বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান: রাজশেখর বসু





(১) নীচের বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাওঃ

১.১ ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধটি কোন্‌ গ্রন্থের অন্তর্গত?
(ক) বিচিন্তা
(খ) লঘুগুরু
(গ) ভারতের খনিজ
(ঘ) গড্ডালিকা
উত্তরঃ (ক) বিচিন্তা

১.২ ইংরেজি না-জানা পাঠকেরা জানে না –
(ক) আধুনিক আবিষ্কার
(খ) আধুনিক পদার্থবিদ্যা
(গ) আধুনিক গণিতবিদ্যা
(ঘ) সুশৃঙ্খল আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য
উত্তরঃ (ঘ) সুশৃঙ্খল আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্য

১.৩ বাংলা পারিভাষিক শব্দ নেই এমন একটি ইংরেজি শব্দ হল –
(ক) অক্সিজেন
(খ) পেন
(গ) চেয়ার
(ঘ) ইন্টারনেট
উত্তরঃ (ক) অক্সিজেন

১.৪ প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গে কিঞ্চিৎ পরিচয় না – থাকলে, বোঝা কঠিন –
(ক) বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ
(খ) বৈজ্ঞানিক গল্প
(গ) সামাজিক প্রবন্ধ
(ঘ) ভৌগোলিক বিবরণী
উত্তরঃ (ক) বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ

১.৫ আক্ষরিক অনুবাদের দোষ থেকে মুক্ত না – হলে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে না –
(ক) বৈজ্ঞানিক গবেষণা
(খ) বৈজ্ঞানিক আলোচনা
(গ) বৈজ্ঞানিক পরিভাষা
(ঘ) বৈজ্ঞানিক সাহিত্য
উত্তরঃ (ঘ) বৈজ্ঞানিক সাহিত্য

১.৬ “যেসব জন্তুর শিরদাঁড়া নেই” – কথাটি যে শব্দের বদলে লেখা যেতে পারে তা হল –
(ক) শিরহীন
(খ) অমেরুদণ্ডী
(গ) শিরারবিহীন
(ঘ) মেরুদণ্ডী
উত্তরঃ (খ) অমেরুদণ্ডী

১.৭ ‘দেশের লজ্জা’ শব্দবন্ধে ‘দেশ’ যেখানে ‘দেশবাসীর’ সেখানে প্রকাশিত অর্থটি হল –
(ক) আভিধানিক
(খ) লক্ষণা
(গ) ব্যঞ্জনা
(ঘ) গূঢ়ার্থ
উত্তরঃ (খ) লক্ষণা

১.৮ “হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড” – উক্তিটি কার?
(ক) ভবভূতির
(খ) রবীন্দ্রনাথের
(গ) কালিদাসের
(ঘ) জীবনানন্ডের
উত্তরঃ (গ) কালিদাসের

১.৯ “এই প্রবাদটি যে কত ঠিক তার প্রমাণ আমাদের প্রবাদটির কথা বলা হয়েছে?
(ক) অতি চালাকের গলায় দড়ি
(খ) শ্যাম রাখি না কূল রাখি
(গ) অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী
(ঘ) যে যায় লঙ্কায় সে হয় বারণ
উত্তরঃ (গ) অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী



(২) অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর (কমবেশি ২০ শব্দে)

২.১ “এই শ্রেণিতে পড়ে।”-কারা, কোন শ্রেণিতে পড়ে?
উত্তরঃ অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে তারা প্রাবন্ধিক উল্লেখিত প্রথম শ্রেণিতে পড়ে।

২.২ “এর মানে বুঝতে বাধা হয়নি।”-কোন কথার মানে বুঝতে বাধা হয়নি?
উত্তরঃ সংস্কার না-থাকায় ব্রহ্মমোহন মল্লিকের বাংলা জ্যামিতিতে লেখা একটি বাক্য-এক নির্দিষ্ট সীমাবিশিষ্ট সরলরেখার ওপর এক সমবাহু ত্রিভুজ অঙ্কন করতে হবে-এর অর্থ বুঝতে কোনো বাধা হয়নি।

