
শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তির ভূমিকা| শিক্ষাবিজ্ঞান| The Role of Technology In Eduation| শিক্ষায় প্রযুক্তি বিদ্যার গুরুত্ব
Question : শিক্ষা প্রযুক্তির উদ্দেশ্যগুলি উল্লেখ করাে।
Ans : ব্যক্তি ও সমাজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে প্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে কম্পিউটারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষা প্রযুক্তির উদ্দেশ্য :
শিক্ষা প্রযুক্তির উদ্দেশ্য গুলি কে দু-ভাগে ভাগ করা যায়ㅡ (A) ম্যাক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি, (B) মাইক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি।
ম্যাক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি :
ম্যাক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি বলতে বােঝায় ব্যাপক শিক্ষামূলক লক্ষ্যের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রযুক্তির ভূমিকা। এর প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হলㅡ
✶সমাজের প্রত্যাশা ও চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষামূলক লক্ষ্য চিহ্নিতকরণ।
✶শিক্ষার কৌশল এবং কাঠামাে স্থির করা।
✶মূল্যবােধ এবং বিজ্ঞানের সঙ্গে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী পাঠক্রম নির্ধারণ করা।
✶মানবসম্পদ এবং শিক্ষার উদ্দেশ্য অনুযায়ী উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণ করা।
✶শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার উন্নতির জন্য বিশেষ শিক্ষণ মডেল তৈরি করা।
✶শিখন পরিবেশের বিভিন্ন বাধাগুলি চিহ্নিত করা এবং প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
✶অবহেলিত অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বিশেষ বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযােগ করা।
✶একইসময়ে বহুসংখ্যক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছােনাে।
✶স্বশিখনের সুযােগ সৃষ্টি করা।
✶পরিকল্পনা, প্রয়ােগ ও মূল্যায়ন-সহ সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে সুপরিচালিত করা।
মাইক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি :
মাইক্রো স্তরের উদ্দেশ্যাবলি বলতে বােঝায় বিশেষ শ্রেণি শিক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রযুক্তির ভূমিকা। সেগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ㅡ
✶শিক্ষার্থীদের শিক্ষামূলক চাহিদা ও বৈশিষ্ট্যগুলিকে চিহ্নিত করা ও সেগুলি বিশ্লেষণ করা।
✶শ্রেণিকক্ষের বিশেষ উদ্দেশ্যগুলি স্থির করা।
✶শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করা এবং সেগুলিকে ক্রম অনুযায়ী বিন্যস্ত করা।
✶শিক্ষণ-শিখন উপকরণ এবং সম্পদগুলির চিহ্নিতকরণ।
✶শিক্ষা প্রক্রিয়ার বিভিন্ন উপব্যবস্থা যেমন— শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষণ-শিখন উপকরণ, বিষয়বস্তু, পদ্ধতি প্রভৃতি শনাক্তকরণ।
✶শিক্ষার্থীর আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রেণি শিক্ষণের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা।
✶শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ার সংশােধন, আচরণ পরিমার্জন এবং শিক্ষকদের যথাযথ ফিডব্যাক সরবরাহ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
Question : শিক্ষায় প্রযুক্তি বিজ্ঞানের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। অথবা,Question : শিক্ষায় প্রযুক্তিবিদ্যার গুরুত্ব আলােচনা করাে।
Ans : শিক্ষা সম্পর্কিত বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞান, শিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য যে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানের ব্যবহার করা হয়, তাকে বলে শিক্ষাপ্রযুক্তি সুতরাং শিক্ষা-শিখন প্রক্রিয়া বিকশিত করার জন্য শিক্ষা প্রযুক্তির প্রয়ােজন। বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অবদানগুলি হল—
(১) শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে প্রযুক্তিবিজ্ঞান: ব্যক্তি ও সমাজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণে প্রযুক্তিবিদ্যা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যেমন— বর্তমানে কম্পিউটার সবক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, প্রাথমিক স্তর থেকেই শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য বলে মনে করা হয়।
(২) একঘেয়েমি দূরীকরণ: সাধারণ ধর্মের তাত্ত্বিক শিক্ষার মাধ্যমে পঠন পাঠনে শিক্ষার্থীর মনে একঘেয়েমি আসে। কিন্তু শিক্ষায় প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার শিক্ষার্থীকে এই একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দেয়, ফলে শিক্ষা হয় স্বতঃস্ফূর্ত, শিক্ষার্থীকে আনন্দ দান করে।
