অর্থনৈতিক জালিয়াতি ও সতর্কীকরণ : Banking Scams

অর্থনৈতিক ও ব্যাঙ্কিং জালিয়াতি:

প্রতিটি দেশের অর্থনীতিতে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ব্যাঙ্ক দেশের জনসাধারণকে অর্থনৈতিক পরিষেবা প্রদান করে। অর্থ ছাড়াও সরকার ও জনসাধারণের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ব্যাঙ্কের কাছে সুরক্ষিত থাকে। কিন্তু জালিয়াত ও তছরুপকারীদের দৌরাত্মে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশ শিথিল হয়ে পড়ছে।
ব্যাঙ্কিং বা অর্থনৈতিক জালিয়াতি হল ইচ্ছাকৃতভাবে ও অনৈতিক উপায়ে কোনাে ব্যাঙ্ক বা অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত অর্থ, সম্পত্তি ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা। এমনকী গােপন তথ্য চুরি করার ঘটনাও ব্যাঙ্কিং জালিয়াতির আওতায় পড়ে। এটি অবশ্যই একটি শাস্তিযােগ্য অপরাধ।
বিভিন্ন প্রকারের ব্যাঙ্কিং জালিয়াতি:
ফিশিং (Phishing):
এক্ষেত্রে প্রতারকরা গ্রাহকদের একটি নকল e-mail পাঠান।অনলাইনে বিভিন্ন সূত্র বা বিভিন্ন সােশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট থেকে গ্রাহকদের মােবাইল নম্বর সহজেই পাওয়া যায়। এই email টিতে বিবৃত থাকে যে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘Deactivated’ হয়ে গেছে এবং অ্যাকাউন্টটিকে পুনরায় চালু
করার জন্য তাদের নির্দিষ্ট লিংক-এ ক্লিক করে সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য যথা PIN নম্বর, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও অন্যান্য গােপন তথ্য প্রদান করতে হবে।
✹ কিছু কিছু ক্ষেত্রে e-mail-এর সূত্রটি যে নকল তা বােঝা যায় কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে লিঙ্কটি ক্লিক করতে বলা হয়, তার URL-টি ব্যাঙ্কের প্রকৃত ওয়েবসাইটের সঙ্গে প্রায় সদৃশ হয়।
ফিশিং e-mail-টি সাধারণত ভীতি প্রদর্শক হয়। সেখানে বলা থাকে ‘Your account will be deactivated or temporarily suspended.”
✹নকল e-mail-এ কিছু প্রতিশ্রুতির কথা বলা থাকে, যে গ্রাহকরা যদি কোনাে সমীক্ষা সম্পূর্ণ করেন বা কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেন তাহলে তারা আকর্ষণীয় পুরস্কার জেতার সুযােগ পাবেন।
✹মােবাইলে ‘Phishing sms’ পাঠিয়েও গ্রাহকদের প্রতারণা করা হয়।
স্পুফিং (Spoofing):
✹এটি হল নকল ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে জালিয়াতি করা।প্রতারকরা প্রকৃত ওয়েবসাইটের নাম, লােগাে, গ্রাফিক্স এমনকী কোড পর্যন্ত ব্যবহার করে থাকেন, যাতে নকল ওয়েবসাইটিকে আসল ওয়েবসাইটের থেকে পৃথক না করা যায়। এক্ষেত্রে নকল ওয়েবসাইটের URL টিও আসল ওয়েবসাইটের প্রায় সদৃশ হয়।
✹ ফিশিং-এর মতই এক্ষেত্রেও প্রতারকরা গ্রাহকদের গােপন তথ্য (ব্যাঙ্ক আকাউন্ট নম্বর, PIN নম্বর, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড নম্বর, cvv নম্বর ইত্যাদি) চেয়ে একটি e-mail পাঠায় যেখানে ‘Spoofed’ অর্থাৎ জাল ওয়েবসাইটটির লিঙ্ক থাকে।

