ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা কর্মসূচি

ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা কর্মসূচি ভারত সরকারের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের জাতীয় অ্যান্টার্কটিকা ও মহাসাগর গবেষণা কেন্দ্রের অধীনস্থ একটি বহুমুখী, বহু-সংস্থা-কেন্দ্রিক কর্মসূচি। ১৯৮১ সালের ভারতের প্রথম অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সূচনা ঘটে।

দক্ষিণ গঙ্গোত্রী :

১৯৮১ সালে প্রথম অ্যান্টার্কটিকায় উড়েছিল ভারতের জাতীয় পতাকা। ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ গঙ্গোত্রী নামে প্রথম স্থায়ী বসতি গড়ে তোলা হয়। ১৯৮৯ সালে এই কেন্দ্রটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর এটি বরফের তলায় চাপা পড়ে যায়।

মৈত্রী :

দ্বিতীয় কেন্দ্র মৈত্রী গড়ে তোলা হয় ১৯৮৮-৮৯ সালে। এটি শির্মাকার মরুদ্যানে অবস্থিত। এখান থেকে ভারত ভূতাত্ত্বিক, ভৌগোলিক ও চিকিৎসা-সংক্রান্ত গবেষণা চালায়। এখানে প্রিয়দর্শিনী হ্রদ নামে ভারত একটি মিষ্টি জলের হ্রদও তৈরি করেছে। শির্মাকার মরুদ্যানের জিওমর্ফোলজিক মানচিত্র তৈরিতেও মৈত্রী কেন্দ্রের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।

ভারতী :

ভারতের দ্বারা নিযুক্ত একটি আন্টার্কটিকা গবেষণা কেন্দ্র । এটি ভারতের তৃতীয় আন্টার্কটিকা গবেষণা কেন্দ্র যেটি মৈত্রীর পাশাপাশি দ্বিতীয় সক্রিয় গবেষণা কেন্দ্র। এটি 69 ডিগ্রি দক্ষিণ থেকে 76 ডিগ্রী পূর্ব তে লারসেমান পাহাড়ের কাছে গড়ে উঠেছে । 2012 সালে 18 মার্চ থেকে ক্রীড়া কলাপ শুরু হয়েছে যদিও 2015 সালে এটির পরীক্ষামূলক কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। তখন ভারতও অ্যান্টার্কটিকায় একাধিক গবেষণা কেন্দ্র পরিচালনাকারী উন্নত রাষ্ট্রগুলির একটি হিসেবে গণ্য হবে। ভারতী কেন্দ্রটি সমুদ্রবিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হবে। এই কেন্দ্র মহাদেশীয় বিচ্ছেদের প্রমাণ সংগ্রহ করে ভারতীয় উপমহাদেশের ১২০-মিলিয়ন-বছরের প্রাচীন ইতিহাস পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে।

তথ্যসূত্র : Gad, S. D. (2008), “India in the Antarctic”, Current Science, 95 (2): 151, Bangalore: Indian Academy of Sciences.
Pandey, P.C. (2007) in “India: Antarctic Program”, Encyclopedia of the Antarctic edited by Beau Riffenburgh, pp. 529–530, Abingdon and New York: Taylor & Francis,