(৩) আত্মতৃপ্তি: যে শিক্ষায় যথার্থ তৃপ্তি নেই, সে শিক্ষায় যথার্থ ফল নেই। আত্মতৃপ্তিই আত্মবিকাশের সহায়ক। প্রযুক্তিবিদ্যা আত্মতৃপ্তি আনে, এটি মানুষের দেহে-মনে, চিন্তায়, রুচিতে অভিনবত্বের প্রকাশ ঘটায়।
(৪) সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ: সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানাের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যা বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছে।
(৫) শিক্ষা প্রশাসন ক্ষেত্রে প্রযুক্তি : নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তার, ভরতির আবেদনপত্র, ভরতি তালিকা প্রস্তুত ইত্যাদি ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রযুক্তির ব্যবহার সক্রিয়।
(৬) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া: আজকের দিনে শিক্ষা প্রযুক্তি মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন— MCQ বা বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নের উত্তরপত্র দেখা, মার্কশিট তৈরি করা, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ প্রভৃতি।
সুতরাং উল্লিখিত দিকগুলি ছাড়াও প্রযুক্তিবিদ্যা শিক্ষায় শিক্ষকের সাহায্য করে। এটি নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনমত সাহায্য করে ও গবেষণা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে।
The Role of Technology In Education

Question : শিক্ষা প্রযুক্তির সুবিধাগুলি লেখো।
Ans : Technology শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দ Technic’ থেকে যার অর্থ হল শিক্ষা বা দক্ষতা এবং ‘Logia’ যার অর্থ হল বিজ্ঞান বা অধ্যয়ন। বর্তমান সমাজ প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে দ্রুত এগিয়ে চলেছে, আধুনিককালে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গবেষণা ও ব্যবসা বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের বিশেষ সুবিধা আছে।
(১) সক্রিয়তা সৃষ্টি : সক্রিয়তা ছাড়া শিখন কার্যকরী হয় না। প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে শিক্ষায়, শিক্ষার্থীকে সর্বদাই সক্রিয় থাকতে হয়। সক্রিয়তা শিক্ষার্থীকে সাফল্যলাভে সাহায্য করে।
(২) ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান : সাধারণ পাঠদানের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যভিত্তিক শিক্ষাদান সম্ভব হয় না। কিন্তু প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ভিত্তিক শিক্ষাদান সম্ভব হয়। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ মানসিক ক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষালাভ করতে সক্ষম হয়।
(৩) প্রেষণা সঞ্চার : প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ইতিবাচক মনােভাব গঠনে সহায়ক। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়, প্রেষণার সার ঘটে। এই প্রেষণা কাজে উৎসাহ জোগায়।
(৪) অনুশীলনের সুযােগ : প্রযুক্তিবিদ্যা তথা কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনুশীলনের সুযােগ পায়। শিক্ষার্থীরা প্রয়ােজন অনুসারে নিজস্ব সময় অনুযায়ী অনুশীলন করতে পারে, ফলে শিক্ষণীয় বিষয় অধিক ত্রুটিমুক্ত হয়।
(৫) সমস্যাসমাধান মূলক শিখন : প্রযুক্তিবিদ্যার সাহায্যে শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা নিজেরাই সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়। এতে তারা আত্মতৃপ্তিও লাভ করে।
(৬) আত্মপ্রত্যয় সৃষ্টি : প্রযুক্তিভিত্তিক শিখনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধান করতে পারে। ফলে তাদের মধ্যে আত্মপ্রত্যয় বা আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয়।
সুতরাং বর্তমানে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা বিশেষ জনপ্রিয়। বিভিন্ন মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় প্রযুক্তি বিশেষ সাহায্য করে, যা অন্য মাধ্যমে সম্ভব নয়।
শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তির ভূমিকা
Also Read: Google Adsense Tips
Question : হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের নীতিগুলি লেখো।
Ans : শিক্ষা প্রযুক্তিবিদ্যার মূল দুটি স্তম্ভ হল Hardware ও Software প্রযুক্তি। এই দুটি স্তম্ভ শিক্ষার প্রসার উন্নয়ন ঘটায় এবং শ্রেণিকক্ষে বাস্তব পরিবেশ তৈরি করে, শিক্ষণ-শিখনে সাহায্য করে এবং এর ফলে শিক্ষার্থীদের ধারণা স্পষ্টভাবে গড়ে ওঠে।
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের নীতি
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের নীতি নির্দিষ্ট কতকগুলি উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে সেগুলি হল –
(১) পর্যাপ্ততার নীতি (Principle of Availability) : হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে-কোনাে বিষয় সম্পর্কে দ্রুত তথ্য পাওয়া যায়।
