Benefits of eating dates

Benefits of eating dates
খেজুরে আছে প্রচুর শক্তি, এমিনো অ্যাসিড, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। প্রতিদিন রোজায় আমাদের দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকতে হয় যার কারণে আমাদের দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। তখন এই খেজুর আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি জোগান দিতে সাহায্য করে। আয়রনে ভরপুর খেজুর, হার্ট, উচ্চ রক্তচাপ, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ একাধিক সমস্যা ঠেকাতে কার্যকর। এই ফল পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, শুক্রাণুর সংখ্যাও বাড়ায়।খেজুরে রয়েছে ভিটামিন B6 যা শরীরকে সেরোটোনিন এবং নরপাইনফ্রিন তৈরি করতে সাহায্য করে। সেরোটোনিন রাগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং নোরপাইনফ্রাইন শরীরকে চাপ মোকাবিলায় সহায়তা করে। তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক ( Amazing Benefits of Khajoor) খেজুরের আশ্চর্যজনক গুনাবলী।

খেজুরের উপকারী গুনাবলী :

খেজুরে পাওয়া পুষ্টিগুণ (Nutrients found in dates):
প্রোটিনের পাশাপাশি ডায়েটারি ফাইবার এবং ভিটামিন B1, B2, B3, B5, A1 এবং C-তে সমৃদ্ধ। খেজুরে কোলেস্টেরল থাকে না। এতে চর্বির মাত্রাও অনেক কম। খেজুরে উপস্থিত এই সমস্ত উপাদান স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী।

শক্তি (Energy) : খেজুর অনেক মিষ্টি হওয়ার পরও এটা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় না। এর আঁশ হজমপ্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে। ফলে রক্তে খুব দ্রুত বেশি পরিমাণে গ্লুকোজের উপস্থিতি দেখা দেয় না। আবার খেজুরের উচ্চমাত্রার ক্যালরি দেহে অনেক শক্তি দেয়।

হজমপ্রক্রিয়া(Digestion) : সুষ্ঠু হজমের জন্য ভক্ষণযোগ্য আঁশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেহের বর্জ্য তৈরি ও তা বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া ঝক্কিহীন করে দেয় খাবারের আঁশ। আরো সঠিকভাবে ও নিয়মিতভাবে মলাশয়ে বর্জ্য চলে যায়।

Benefits of eating dates

Benefits of eating dates

রোগ প্রতিরোধ(Disease prevention) : খেজুর তার শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাধ্যমে দেহের দূষিত উপাদান নিষ্ক্রিয় করে তা বের করে দিতে ভূমিকা রাখে। কোষের ময়লা দূর করে।

মস্তিষ্কের জটিলতা(Complications of the brain) : বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। তবে এ বিষয়ে খেজুর জাদুর মতো কাজ করতে পারে। মস্তিষ্কের ‘গ্রে ম্যাটার অঞ্চলের যত্ন নেয় খেজুর।

সাদা চিনির বিকল্প(White sugar substitute) : বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুর সাদা চিনির সবচেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে। মিষ্টি খাবারের রেসিপিতে খেজুর অনায়াসে ব্যবহার করা যায়। খেজুর বিচি ফেলে দিয়ে একটু পানির সঙ্গে ব্লেন্ড করলেই পেস্ট তৈরি হবে। এ পেস্ট চিনির বদলে খাবারে ব্যবহার করুন।