ভিশিং (Vishing):
✹ ভিশিং প্রক্রিয়াটি ভয়েস ও ফিশিং প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে তৈরি। এক্ষেত্রে প্রতারকরা ‘voice over Internet protocol (volp)’ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে থাকেন। গ্রাহকদের ফোন কলের মাধ্যমে বােঝানাে হয় যে, ফোনটি কোনাে ব্যাঙ্ক থেকে করা হয়েছে এবং গ্রাহকের
অ্যাকাউন্ট ‘deactivated’ হয়ে যাওয়ায় ডেবিটক্রেডিট নম্বর,PIN, পাসওয়ার্ড, cvv ইত্যাদি তথ্য প্রদান করে অ্যাকাউন্টটি পুনরায় চালু করতে হবে।
✹ প্রতারকরা একটি অটোমেটেড ডায়ালার সেট করে ও একটি মােডেম ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের সমস্ত রেজিস্টারর্ড ফোন নম্বরে ফোন করে। যখন গ্রাহকরা সেই ফোনটি রিসিভ করেন একটি অটোমেটেড রেকডিং প্লে করা হয়, সেখানে বলা হয় গ্রাহকের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডটি ‘Locked’ হয়ে গেছে এবং গ্রাহকদের উক্ত নম্বরে ‘call back’ করে কার্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। ফোন নম্বরটির সঙ্গে একটি কলার আইডেন্টিফায়ার’ যুক্ত থাকে, যাতে মনে হয় কোনাে ব্যাঙ্ক বা অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকেই গ্রাহকদের ‘call’ টি করা হয়েছে।
✹যখন গ্রাহকরা ওই নম্বরটি পুনরায় ‘call’ করেন তখন একটি কম্পিউটার জেনারেটেড ভয়েস গ্রাহকদের নির্দেশ দেয় যে‘অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন’ জন্য 16 ডিজিটের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে হবে। এছাড়াও ক্রেডিট/ ডেবিট কার্ড নম্বর ও cvv নম্বর ও প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এইভাবে গ্রাহকরা নিজেদের অজান্তে প্রতারণার ফাঁদে পড়েন।
স্কিমিং (Skimming):
স্কিমিং কৌশলটি হল কার্ড সংক্রান্ত জালিয়াতি। গ্রাহকদের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড-এর ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ-এর সঞ্চিত তথ্য প্রতারকরা ‘স্কিমার(skimmer)-এর মাধ্যমে সংগ্রহ করে নেয়।
কার্ড স্কিমিং – কার্ড-এর সমস্ত তথ্য PIN নম্বর প্রতারকরা অন্য একটি জাল কার্ডে ‘এনকোড’ করে নেয় এবং অনৈতিক উপায়ে জাল কার্ডটি ব্যবহার করে টাকার লেনদেন করে।
ATM স্কিমিং— প্রতারকরা ATM মেশিনের সঙ্গে বিশেষত ATM এর কার্ড স্লটের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার ‘স্কিমিং ডিভাইস’ যুক্ত করে রাখে যেটি ATM কার্ডটিকে স্ক্যান করে কার্ডের সমস্ত তথ্য গােপন ভাবে সংগ্রহ করে নেয়। গ্রাহক PIN নম্বর দিলেই ওয়ারলেস স্কিমিং ডিভাইসটি সমস্ত তথ্য প্রতারকদের প্রেরণ করে দেয়।প্রতারকরা সেই তথ্য ব্যবহার করে জাল কার্ড বানায় বা অনলাইন শপিং এর মাধ্যমে জালিয়াতি করে।
