ভারতীয় অর্থনীতিতে পরিসেবা ক্ষেত্রের পরেই শিল্পের অবস্থান । 2017—2018 সালে ভারতের মোট GDP -এর মধ্যে শিল্প ক্ষেত্রের অবদান 29.1 % |
1948 সালে ভারতের প্রথম জাতীয় শিল্পনীতি ঘোষনা করা হয়|
লৌহ ইস্পাত শিল্পকে আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতার মেরুদন্ড ( Back bone of Modern Industry ) বলা হয় | সমস্তপ্রকার শিল্পের প্রাথমিক স্তরে এই শিল্পের তথা শিল্পজাত দ্রব্যের প্রয়োজন হয়| তাই একে ভিত্তিশিল্প ( Basic Industry ) – ও বলা হয়|
1830 সালে তামিলনাডুর অর্কটের পোর্টো – নোভাতে ভারতের প্রথম ইস্পাতকেন্দ্র স্থাপিত হয় |1874 সালে বর্ধমানের কুলটিতে বরাকর আয়রন ওয়ার্কস এবং 1907 সালে জামশেদপুরে TISCO ইস্পাতকেন্দ্র গড়ে ওঠে|
স্বাধীনতার আগে ভারতে তিনটি ইস্পাতকেন্দ্র স্থাপিত হয়——-
A. পশ্চিমবঙ্গের বার্নপুর – কুলটি (IISCO)
B. ঝাড়খন্ডের জামশেদপুর ( TISCO)
C . কর্ণাটকের ভদ্রাবতী (VISL)
স্বাধীনতার পর পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা কালে গঠিত ইস্পাত কেন্দ্র :
1. দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ( 1956 – 1961) : পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর , ওড়িশার রৌডকেল্লা , ছত্তিশগড়ের ভিলাই |
2. তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ( 1961 -1966) : ঝাড়খন্ডের বোকারা |
3. চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (1969 – 1974) : তামিলনাডুর সালেম, কর্নাটকের বিজয়নগর, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম|
পশ্চিমবঙ্গের বার্নপুর – কুলটি ( IISCO) ভারতের প্রাচীনতম ইস্পাত কারখানা | ঝাড়খন্ডের জামশেদপুরে TISCO হল ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি লৌহ ইস্পাত কারখানা |
1973 সালে ভারত সরকার steel Authority of India Limited ( SAIL ) গঠন করে |
SAIL -এর সদর দপ্তর নিউ দিল্লীতে অবস্থিত|
SAIL -এর অন্তর্গত ইস্পাত কারখানাগুলি হল – ভিলাই, দুর্গাপুর, রৌডকেল্লা, বোকারো, বার্নপুর, সালেম এবং ভদ্রাবতী |
ভারতের উল্লেখযোগ্য লৌহ ইস্পাত শিল্পকেন্দ্র সমূহ :


ভারতের সংকর ইস্পাত কারখানা

You must be logged in to post a comment.