(২) বৈচিত্র্যের নীতি (Principle of Variety) : শিখনের বিষয় সমূহ বিভিন্ন বৈচিত্র্যের সঙ্গে উপস্থাপন করা যায় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কৌশল দ্বারা।
(৩) উদ্দেশ্য সফলের নীতি (principle of success) : হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার-এর মাধ্যমে কোনাে বিষয়ে উদ্দেশ্য থির রেখে কাজ করা হয়, যা সফলতা আনতে সাহায্য করে।
(৪) শিক্ষাগত চাহিদা (Educational Demand) : হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যক্তি ও সমাজের শিক্ষাগত চাহিদা পূরণ করে।
(৫) শিক্ষণ ও নির্দেশনা (Teaching & Instruction) : শিক্ষণ ও নির্দেশনার কাজে সহায়তার জন্য মনােবিজ্ঞানসম্মত আচরণমূলক নীতির প্রয়ােগ করা হয়।
(৬) সাশ্রয়ের নীতি (Principle of Economy) : এই প্রযুক্তির মাধ্যমে শ্রম ও খরচ উভয়ই অনেক সাশ্রয় হয়। কম খরচে কম পরিশ্রমে কর্ম সম্পাদন করা যায়।
(৭) স্বয়ং প্রযুক্তির নীতি (Principle of Self Preparation) : প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নিজে নিজেই শিক্ষালাভ করে স্বয়ং শিখন সম্পন্ন করে নিজের ক্ষমতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়।
(৮) শিক্ষণ-শিখন মডেল (Teaching Learning Model) : সফটওয়্যার প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ভব হয়েছে সাইবারনেটিক মনােবিদ্যা, শিক্ষণ-শিখন তত্ত্ব, শিক্ষণ মডেল, মাইক্রো শিক্ষণ প্রভৃতি।
(৯) সরলতার নীতি (Principle of Simplicity) : শিখনের জন্য অনেক জটিল বিষয়কে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের দ্বারা সরল করে উপস্থাপন করা হয়েছে। এইসমস্ত নীতিগুলির উপর ভিত্তি করে বর্তমানে শিক্ষা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সুফল এনেছে।
শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তির ভূমিকা
Question : হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্য লেখো । অথবা, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মধ্যে তুলনা করো।
Ans: হার্ডওয়্যার
(১) কম্পিউটার সিস্টেম যে সকল যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে গঠিত হয়, তাদের বলে হার্ডওয়্যার।
(২) এটি শিক্ষণ সহায়ক উপকরণের সঙ্গে যুক্ত। যেমন— রেডিয়াে, স্লাইড, কম্পিউটার ইত্যাদি।
(৩) নির্দেশনার কাজে ইলেকট্রিক এবং যান্ত্রিক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
(৪) মাদারবোর্ড, হার্ডডিস্ক, কী-বোর্ড, মাউস ইত্যাদি হল হার্ডওয়্যার।
(৫) চিপ, মাইক্রোচিপ ইত্যাদির প্রয়ােগের মাধ্যমে হার্ডওয়্যার এর উন্নতি ঘটানাে যায়।
(৬) হার্ডওয়্যার যন্ত্রাংশগুলি স্পর্শের মাধ্যমে অনুভব করা যায়।
সফটওয়্যার
(১) কম্পিউটার হার্ডওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে যে প্রোগ্রাম কম্পিউটারে চলে তাই হল সফটওয়্যার।
(২) এটি প্রোগ্রাম শিখন, টাস্ক বিশ্লেষণ, পুনঃশিখন মূল্যায়ন ইত্যাদি কার্যের সঙ্গে যুক্ত।
(৩) সফটওয়্যার প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আচরণমূলক নীতি ব্যবহৃত হয়।
(৪) এমএস-অফিস, এমএস পাওয়ার পয়েন্ট, এমএস এক্সেল ইত্যাদি হল সফটওয়্যার।
(৫) সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং-এর আধুনিকীকরণের মাধ্যমে উন্নতি ঘটানাে যায়।
(৬) সফটওয়্যারকে স্পর্শ করা যায় না।The Role of Technology In Eduation.
শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তির ভূমিকা
Question: হার্ডওয়্যার প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী? অথবা,হার্ডওয়্যার প্রযুক্তির সুবিধা গুলি লেখো ।
Ans: শিক্ষা প্রযুক্তি বিজ্ঞানের মূল স্তম্ভের মধ্যে একটি হল হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি। যান্ত্রিক বিষয়বস্তু ও যন্ত্রপাতির প্রয়ােগ হল হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি। কম্পিউটার সিস্টেমের যান্ত্রিক বা ভৌত অংশকে বলে হার্ডওয়্যার। এই হার্ডওয়্যার প্রযুক্তির অন্তর্গত হল শ্রবণ ভিওিক উপকরণ, দর্শনভিত্তিক উপকরণ। নীচে হার্ডওয়্যার প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করা হল –
(১) শ্রবণ-দর্শন উপকরণের ব্যবহার : হার্ডওয়্যার প্রযুক্তিতে শ্রবণ-দর্শনভিত্তিক উপকরণ, চার্ট, মডেল, স্লাইড, অডিও ক্যাসেট, নানান সূক্ষ্ম গ্যাজেট, শিক্ষণ মেশিন, কম্পিউটার ইত্যাদির সাহায্যে শিক্ষা অতি সহজে শিক্ষার্থীর কাছে পৌছে দেওয়া যায়।
(২) ব্যক্তি বৈষম্য অনুযায়ী শিক্ষণ : এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যক্তিগত বৈষম্য অনুযায়ী শিখন সম্ভব হয়।
(৩) একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান : হার্ডওয়্যার প্রযুক্তির সাহায্যে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা যায়।
