
উদ্ভিদ হরমোন | Plant Hormone
Check Point : 1. হরমোন কাকে বলে ? 2. হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বয়কারী বা রাসায়নিক বার্তাবহ বলে কেনো ? 3. হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য 4. উদ্ভিদ হরমোন ও প্রাণী হরমোনের তিনটি পার্থক্য 5. অক্সিন হরমোনের উৎস ও কাজ 6. জিব্বেরেলিন এর উৎস ও কাজ 6. সাইটোকাইনিন এর উৎস ও কাজ 7. কৃত্রিম হরমোনের ভূমিকা
উদ্ভিদ হরমোন- জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর :
Q. মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করে কোন্ হরমোন ?
Ans : জিব্বেরেলিন।
Q. পত্রমোচন বিলম্বিত করে কোন হরমোন ?
Ans : সাইটোকাইনিন।
Q. পাতার ক্লোরোফিল বিনষ্টকরণ বিলম্বিত করে কোন্ হরমোন ?
Ans : সাইটোকাইনিন।
Q. কোন্ হরমোন ক্লোরোফিল উৎপাদনে সাহায্য করে ?
Ans : সাইটোকাইনিন।
Q. উদ্ভিদের জরা প্রতিরোধে সাহায্য করে কোন্ হরমোন ?
Ans : সাইটোকাইনিন।
Q. অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি হ্রাস ঘটিয়ে পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে কোন্ হরমোন ?
Ans : সাইটোকাইনিন।
Q. অগ্রস্থ প্রকটতা ঘটায় কোন্ হরমোন ?
Ans : অক্সিন।
Q. ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে কোন্ হরমোন ?
Ans : অক্সিন।
Q. বীজ বিহীন ফল সৃষ্টির পদ্ধতিকে পার্থেনোকার্পি বলে – কোন্ হরমোনের প্রভাবে এটি ঘটে?
Ans : অক্সিন।
Q. পর্বমধ্যগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি না ঘটিয়ে পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি ঘটায় কোন হরমোন ?
Ans : জিব্বেরেলিন।
Q. 2,4-D এর পুরো নাম কী?
Ans : 2 – 4 ডাই ক্লোরোফেনক্সি অ্যাসেটিক অ্যাসিড।
Q. বংশগত খর্বতা দূর করে কোন্ হরমোন ?
Ans : জিব্বেরেলিন।
Q. শাখা কলম থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টিতে সাহায্য করে কোন্ হরমোন ?
Ans : IBA ( ইন্ডোল বিউটারিক অ্যাসিড) এবং NAA ( ন্যাপথক্সি অ্যাসেটিক অ্যাসিড) ।
Q. অপরিনত ফলের মোচন রোধ করতে সাহায্য কোন্ হরমোন ?
Ans : 2,4-D
Q. আগাছানাশক হিসাবে সাহায্য করে কোন্ হরমোন ?
Ans : 2,4-D
Q. কোন্ হরমোন প্রয়োগ করে পরাগযোগ ও নিষেক ছাড়াই উদ্ভিদের বীজবিহীন ফল সৃষ্টি করা হয়?
Ans : NAA এবং IBA
Q. কোন্ হরমোন ফুল ফোটাতে সাহায্য করে?
Ans : ফ্লোরিজেন ।
Q. একটি গ্যাসীয় হরমোনের নাম লেখো যেটি ফল পাকাতে সাহায্য করে ?
Ans : ইথিলিন ।
উদ্ভিদ হরমোন|Plant Hormone
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর :
Q. হরমোন কাকে বলে ?
Ans : যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ বিশেষ কোশসমষ্টি বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিকোশ থেকে নিঃসৃত হয়ে দেহতরলের মাধ্যমে বা ব্যাপন ক্রিয়ায় উৎপত্তিস্থল থেকে দূরে বাহিত হয়ে কোশের বিপাকীয় ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, তাকে হরমোন বলে ।