EFTPOS স্কিমিং—একইরকম ভাবে EFTPOS মেশিনগুলিতেও জালিয়াতরা বিভিন্ন প্রকার ‘স্কিমিং ডিভাইস’ যুক্ত করে রাখে যা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে নেয়।
মানি মিউলস (Money Mules):
ফিশিং, ভিশিং, স্পুফিং অথবা স্কিমিং-এর মাধ্যমে জালিয়াতি করার পর প্রতারকদের এমন একটি অ্যাকাউন্টের প্রয়ােজন হয়, যেখানে তারা তাদের কালাে টাকা জমা রাখতে পারে। এখানেই ‘ Money mule’ এর প্রয়ােজন হয়। প্রতারকরা তাদের কালাে টাকা সাদা করার প্রয়ােজনে ‘Money mule’ দের নিজেদের কাজে নিয়ােগ করে।
‘Money mule’ নিয়ােগ করার জন্য প্রতারকরা e-mail, e-chat বিভিন্ন ওয়েবসাইট-এ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করে যে নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক/ম্যানেজমেন্ট পরিষেবা প্রদান করার জন্য কোনােরূপ বিশেষ দক্ষতার প্রয়ােজন নেই। প্রতারকরা তাদের জাল সংস্থায় কাজ করার জন্য নকল চুক্তিও সই করায়। নিয়ােগের পর, ‘মানি মিউল’ দের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানাে হয়। এগুলি সবই জালিয়াতির মাধ্যমে আহরণ করা টাকা। এরপর ‘মানি মিউল’দের নির্দেশ দেওয়া হয় সেই টাকা
বিদেশের কোনাে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করার জন্য। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি ‘wire transfer service charge’ কেটে নেওয়া হয়। পুরাে ব্যবস্থাটাই এমনভাবে পরিচালনা করা হয় যাতে কপটতা ধরা না পড়ে। যেহেতু ‘Money mules’ দের অ্যাকাউন্ট এই ঘটনার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে তারাও অজান্তেই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।
অ্যাডভান্স ফি স্ক্যামস (Advance fee seams): এক্ষেত্রে e-mail, sms বা ফোন কলের মাধ্যমে গ্রাহকদের জানানাে হয় যে বহুল পরিমাণ অর্থ তাদের প্রদান করা হবে, তারা যেন কোনাে মহৎ কাজে দেশের বাইরে স্থিত কোনাে সংস্থা যা দুঃস্থদের সেবায় নিয়ােজিত তাদেরকে সেই পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করে সাহায্য করেন। এই প্রকার।আর্থিক লেনদেনের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে নাম, ঠিকানা সহ তাদের
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য প্রদান করতে বলা হয় এবং তার সঙ্গে একটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফি-ও চাওয়া হয়।
মিথ্যা পুরস্কার / লটারি (Fake Prizes/ Lottery) :প্রতারকরা e-mail বা sms এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে দাবি করে যে তারা কোনাে বড় ধরনের পুরস্কার বা লটারি জিতেছেন। সেই পুরস্কারটি বা লটারির অর্থ পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের একটি চেক পাঠাতে হবে বা ক্রেডিট কার্ড তথ্য প্রদান করতে হবে। এর পাশাপাশি ট্যাক্স, শিপিং ও হ্যান্ডলিং চার্জের জন্যও গ্রাহকদের টাকা পাঠাতে হবে।

