইব্রিন গঠন করে। ফাইব্রিন জালক রক্তকণিকা গুলো আটকে যায় এবং জেলির মত তঞ্চিত রক্ত বা ক্লট গঠন করে।
৭.৩ মানবদেহে মূত্র সৃষ্টিতে নেফ্রনের ভূমিকা আলোচনা করো। মানবদেহে লসিকার দুটি ভুমিকা উল্লেখ করো। ৩+২=৫
উত্তরঃ মানবদেহে মূত্র সৃষ্টিতে নেফ্রনের ভূমিকা:বিজ্ঞানী কুসনীর মত অনুযায়ী সাধারণত তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে মানবদেহে মূত্র সৃষ্টি হয়। পদ্ধতিগুলি হলো (i) পরাপরিস্রাবন (ii) পুনর্বিশোষণ ও (iii) ক্ষরণ পদ্ধতি
(i)পরাপরিস্রাবন :- গ্লোমেরুলার রক্তচাপ ও রক্তের অভিস্রাবণ চাপের পার্থক্য বৃদ্ধিয় ধমনী থেকে জল,লবণ,শর্করা, ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড প্রভৃতিকে পরিস্রাবিত করে বাওম্যানস ক্যাপসুল বিবরে গ্লোমেরুলাসের পরিস্রাবক তরল হিসাবে জমা করে।
(ii) পুনর্বিশোষণ:- পরিস্রাবিত তরল বৃদ্ধিয় নালিপথে যাওয়ার সময় নালিগাত্রস্থ কোশ ওই তরল থেকে সম্ভাব্য পরিমাণ জলের সঙ্গে শর্করা, লবণ, অ্যামিনো অ্যাসিড ও কিছুটা ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড প্রভৃতি শোষণ করে দেহে ফিরিয়ে দেয়।
(iii) ক্ষরণ পদ্ধতি:- বিজাতীয় বস্তু ও বিভিন্ন মৌলের আয়ন ক্ষরিত হয়ে নালিকাশিত তরলে মিশ্রিত হয়। এই তরলই প্রকৃতপক্ষে মুত্র। মূত্র সংগ্রাহক নালিকার মাধ্যমে গবিনীতে প্রবেশ করে ও পরিশেষে মূত্রথলিতে সন্ঞ্চিত হয়।
লসিকার দুটি ভুমিকাঃ
i) কলারসের গঠন বজায় রাখে। কলারসে রক্ত থেকে আগত প্রোটিনের প্রধান অংশ লসিকা দ্বারা রক্তে ফিরে যায়, ফলে কলারসে প্রোটিনের ঘনত্ব বজায় থাকে।
ii) লসিকায় অবস্থিত লিম্ফোসাইট কোশ কলাকোশে প্রবিষ্ট ব্যাকটেরিয়া বা অন্য অ্যান্টিজেন ধ্বংস করে।
Thanks sir