Q. হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বয়কারী বা রাসায়নিক বার্তাবহ বলে কেনো ?
Ans : জীবদেহে নির্দিষ্ট স্থান থেকে হরমোন উৎপন্ন হয়ে ধীরে ধীরে সারা দেহের কোশগুলিতে ছডিয়ে পড়ে এবং কোশের বিক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে ৷ এভাবে জীবদেহে রাসায়নিক সংযোগ গড়ে তোলার জন্য হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বয়কারী বা রাসায়নিক বার্তাবহ বলে।
Q. হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
বিষয় | হরমোন | স্নায়ুতন্ত্র |
কাজের প্রকৃতি | রাসায়নিক সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে | ভৌত সমন্বায়ক হিসেবে কাজ করে |
কাজের গতি | ক্রিয়া মন্থর | ক্রিয়া দ্রুত |
কাজের স্থায়িত্ব | কাজের স্থায়িত্ব সুদুর প্রসারী | কাজের স্থায়িত্ব তাৎক্ষনিক |
পরিণতি | কাজের পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় | কাজের পর কোনো পরিবর্তন হয় না । |
Q. উদ্ভিদ হরমোন ও প্রাণী হরমোনের তিনটি পার্থক্য লেখো । অথবা, উদ্ভিদ ও প্রাণী হরমোনের তিনটি করে বৈশিষ্ট্য লেখো ।
বিষয় | উদ্ভিদ হরমোন | প্রাণী হরমোন |
ক্ষরণস্থান | বর্ধনশীল অঙ্গের ভাজক কলা | অন্তংক্ষরা গ্রন্থি |
পরিবহন | কলারসের মাধ্যমে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পরিবাহিত হয় | রক্ত ও লসিকার মাধ্যমে বাহিত হয়় |
ব্যবহার | প্রয়োগ ব্যাপক | প্রয়োগ কম |
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর :
Question : অক্সিনের উৎস কী ? অক্সিন হরমোনের তিনটি কাজ বর্ণনা করো।
অথবা , অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণ এবং ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে এবং বীজবিহীন ফল সৃষ্টিতে অক্সিন হরমোন এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লেখো।
Ans : অক্সিনের উৎস : অক্সিন উদ্ভিদের অগ্রস্থ ভাজক কলায়, বিশেষ করে কাণ্ডের অগ্রভাগে, ভ্ৰূণমুকুলাবরণী বা কোলিওপটাইল, ভ্রূণ, কচিপাতা বা বর্ধনশীল পাতার কোশে উৎপন্ন হয়।
উদ্ভিদদেহে অক্সিনের প্রধান ভূমিকাগুলি হল :
অগ্রস্থ প্রকটতা (Promotes apical dominance) : অক্সিন অগ্রস্থ প্রকটতা ঘটায় এবং পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। অমুকুলের উপস্থিতিতে কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়, কিন্তু অমুকুল কেটে বাদ দিলে কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ঘটে এবং শাখাপ্রশাখা সৃষ্টি হয়। এই শারীরবৃত্তীয় ঘটনাকে অগ্রস্থ প্রকটতা বলে।
ফলের বৃদ্ধি (Fruit growth) : পরাগযােগ ও নিষেকের পর ডিম্বাশয়ে অক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই কারণে ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়। অক্সিনের প্রভাবে নিষেক ছাড়াও ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়। এই ধরনের ফল বীজবিহীন হয়। অক্সিনের প্রভাবে বীজবিহীন ফল সৃষ্টি হওয়াকে পার্থেনােকোপি (parthenocarpy) বলে।
ট্রপিকচলন নিয়ন্ত্রণ (Control of tropic movement) :
অক্সিন উদ্ভিদের ফোটোট্রপিক এবং জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। কাণ্ডে অক্সিন আলাের উৎসের বিপরীত দিকে বেশিমাত্রায় সঞ্চিত হয়ে ওই অঞ্চলের কোশগুলির দ্রুত বিভাজন ঘটায়, ফলে উদ্ভিদের কাণ্ড আলাের উৎসের দিকে বেঁকে যায়। মূল স্বল্প পরিমাণ অক্সিনে বেশি অনুভূতিশীল। মুলের ক্ষেত্রে আলাের উৎসের দিকে কোশগুলিতে অক্সিনের উপস্থিতি খুব কম, সেইজন্য ওই অঞ্চলের কোশ দ্রুত বিভাজিত হয়। ফলে মূল আলাের বিপরীত দিকে বেঁকে যায়। অধিক ঘনত্বের অক্সিনে বিটপ অনুভূতিশীল এবং কম ঘনত্বের অক্সিনে মুল অনুভূতিশীল। কাণ্ডের অগ্রভাগে অধিক ঘনত্বের অক্সিন এবং মূলের অগ্রভাগে কম ঘনত্বের অক্সিন সঞ্জিত হয়ে যথাক্রমে কাণ্ড ও মূলের অগ্রভাগে দ্রুত কোশ বিভাজন ঘটায়। ফলে বিটপ অভিকর্ষের বিপরীতে এবং মূল অভিকর্ষের অনুকূলে অগ্রসর হয়। অক্সিন এইভাবে উদ্ভিদের জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে।