(৪) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়ােগ : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতির একটি প্রধান প্রয়োগ হল হার্ডওয়্যার প্রযুক্তি।
(৫) ফিডব্যাক প্রদান : শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়ায় এই প্রযুক্তিতে প্রয়ােজনীয় feedback সরবরাহ করা হয়।
(৬) স্বল্প খরচ : এই প্রযুক্তিতে অনেক কম খরচে একসঙ্গে অনেককে শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়।
(৭) সাফল্য আনয়ন : শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা অনুযায়ী সর্বাধিক সাফল্য অর্জনে সহায়তা করে।
(৮) স্বয়ং শিখন : হার্ডওয়্যার প্রযুক্তিতে স্বয়ং শিখনের সুযােগ অনেক বেশি।
শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তির ভূমিকা
Question: ওভারহেড প্রজেক্টর (OHP) বলতে কী বােঝাে? এর সুবিধা লেখো।
Ans: যে যন্ত্রের সাহায্যে টাংস্টেন হ্যালােজেন আলােক উৎস থেকে আসা আলােকরশ্মি দর্শকের মাথার উপর দিয়ে বিপরীত দিকে কোনাে বিশেষ স্বচ্ছ পর্দাতে প্রতিফলিত হওয়ার ফলে, লিখিত বিষয়বস্তুর (চিত্র) যে বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব ফুটে ওঠে, সেই বিশেষ ব্যবস্থাপনাকে ওভারহেড প্রজেক্টর বলা হয়। ফোকাস করার জন্য নব ঘুরিয়ে প্রােজেকশন হেডটি ওঠানামা করিয়ে পর্দায় ফোকাস ঠিক রাখা হয়।
OHP-এর সুবিধা
(১) কম খরচ : সমস্তরকম প্রােজেকশন থেকে OHP সহজসরল ও কম ব্যয়যুক্ত।
(২) বড়াে করে বিষয়বস্তুর উপস্থাপন : স্বচ্ছ পর্দার মাধ্যমে যে-কোনাে লেখা, ম্যাপ, অঙ্কন ইত্যাদি অনেক বড়াে করে উপস্থাপন করা যায়।
(৩) মুখােমুখি আলােচনা : OHP স্বচ্ছ পর্দায় দেখানাের ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মুখােমুখি আলােচনা করতে পারে।
(৪) বিভিন্ন শিক্ষণ পদ্ধতি : আলােচনা পদ্ধতি, বক্তৃতা পদ্ধতি ইত্যাদি বিভিন্ন শিক্ষণ পদ্ধতিতে OHP-এর ব্যবহার হয়।
(৫) স্বচ্ছ পর্দার পুনর্ব্যবহার : স্বচ্ছ পর্দাটি মুছে পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব হয়।
(৬) আলােকযুক্ত ঘর : ঘর অন্ধকার করে এটি ব্যবহার করার প্রয়ােজন নেই, আলােকিত ঘরে এটা ব্যবহার করা সম্ভব।
(৭) শ্রেণিকক্ষে ব্যবহারের সুবিধা : আগে থাকতে স্বচ্ছ পর্দায় ড্রইং করে, স্কেচ করে বা লিখে বিষয়বস্তুকে তৈরি করে রাখা যায়, যার ফলে শ্রেণিকক্ষে দেখাতে সুবিধা হয়।
(৮) বিভিন্ন শিক্ষার্থীর জন্য : বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থীর জন্য এই ওভারহেড প্রজেক্টর ব্যবহার করা সম্ভব হয়। বিভিন্ন মানসিক ক্ষমতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য এটি খুব সহজবোধ্য।
(৯) আগ্রহ বৃদ্ধি : শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। বিষয় সম্পর্কে তারা আকর্ষণ অনুভব করে। সুতরাং ওভারহেড প্রজেক্টরের মাধ্যমে একইসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে সারসংক্ষেপ ভিত্তিক বিজ্ঞান নির্ভর এবং বাস্তবসম্মত শিক্ষাদান করা সম্ভব হয়।
Question: শিক্ষাক্ষেত্রে দূরদর্শনের ভূমিকা আলােচনা করাে।
Ans: দূরদর্শন হল শিক্ষাপ্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। দূরদর্শন শিক্ষার্থীর দক্ষতা ও উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে।
(১) বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান : দূরদর্শন যেসব তথ্য শিক্ষার্থীর সামনে উপস্থাপন করে তার দ্বারা সে বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান অর্জন করতে সমর্থ হয়। জ্ঞান অর্জনে তাকে গল্প বস্তুর সাহায্য নিতে হয় না, বিষয়বস্তু মূর্তভাবে উপস্থাপিত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থী বাস্তব ধারণা গঠন করতে পারে।
(২) জনশিক্ষার সহায়ক : জনশিক্ষার ক্ষেত্রে দূরদর্শনের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযােগ্য। এই মাধ্যমের সাহায্যে খুব সহজেই জনগণকে সচেতন করা যায়। এই মাধ্যমের সাহায্যে জনগণকে বিভিন্ন রােগ, কৃষিকাজ, সাক্ষরতা ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত করা যায়।
(৩) প্রেষণা সঞ্চার : দূরদর্শনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রেষণার সঞ্চার ঘটে। এই প্রেষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সক্রিয় ভাবে পাঠ গ্রহণে উৎসাহিত হয়।
(৪) গভীর প্রভাব : শিক্ষার্থীদের উপর দূরদর্শনের প্রভাব খুব গভীর। এই মাধ্যমে বিনোদনমূলক শিল্প ধর্মী মূল্য একযােগে শিক্ষার্থীর মনের উপর স্থায়ীভাবে প্রভাব বিস্তার করে। এই ধরনের স্থায়ী ও গভীর প্রভাবের ফলে শিক্ষার্থী বিষয়বস্তু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করে।
(৫) মূর্ত অভিজ্ঞতা : দূরদর্শন যে-কোনাে বিষয়বস্তুকে সজীব এবং বাস্তব করে দর্শকের সামনে হাজির করতে পারে।
শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তির ভূমিকা
Question: শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষণযন্ত্রের ভূমিকা লেখো ।