ইনহেরিট্যান্স স্ক্যামস (Inheritance scams): প্রতারকরা email এর মাধ্যমে গ্রাহকদের জানায় যে তারা কোনােভাবে উত্তরাধিকার
সূত্রে কোনাে সম্পত্তির অধিকারী হয়েছেন এবং এ ব্যাপারে বিশদ তথ্য জানতে হলে ফি ও সমস্ত ব্যাঙ্কিং তথ্য সহযােগে যােগাযােগ করতে হবে।

উইল স্ক্যাম / Will scams: প্রতারকরা e-mail, sms বা ফোন কলের মাধ্যমে জানায় যে গ্রাহকদের নামে কোনাে ব্যক্তি উইল করে রেখে গেছেন এবং সেই উইলটি দাবি করতে হলে অ্যাডভান্স ফি দিতে হবে।

  • সতর্কীকরণ ও বিশেষ কিছু পরামর্শ
    ১। ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড-এর PIN নম্বর ও তানলাইন ব্যাঙ্কিংএর পাসওয়ার্ড সর্বদা গােপন রাখতে হবে। PIN নম্বর ও পাসওয়ার্ড কোনাে জায়গায় লিখে না রাখাই ভাল।
    ২। ব্যাঙ্কিং তথ্য কোনাে ব্যক্তি বা ওয়েবসাইটের কাছে প্রকাশ করা উচিত নয়।
    ৩। শুধুমাত্র সরকারি নিয়ন্ত্রক যথা RBI, SEBI, NABARD ইত্যাদি দ্বারা স্বীকৃত অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানেই অর্থ গচ্ছিত রাখা উচিত।
    8 সমস্ত রকম ব্যাঙ্কিং ও অর্থনৈতিক জালিয়াতি সম্পর্কে অবহিত থাকা উচিত।
    ৫। অন্য কোনাে ব্যক্তিকে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে দেওয়া কখনই উচিত নয়।
    ৬। প্রতি মাসে ক্রেডিট কার্ড ও ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট চেক করা উচিত যাতে সন্দেহজনক অর্থনৈতিক লেনদেন নজরে আসে।
    ৭। ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড চুরি বা হারিয়ে গেলে 24 ঘণ্টার মধ্যে টোল ফ্রি নম্বরে বিষয়টি রিপাের্ট করা উচিত।
    ৮। সর্বদা সুরক্ষিত ওয়েবসাইট থেকেই আনলাইন শপিং করা উচিত।
    ৯। কোনাে অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষর করার সময় ভাল করে সমস্ত শর্তাবলি পড়ে দেখা উচিত।
    ১০। নকল e-mail, sms ও ফোন কল বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ও সেগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।
    ১১। সর্বদা ব্রাউজার ও অপারেটিং সিস্টেমের আধুনিক সংস্করণ করা উচিত।
    ১২। অজানা সূত্র থেকে কোনাে প্রােগ্রাম ডাউনলােড বা কোনাে লিঙ্কে ক্লিক করা উচিত নয়।
    ১৩। স্পাইওয়ার ও ম্যালওয়ার থেকে কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রতিনিয়ত স্ক্যান করা উচিত।
    ১৪। ‘Pop-up window blocker’ কে অ্যাক্টিভেট করা উচিত।
    ১৫। স্কিমিং-এর হাত থেকে রক্ষা পেতে ATM ও Pos মেশিনগুলিকে ব্যবহারের পূর্বে ভাল করে পর্যবেক্ষণ কার উচিত। ATM-এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করার বিষয়বস্তু হল –
    1) ATM casing
    2) card reader entry
    3) Pin pad buttons.
    ১৬। ফিশিং-এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে e-mail-এ কোনাে বানান ভুল আছে কিনা। সাধারণত, ফিশিং e-mail এ প্রেরকের নাম,ঠিকানা ও URL-এর বানানে ভুল থাকে। তাই যে কোনাে e-mail
    খুঁটিয়ে পড়তে হবে।

ATM Casing:
এক্ষেত্রে লক্ষ করতে হবে i) আলাদা কোনাে বস্তু যুক্ত করা আছে কি না ii) কেসিংটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না iii) কেসিং-এর প্যানেলগুলি একে অপরের সঙ্গে ঠিকমতাে ফিট করছে কি না iv)
কেসিং প্যানেলে যদি কোনাে ছিদ্র দেখা যায় তাহলে সেক্ষেত্রে গোপন ক্যামেরা থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
Card reader entry:
এক্ষেত্রে লক্ষ করতে হবে i) কার্ড রিড়ারের উপর আলাদা কোনাে বস্তু যুক্ত আছে কি না ii) কার্ড এনট্রি স্লটটি সােজা আছে কি না
iii) কার্ড রিডার এনট্রি-র আশেপাশে আঠা বা টেপ জাতীয় অবশিষ্টাংশ দেখা যাচ্ছে কি না।
Keypad
এক্ষেত্রে লক্ষ করতে হবে ।) কি প্যাডটি শিথিল কি না ও ATM-এর বাকি অংশের সঙ্গে ঠিকমতাে ফিট করছে কি না ii) ATM-এর অন্যান্য অংশের সঙ্গে কি প্যাডের রংটি আলাদা কি না।

EFTPOS স্কিমিং সাধারণত রেস্তোরাঁ ও শপিং আউটলেটে করা হয় সেখানে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডটি উপভােক্তার চোখের আড়ালে নিয়ে গিয়ে দু-বার ‘সােয়াইপ করা হয়- প্রথমবার বিল পেমেন্ট করার জন্য ও দ্বিতীয়বার স্কিমিং EFTPOS টার্মিনালের মাধ্যমে এবং যেটি উপভােক্তার কার্ড সংক্রান্ত সমস্ত গােপন তথ্য সংগ্রহ করে নেয়। সুতরাং, দোকানদারের ব্যবহার ভাল করে লক্ষ করেই এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।