উদ্ভিদ হরমোন|Plant Hormone
Question : জিব্বেরেলিনের উৎস লেখো। জিব্বেরেলিন হরমোন এর দুটি কাজ লেখো ।
অথবা, মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ এবং পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে জিব্বেরেলিন হরমোনের ভূমিকা লেখো ।
Ans: জিব্বেরেলিনের উৎস: জিব্বেরেলিন উদ্ভিদের পরিপক্ক বীজে, মুকুল, অঙ্কুরিত চারাগাছ, বীজপত্র, বর্ধিষু পাতায় সংশ্লেষিত হয়।
জিব্বেরেলিনের প্রধান ভূমিকাগুলি হল :
মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ (Breaks seed and bud dormancy) :জিব্বেরেলিন বীজ ও মুকুলের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করতে সক্ষম। যে সমস্ত বীজে ও মুকুলে স্বল্প অন্তৰ্জনিষ্নু (endogenous) জিব্বেরেলিন থাকে, সেক্ষেত্রে বহির্জনিষ্নু (exogenous) জিব্বেরেলিন প্রয়ােগে বীজ ও মুকুলের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করা যায়।
পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি (Elongation of internodes) : জিব্বেরেলিনের প্রভাবে উদ্ভিদের পর্বমধ্যগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি না ঘটে দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি ঘটে। ফলে উদ্ভিদদেহ অতিশয় লম্বা হয়।
Question : সাইটোকাইনিনের উৎস কী ? সাইটো কাইনিনের তিনটি কাজ লেখো ।
অথবা, পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি , পত্রমোচন বিলম্বিত করতে এবং ক্লোরোফিল বিনষ্টিকরণ প্রতিরোধে কাইনিনের ভূমিকা লেখো।
Ans: সাইটোকাইনিনের উৎস : সাইটোকাইনিন উদ্ভিদের ফল ও সস্যে সংশ্লেষিত হয়। নারকেলের তরল সস্যে (ডাবের জলে), টম্যাটোর রসে, ভুট্টার সস্যে অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়।
সাইটোকাইনিনের প্রধান ভূমিকাগুলি হল :
পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটানাে (Promotes lateral bud): সাইটোকাইনিন উদ্ভিদের অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি হ্রাস ঘটিয়ে পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। তাই গাছের শাখাপ্রশাখা সৃষ্টি হয়ে গাছ ক্রমশ গম্বুজাকার ধারণ করে।
পত্রমােচন বিলম্বিত করা (Delay leaf senescence) : সাইটোকাইনিনের প্রভাবে পত্রমােচন বিলম্বিত হয় এবং পাতার ক্লোরােফিল নষ্ট হওয়াকে রােধ করে। ফলে গাছ অনেকদিন চির সবুজ থাকে, অর্থাৎ উদ্ভিদের বার্ধক্য বিলম্বিত হয়।
ক্লোরোফিল বিনষ্টিকরণ প্রতিরোধ : কাইনিন ক্লোরোফিল উৎপাদনে সাহায্য করে । এছাড়া কাইনিন ক্লোরোফিল বিনষ্টিকরণ প্রতিহত করে উদ্ভিদের জরা রোধ করে।
Question: উদ্ভিদের কৃত্রিম হরমােন বা সিন্থেটিক হরমােনের ভূমিকা উল্লেখ করাে।
Ans: সংশ্লেষিত হরমােন বা কৃত্রিম হরমােন : যেসব হরমােন ল্যাবরেটরিতে সংশ্লেষ করা হয় তাদের সংশ্লেষিত বা সিন্থেটিক হরমােন বা কৃত্রিম হরমােন বলে।
কৃত্রিম হরমােনের ভূমিকা :
শাখা কলম থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি : গােলাপ, আম, পেয়ারা, লেবু প্রভৃতি উদ্ভিদের শাখা কলমে কৃত্রিম অক্সিন (IBA, NAA) প্রয়ােগ করে তাড়াতাড়ি মূল উৎপন্ন করানাে যায়।
অপরিণত ফলের মোচন রােধ : কৃত্রিম অক্সিন (2,4-D) স্প্রে করে গাছের মুকুল, কচি ফল ইত্যাদির ঝরে পড়া রােধ করা যায়। আম গাছের মুকুল আসার পর কৃত্রিম অক্সিন স্প্রে করলে অপরিণত ফলের মােচন রােধ করা যায়।
আগাছানাশক হিসেবে কৃত্রিম অক্সিনের ভূমিকা : ধান, গম, যব প্রভৃতি শস্যক্ষেত্রে কৃত্রিম অক্সিন (2, 4-D) ব্যবহার করে আগাছা নির্মূল করা হয়।
বীজবিহীন ফল সৃষ্টি : কৃত্রিম অক্সিন (IAA, IBA) প্রয়ােগ করে পরাগযােগ ও নিষেক ছাড়াই উদ্ভিদের বীজবিহীন ফল সৃষ্টি করা হয়। যেমন—পেঁপে, কলা, টম্যাটো, পেয়ারা ইত্যাদি।