Ans: শিক্ষণ যন্ত্র স্বয়ং শিখনের একটি কৌশল। শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিক্ষণযন্ত্রের একটি মিথস্ক্রিয়া ঘটে, যা সময় এবং অর্থ উভয়েরই সাশ্রয় ঘটায়।
টিচিং মেশিন বা শিক্ষণযন্ত্রের কার্যকারিতা : অধ্যাপক সিডনি প্রেসি ও বি এফ স্কিনারের মতে –
(১) পরিকল্পিত প্রশ্ন কৌশলে মেশিন স্থাপন করা হয়।
(২) শিক্ষার্থীরা বােতাম টিপে উত্তর দেয়।
(৩) শিক্ষার্থীদের উত্তরের সাপেক্ষে মেশিন ঠিক বা ভুল এই ফিডব্যাকটি জানান দেয় ব্যাখ্যা-সহ।
টিচিং মেশিনের মৌলিক নীতিগুলি হল –
(১) টিচিং মেশিন শিক্ষার্থীদের সক্রিয়তা বাড়ায়।
(২) বিষয়বস্তুকে যুক্তিযুক্তভাবে প্রায় ত্রুটিহীনভাবে বিন্যাস করা হয়।
(৩) বিদ্যুৎ-এর সাহায্যে বা হাতের সাহায্যে চালানাে যায় এই মেশিন।
(৪) টিচিং মেশিনের সাহায্যে পাঠদান ব্যক্তিকেন্দ্রিক।
শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। তার ফলে তারা বিমূর্ত ধারণাটিকে অনুধাবন করতে সমর্থ হয় এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে।
সুতরাং দূরদর্শন এমন একটি মাধ্যম যা শ্রবণ-দর্শন-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মনে স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। বিষয়বস্তুর সামগ্রিক জ্ঞান লাভ করতে পারে। অন্যদিকে শিখন যন্ত্র শিক্ষার্থীর মনােযােগ আকর্ষণ করে বিষয়বস্তুকে আরও সাবলীল ও সহজ করে তােলে।
শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তির ভূমিকা
Question: কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশসমূহ আলােচনা করাে।
Ans: কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ
(১) ইনপুট ডিভাইস (Input Device) : এটি হল কম্পিউটারে তথ্য জোগান দেওয়ার যন্ত্র। যেমন কী-বাের্ড, লাইট পেন, মাউস, জয়স্টিক ইত্যাদি।
কাজ :
এই ডিভাইস ইনপুট নির্দেশ গ্রহণ করে।
প্রাপ্ত নির্দেশসমূহকে কম্পিউটারে ভাষায় পরিবর্তন করে।
নির্দেশিত বিষয়গুলি কন্ট্রোল ইউনিট (CU)-এর মাধ্যমে মূল মেমােরিতে (RAM) পাঠায়।
(২) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (processing Device or CPU) : প্রকৃতপক্ষে এটি কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। ডেটা প্রসেসিং বা গণনা করা ছাড়াও কম্পিউটারের ভিতরের এবং কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত যন্ত্রাংশকে নিয়ন্ত্রণ করে এই ইউনিট। এটি ইনপুট ডিভাইস থেকে তথ্য গ্রহণ করে বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার ফলাফল দেয়। CPU প্রধান দুটি অংশে বিভক্ত যথাক্রমে (a) CU বা কন্ট্রোল ইউনিট (Control Unit), (b) ALU বা এরিথমেটিক অ্যান্ড লজিক ইউনিট (Arithmetic & Logic Unit)।
কাজ :
বিশ্লেষণের পর প্রাপ্ত ফলাফলগুলিকে CPU, আউটপুট যন্ত্র প্রেরণ করে।
CPU-এর মধ্যে অবস্থিত কন্ট্রোল ইউনিট (CU) কম্পিউটারের সমস্ত কার্যপ্রণালীকে নিয়ন্ত্রণ করে।
সমস্ত গাণিতিক বিষয়, সমস্যার সমাধান করে ALU।
(৩) মেমোরি ইউনিট (Memory or Storage Device) : কম্পিউটারে যে তথ্য প্রবেশ করানো হয়, তা সঞ্চিত থাকে তার মেমোরি ইউনিটে। কম্পিউটারের মেমোরি কে দুটি ভাগে ভাগ করা যায় (a) প্রাইমারি মেমোরি এবং (b) সেকেন্ডারি মেমোরি।
(a) প্রাইমারি মেমোরি (Primary Memory) : এটি কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি যা IC (Integrated Circuit)-এর ভিত্তিতে বানানাে হয়। এই মেমোরি অস্থায়ী প্রকৃতির। বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে এই মেমােরির তথ্য মুছে যায়। উদাহরণ— RAM, Register এবং ROM হল প্রাইমারি মেমোরি। তবে ROM ব্যতিক্রমী প্রাইমারি মেমোরি, যেক্ষেত্রে তথ্যগুলি মুছে যায় না।
(b) সেকেন্ডারি মেমোরি (Secondary Memory) : চৌম্বকীয় বা অপটিক্যাল মাধ্যমে বানানাে হয় এই অনুদ্বায়ী (Non Volatile) মেমােরি, যা বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলেও তথ্য অবিকৃত থাকে, মুছে যায় না। উদাহরণ : হার্ড ডিস্ক, ফ্লপি ডিস্ক, সিডি, ডিভিডি, ব্লু-রে ডিস্ক ইত্যাদি।
(৪) আউটপুট ডিভাইস (output Device) : এটি কম্পিউটারের ফলাফল পরিবেশনের যন্ত্র। মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার ইত্যাদি আউটপুট ডিভাইসের উদাহরণ। ইনপুট ডিভাইস থেকে তথ্যগুলি CPU-তে বিশ্লেষিত হওয়ার পর আউটপুটে প্রেরিত হয় এবং আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ফলাফল পাওয়া যায়। যেমন মনিটর, স্পিকার, প্রিন্টার, বারকোড, প্লটার ইত্যাদি।
কাজ :
ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে গৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের পর মনিটর পর্দায় প্রদর্শন করে।
তথ্যসমূহ রূপান্তরের পর প্রিন্টারের সাহায্যে ছাপার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তির ভূমিকা

Question: শিক্ষা ক্ষেত্রে শ্রবণ নির্ভর শিক্ষা-উপকরণের ভূমিকা লেখো।
Ans: শিক্ষা ক্ষেত্রে শ্রবণ, দৃশ্য উপকরণগুলির উপস্থাপন শিক্ষণীয় বিষয়কে আরও সহজবােধ্য করে তােলে। শিক্ষণীয় বিষয় সমূহকে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত উপকরণগুলি যথাক্রমে- বেতার, টেপরেকর্ডার, সবাক চলচ্চিত্র, টেলিভিশন।
(১) সার্বিক অনুষ্ঠান প্রচার : বেতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সহজ সরল ভাষায় সাধারণ মানুষের সামনে উপস্থাপন করা হয় ফলে নিরক্ষর মানুষও বুঝতে পারে। সহজসরল ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার করে বলে বেতার এত জনপ্রিয়।
(২) স্বল্প খরচ : বেতার বা টেপরেকর্ডারের দাম তুলনামূলকভাবে কম। ফলে সহজেই মানুষ তা কিনতে পারে। ধনী-দরিদ্র সকল শ্রেণির মানুষ এই শ্রবণ উপকরণের সাহায্যে শিক্ষালাভ করতে পারে।
(৩) বাস্তবভিত্তিক অনুষ্ঠান : বেতারে যেসব অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়, তা বাস্তবধর্মী হওয়ায় মানুষের মনকে স্পর্শ করে। মানুষ তাই এগুলির মাধ্যমে শিক্ষা ও আনন্দ দুটিই গ্রহণ করে।
(৪) মৌলিক শিক্ষা : শ্রবণ নির্ভর শিক্ষা-উপকরণগুলি শিক্ষকের শিক্ষণ পদ্ধতিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। উপকরণগুলি মৌখিক শিক্ষাদানে সহায়তা করায় বিষয়বস্তু অনেক আকর্ষণীয় হয়।
(৫) একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান : এই উপকরণগুলির মাধ্যমে একসঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদান করা সম্ভব হয়।
(৬) অন্ধ শিশুদের জন্য উপযােগী : যারা চোখে দেখতে পায় না বা পড়তে পারে না তারা বিশেষ করে এই উপকরণগুলির উপর বেশি নির্ভরশীল।
(৭) আগ্রহ সৃষ্টি : শ্রবণ নির্ভর উপকরণগুলি ব্যবহার করলে তা অনেক বেশি হৃদয়গ্রাহী হয়, আগ্রহ ও মনােযােগ বৃদ্ধি পায়। ফলে শিখন দ্রুত হয়।
(৮) সমাজ সচেতনতা : বেতারের মাধ্যমে এমন কিছু অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়, যা শ্রোতাদের সমাজসচেতন করে তােলে। তা ছাড়া বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মের প্রতি বেতার প্রতিবাদমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করে।
(৯) বহনযােগ্যতা : বেতার বা টেপরেকর্ডার বহনযােগ্য হওয়ায়, সবাই একে ব্যবহার করতে পারে ও এর মাধ্যমে শিক্ষালাভ করতে পারে।
সুতরাং বেতার বা টেপরেকর্ডার শ্রবণযন্ত্র গুলি শিক্ষার্থীর শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে, তবে রুচিশীল ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করতে বিশেষভাবে জোর দেওয়া উচিত।
শিক্ষায় প্রযুক্তিবিদ্যার গুরুত্ব
Question: শিক্ষাক্ষেত্রে সংবাদপত্রের গুরুত্ব লেখো।
Ans: প্রাত্যহিক জীবনে শিক্ষার মনােভাব সৃষ্টিতে, মূল্যবোধ গঠনে সংবাদপত্রের ভূমিকা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। নিম্নে বিস্তারিত আলােচনা করা হল –
(১) সংবাদ পরিবেশন : দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে তা শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে পরিবেশন করে। ফলে তারা নানা বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে পারে।
(২) গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ : আদর্শ গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশের ক্ষেত্রে সংবাদপত্রের বিশেষ ভূমিকা আছে। সংবাদপত্র নাগরিকদের বিশ্লেষণমূলক চিন্তনের বিকাশ ঘটিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত প্রকাশ করতে সাহায্য করে।
(৩) ভাষাজ্ঞান বৃদ্ধি : প্রতিদিন সংবাদপত্র পাঠে ভাষাজ্ঞান বৃদ্ধি পায়। নতুন নতুন শব্দ এবং তার যথাযথ প্রয়ােগক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
(৪) আচরণ নিয়ন্ত্রণ : ব্যক্তিকে আদর্শ আচরণ অনুসরণে সংবাদপত্র বিশেষ ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ সংবাদপত্র আচরণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
(৫) সচেতনতা বৃদ্ধি : সংবাদপত্রে বিভিন্নরকম সংবাদ পরিবেশন গণসচেতনতা বৃদ্ধি করে। এর ফলে বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মে আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
(৬) স্বল্প খরচ : অনেক কম খরচে বিভিন্নরকম শিক্ষামূলক তথ্য সংবাদপত্রের মাধ্যমে পরিবেশন করা যায়।
(৭) আগ্রহ সঞ্চার : সংবাদপত্র ব্যক্তির মধ্যে শিক্ষা অভিমুখী আগ্রহ সঞ্চারে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। শুধু সংবাদ পরিবেশন নয়, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক প্রবন্ধ, গবেষণাপত্র ইত্যাদি প্রকাশিত হয়।
(৮) মানসিক বিকাশ ঘটায় : নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠের চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পায়, বিচারবিশ্লেষণ ক্ষমতা, যুক্তিশক্তি বৃদ্ধি পায়, যা মানসিক বিকাশে সহায়ক।
(৯) আচরণ সংস্কার : খারাপ আচরণের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা শিক্ষার্থীরা জানতে পারে এবং তারা আচরণ সংশােধন করতে পারে।