আরও দেখুন : চলন ( জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় )
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর :
উদ্ভিদ হরমোন|Plant Hormone
Question : নিম্নলিখিত বিষয়গুলো কোন হরমোনের সাথে সম্পর্কিত :
ক ) পরাগযোগ ও নিষেক ছাড়াই বীজবিহীন ফলসৃষ্টি খ ) ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ গ ) শাখা কলম থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি ঘ) অপরিণত ফলের মোচন রােধ ঙ) আগাছানাশক হিসেবে চ) অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি হ্রাস ছ) পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটানাে জ) পত্রমােচন বিলম্বিত করা ঝ) ক্লোরোফিল বিনষ্টিকরণ প্রতিরোধ ঞ ) পত্রমােচন বিলম্বিত করা ট ) লিঙ্গ নির্ধারণ ঠ ) বংশগত খর্বতা দূর ড) পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঢ) মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ ণ) অগ্রস্থ প্রকটতা ত ) পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত থ) জরা প্রতিরোধে সাহায্য করে দ ) ফল পাকাতে সাহায্য ধ) ফুল ফোটাতে সাহায্য ।
Ans : ক) পরাগযোগ ও নিষেক ছাড়াই বীজবিহীন ফলসৃষ্টি : অক্সিন (IAA ও IBA)
খ ) ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ : অক্সিন
গ ) শাখা কলম থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি : IBA ও NAA
ঘ) অপরিণত ফলের মোচন রােধ : 2, 4-D
ঙ) আগাছানাশক হিসেবে : 2, 4-D
চ) অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি হ্রাস : সাইটোকাইনিন।
ছ) পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটানাে : সাইটোকাইনিন।
জ) পত্রমােচন বিলম্বিত করা : সাইটোকাইনিন।
ঝ) ক্লোরোফিল বিনষ্টিকরণ প্রতিরোধ : সাইটোকাইনিন।
ঞ) পত্রমােচন বিলম্বিত করা : সাইটোকাইনিন।
ট ) লিঙ্গ নির্ধারণ: জিব্বেরেলিন।
ঠ ) বংশগত খর্বতা দূর : জিব্বেরেলিন
ড) পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি : জিব্বেরেলিন।
ঢ) মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ : জিব্বেরেলিন।
ণ) অগ্রস্থ প্রকটতা : অক্সিন।
ত ) পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত : অক্সিন।
থ) জরা প্রতিরোধে সাহায্য করে : সাইটোকাইনিন।
দ ) ফল পাকাতে সাহায্য : ইথিলিন ।
ধ) ফুল ফোটাতে সাহায্য : ফ্লোরিজেন।
Question : কৃষির ফলন বৃদ্ধি ও আগাছা সমস্যা সমাধানে সংশ্লেষিত উদ্ভিদ হরমোনের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো ।
Ans: কৃষির ফলন বৃদ্ধি: কৃত্রিম অক্সিন (2,4-D) স্প্রে করে গাছের মুকুল, কচি ফল ইত্যাদির ঝরে পড়া রােধ করা যায়। এর ফলে কৃষির ফলন বৃদ্ধি পায়।
আগাছা সমস্যা সমাধান : ধান, গম, যব প্রভৃতি শস্যক্ষেত্রে কৃত্রিম অক্সিন (2, 4-D) ব্যবহার করে আগাছা নির্মূল করা হয়।
Question: উদ্ভিদের বীজ ও পর্বমধ্যের ওপর জিব্বেরেলিন হরমোন কী কী প্রভাব ফেলে তা ব্যাখ্যা করো ।
Ans: বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ: জিব্বেরেলিন বীজ ও মুকুলের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করতে সক্ষম। যে সমস্ত বীজে ও মুকুলে স্বল্প অন্তৰ্জনিষ্নু (endogenous) জিব্বেরেলিন থাকে, সেক্ষেত্রে বহির্জনিষ্নু (exogenous) জিব্বেরেলিন প্রয়ােগে বীজ ও মুকুলের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ করা যায়।
পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি (Elongation of internodes) : জিব্বেরেলিনের প্রভাবে উদ্ভিদের পর্বমধ্যগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি না ঘটে দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি ঘটে। ফলে উদ্ভিদদেহ অতিশয় লম্বা হয়।
You must be logged in to post a comment.