(১০) শিক্ষানীতি নির্ধারণ : দেশের শিক্ষানীতি নির্ধারণে সংবাদপত্র বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে, সংবাদপত্রে প্রকাশিত মতামতের ভিত্তিতে প্রয়ােজনবােধে শিক্ষানীতি প্রকাশিত হয়।
সুতরাং উল্লিখিত বিষয়ের আলােচনায় বােঝা গেল সংবাদপত্র সুন্দরভাবে শিক্ষার্থীদের শিখতে সাহায্য করে। তবে সংবাদপত্রকে সবসময় সজাগ ও নিরপেক্ষ থাকতে হবে, কুরুচিকর তথ্য বর্জন ইত্যাদির মাধ্যমে এর সুফল প্রদান করে যেতে হবে।
Question: কম্পিউটারের মেমােরির শ্রেণিবিভাগ করো ।
Ans: কম্পিউটারে তথ্য সংগৃহীত হয় স্টোরেজ ডিভাইস-এ। এই মেমোরিকে পরিমাপ করার ক্ষুদ্রতম একক বিট। কম্পিউটারের মেমোরি বা স্টোরেজ ডিভাইসকে কতগুলো ভাগে ভাগ করা হয়েছে সেগুলি হল-
প্রাইমারি মেমোরি:
প্রাইমারি মেমোরি আবার দুই প্রকার ROM এবং RAM। প্রাইমারি মেমােরি হল এমন এক ধরনের স্মৃতি যা তথ্যগুলিকে স্বল্প সময়ের জন্য ধরে রাখে।
(A) RAM : RAM হল Random Access Memory-এটি কম্পিউটারের প্রাইমারি মেমোরি অংশ। এই মেমােরি হল অস্থায়ী এবং বিদ্যুৎ সংযােগের উপর নির্ভরশীল। কাজ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলে সব মুছে যায়। RAM দু-ধরনের যথা –
(১) SRAM : পুরােনাে কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত হত। ট্রানজিস্টার প্রযুক্তিতে তৈরি হত।
(২) DRAM : আধুনিক কম্পিউটার সিস্টেমে দেখা যায়, ক্যাপাসিটর প্রযুক্তিতে তৈরি হয়।
(B) ROM : পুরাে নাম হল Read only Memory। এটি স্থায়ী স্মৃতি। বিদ্যুৎ সংযােগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এর তথ্যগুলি মুছে যায় না। ROM চার প্রকারের হয় যথা –
(১) PROM : এর সম্পূর্ণ অর্থ (programmable Read Only Memory) প্রােগ্রামেবল রিড ওনলি মেমোরি। এখানে প্রােগ্রাম অপরিবর্তিত থাকে।।
(২) EPROM : এর পুরো অর্থ (Erasable Programmable Read Only Memory) ডিজেবল প্রোগ্রামেবল রিড ওনলি মেমোরি। এখানে সচ্চিত প্রােগ্রামের পরিবর্তন সম্ভব।
(৩) EEPROM : এর পুরো অর্থ (Electrically Erasable Programmable Read Only Memory) ইলেকট্রিক্যাল ইরেজেবেল প্রোগ্রামেবল রিড ওনলি মেমোরি। ROM-এর তথ্য মুছে নতুন প্রােগ্রাম লেখা সম্ভব হয়।
(৪) UVPROM : এর পুরো অর্থ (haultraviolet Programmable Read Only Memory) আলট্রাভায়ােলেট প্রােগ্রামেবল রিড ওনলি মেমােরি যা অতিবেগুনি রশ্মির দ্বারা ROM-এর তথ্য মুছে ফেলে নতুন প্রােগ্রাম লিখতে পারে।
সেকেন্ডারি মেমোরি:
সেকেন্ডারি মেমোরি হল স্টোরেজ ডিভাইস যা বিপুল পরিমাণে তথ্য সঞ্চয় করে এবং সেগুলো অবিকৃত রাখে, বিদ্যুৎ সংযােগ বিচ্ছিন্ন হলে তথ্য মুছে যায় না। সেকেন্ডারি মেমোরি তিন প্রকার –
(A) ম্যাগনেটিক টেপ : চৌম্বকীয় পদার্থের প্রলেপযুক্ত প্লাস্টিক জাতীয় ফিতে বিশেষ।
(B) ম্যাগনেটিক ডিস্ক : ফেরিক অক্সাইডের প্রলেপযুক্ত প্লেট বিশেষ। ম্যাগনেটিক ডিস্ক তিন ভাগে বিভক্ত, যথা- (১) পাতলা প্লাস্টিক জাতীয় পাতের উপর ফেরিক অক্সাইড এর প্রলেপ যুক্ত ফ্লপি ডিস্ক। (২) অ্যালুমিনিয়াম ধাতু নির্মিত বৃত্তাকার চাকতির মতাে হল হার্ড ডিস্ক, (৩) ছােটো একটি পেনের মতাে USB পাের্টযুক্ত ড্রাইভ হল পেন ড্রাইভ।
(C) অপটিক্যাল ডিস্ক : পলিকার্বনেট জাতীয় পাতলা প্লাস্টিকের উপর অ্যালুমিনিয়ামের প্রলেপ দিয়ে তৈরি CD বিশেষ। এটি তিন প্রকার যথা সিডি বা Compact Disk, ডিভিডি বা digital Versatile Disk, ব্লু-রে ডিস্ক বা Blu-Ray Disk।
স্পেশাল মেমোরি
আধুনিক যুগে কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে দ্রুত গতি আনতে এক ধরনের মেমোরি ব্যবহৃত হয় তাকে বলে স্পেশাল মেমোরি। যেমন— ক্যাশ মেমোরি, ফ্ল্যাশ মেমোরি ইত্যাদি।
শিক্ষাবিজ্ঞানে প্রযুক্তির ভূমিকা
Question: শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের অবদান লেখো।
Ans: চার্লস ব্যাবেজ আবিষ্কৃত কম্পিউটার বর্তমানে শিক্ষার নানা ক্ষেত্রকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করছে। পৃথিবীর বহু উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে কম্পিউটার শিক্ষা ও শিখনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। কম্পিউটারের শিক্ষামূলক ব্যবহারগুলি হলㅡ
[1] শ্রেণিক্ষে বিষয়বস্তু উপস্থাপনে সুবিধা : শ্রেণিকক্ষে সাধারণ পদ্ধতিতে বিষয়বস্তু উপস্থাপনের সময় শিক্ষক বিভিন্ন কারণে সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌছােতে পারে না। কিন্তু কম্পিউটারের মাধ্যমে তা সম্ভব। কম্পিউটারের মাধ্যমে বিষয়বস্তু উপস্থাপনের সুবিধাগুলি হলㅡ
✶সম্পূর্ণ বিষয়বস্তুকে একসঙ্গে উপস্থাপন করা যায়।
✶শিক্ষকের কাজের চাপ অনেক কম হয়।
✶শিক্ষার্থী তার নিজস্ব সামর্থ্য, দক্ষতা ও ক্ষমতা অনুযায়ী এগােতে পারে।
✶বিষয়বস্তু সহজভাবে উপস্থাপন করার ফলে ✶শিক্ষার্থীরা সহজেই তা বুঝতে পারে।
✶শিক্ষার্থীর অগ্রগতি সম্পর্কেও শিক্ষক অবগত হতে পারে।
[2] পাওয়ার পয়েন্ট : পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন (PPT) মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক বিষয় শিক্ষার্থীদের সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা সহায়ক সফটওয়্যারের সাহায্যে বিভিন্ন বিষয় অনুশীলন করা যায়।
[3] বিবিধ ব্যবহার : কম্পিউটার শিক্ষা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে খুবই জরুরি। সেই কারণে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে MS Office এর অন্তর্গত MS Word, Excel, Powerpoint, MS Dos, ইত্যাদি প্রোগ্রামগুলি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা প্রদান করা হয় যাতে ভবিষ্যৎ জীবনে চলার পথে কম্পিউটার সংক্রান্ত শিক্ষাগুলি কাজে লাগে। এছাড়াও Logo, Paint এগুলির সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়।
[4] ভাষাশিক্ষা : কম্পিউটারের ভাষা শেখার প্রােগ্রামের নাম হল Word Processor। যার সাহায্যে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে লিখতে ও পড়তে পারে। ভাষাশিক্ষার সুবিধা হলㅡ
✶কম্পিউটারের সাহায্যে শিক্ষার্থীরা স্বাধীনভাবে ✶নিজের ভাব প্রকাশ করার দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
✶নিজেদের ভাষাগত ত্রুটি সংশােধন করতে পারে।
[5] কম্পিউটারভিত্তিক প্রশিক্ষণ : বিশেষ বিশেষ বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ই-কমার্স, ই-বিজনেস, মাল্টিমিডিয়া, ইন্টারনেট, ডিটিপি ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষকের কাছ থেকে শিখে স্লাইড তৈরি করতে পারে, তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[6] তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণার ক্ষেত্রে কম্পিউটার : বর্তমানে বিভিন্ন সিডি থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে ছাত্রছাত্রীরা তাদের জ্ঞানের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তা ছাড়া মুহূর্তের মধ্যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
[7] গণিত শিক্ষা : এটি একটি জটিল বিষয় হলেও সহজভাবে গণিত শিখনে সাহায্য করে। গণিত শিখনে কম্পিউটারের ভূমিকা হলㅡ
✶ক্লাসরুমে গণিতের বিভিন্ন জটিল সমস্যাসমাধান করতে সাহায্য করে।
✶কম্পিউটারের মাধ্যমে গণিত শিক্ষাদানে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি মনোযোগী হয়ে ওঠে।
✶অনেক জটিল সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান করে।
[8] অনুশীলন মূলক : অনুশীলনের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীর বিষয়বস্তুগত দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়। অনুশীলনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা হলㅡ
✶শিক্ষার্থী তার প্রয়ােজনমতাে বেশি সময় ধরে অনুশীলন করতে পারে।
✶শিক্ষার্থী নিজেও তার অনুশীলনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারে।
[9] ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণ : শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থী একইরকম হয় না। কোনাে শিক্ষার্থী আবার বেশি শিখতে চায় ফলে শিক্ষক সমস্যার সম্মুখীন হন। এক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণ করতে পারে।
[10] ক্ষমতা ও উৎসাহ : শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্ষমতা এবং উৎসাহ বা আগ্রহ অনুযায়ী কম্পিউটারকে ব্যবহার করে অগ্রসর হওয়ার সুযােগ পায়।
[11] পরিকল্পনা গ্রহণ : শিক্ষার্থীরা তাদের কাজের ফলাফল খুব দ্রুত জানতে পারে এবং কম্পিউটারকে কেন্দ্র করে পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে।
[12] পুনঃশিখন : পুনঃশিখনে কম্পিউটারের দায়িত্ব হলㅡ
✶অনুপস্থিত থাকলেও কম্পিউটারের মাধ্যমে তারা ✶সহজেই পূর্বের পাঠ গ্রহণ করতে পারে।
✶পুনঃশিখনের সুযােগ পাওয়ায় শিখন অভিজ্ঞতা আরও দৃঢ় হয় এবং ভুল ধারণা দূর করা সম্ভব হয়।
[13] শ্ৰম সাশ্রয় : কম্পিউটারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি সময় ধরে একাগ্রচিত্তে অনুশীলন করতে পারে।
[14] সময় ও শ্রম : শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন কম্পিউটারের মাধ্যমে তাদের কাজের সময়ের পুরােটাই কাজে লাগাতে পারে, তেমনি তাদের সময় ও শ্রম সাশ্রয় হয়।
[15] সমস্যা সমাধান মূলক শিখন : সমস্যাসমাধানমূলক শিখনে কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধাগুলি হলㅡ
✶শিক্ষার্থীরা শিখনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে।
✶স্বাধীন চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটে।
✶সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে।
✶এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ, পারদর্শিতা সংক্রান্ত তথ্য ইত্যাদি কাজে কম্পিউটার সাহায্য করে থাকে।
You must be logged in to post a comment.