২.৩ “আমাদের সরকার ক্রমে রাজকার্যে দেশি পরিভাষা চালাচ্ছেন।”-তাতে অনেক মুশকিলে পড়েছেন কেন?
উত্তরঃ সরকার যেভাবে রাজকার্যে ক্রমশ দেশি পরিভাষা ব্যাবহার করছেন তাতে ইংরেজি জানা অনেক মুশকিল হয়ে পড়ছেন, কারণ তাঁদের সেগুলি নতুন করে শিকতে হচ্ছে।

২.৪ “তাঁরা বিধান দিয়েছেন,”-কারা,কী বিধান দিয়েছেন?
উত্তরঃ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি বিধান দিয়েছে-নবাগত রাসায়ানিক বস্তুর ইংরেজি নামই বাংলা বানানে চলবে।

২.৫ “এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে,”-দোষটি কী?
উত্তরঃ বিজ্ঞান অলোচনার রচনাপদ্ধিতি আয়ত্ত করতে না-পারার কারণে লেখকদের ভাষা আড়ষ্ট ও ইংরেজির অনুবাদ আক্ষরিক হয়ে যাওয়া।

২.৬ লেখকের মতে, ‘Sensitized Paper’-এর সঠিক বাংলা পরিভাষা কী হবে?
উত্তরঃ সুগ্রাহী কাগজ

২.৭ “স্থানবিশেষে পরিভাষিক শব্দ বাদ দেওয়া চলে,”-বক্তব্যের স্বপক্ষে একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ ‘আমেরুদন্ডি’-পারিভাষিক শব্দের বদলে লেখা যায়-যেসব জন্তুর শিরদাঁড় নেই।

২.৮ “আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন”-কোন ‘ত্রিবিধ কথার’ প্রসঙ্গ লেখক স্মরণ করেছেন?
উত্তরঃ (ক) অভিধা, (খ) লক্ষণা, (গ) ব্যঞ্জনা

২.৯ “এই কথাটি সকল লেখকেরই মনে রাখা উচিত।”-কোন কথা সব লেখকের মনে রাখা উচিত?
উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা অত্যন্ত সরল ও স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক।

২.১০ “সাধারণ পাঠকেরা পক্ষে অনিষ্টকর।”-মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ লেখকেরা অনেক সময় ভুল তথ্য পরিবেশন করেন, যার ফলে পাঠকেরা ভুলটিকেই ঠিক ভেবে নেন। প্রাবন্ধিকের মতে, এটি অত্যন্ত অনিষ্টকর।



(৩) ব্যাখ্যামূলক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর (কমবেশি ১৫০ শব্দে)

৩.১ “অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোক এই শ্রেণিতে পড়ে।”-‘এই শ্রেণি’ বলতে কোন শ্রেণিকে বোঝানো হয়েছে? এই শ্রেণীর সম্পর্কে প্রাবন্ধিক কি কি বলেছেন?

৩.২ “পাশ্চাত্য দেশের শিক্ষার্থী চেয়ে তাকে বেশি চেষ্টা করতে হয় না।”-কার সম্পর্কে বলা হয়েছে? বক্তার এ কথা বলার কারণ কি? এর বিপরীতে তিনি কাদের কথা বলেছেন?

৩.৩ “জনসাধারণের জন্য যাঁরা বাংলায় বিজ্ঞান লেখেন তাঁরা এই বিষয়ে অবহিত না হলে তাঁদের লেখা জনপ্রিয় হবে না।”-‘জনসাধারণ’ বলতে লেখক কাদের বুঝিয়েছেন? প্রাবন্ধিক বাংলায় বিজ্ঞান লেখকদের কোন বিষয়ে অবহিত হতে বলেছেন? তাঁরা এরূপ মন্তব্যের কারন কি?

৩.৪ “এই দোষ থেকে মুক্ত না হলে বাংলা বিজ্ঞানিক সাহিত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হলে না।”-কোন ‘দোষ’-এর কথা বলা হয়েছে? কিভাবে এ ‘দোষ’ থেকে মুক্ত হওয়া যাবে?

৩.৫ “অনেকে মনে করেন পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করলে রচনা সহজ হয়।”-উদ্ধৃত অভিমতটিকে তুমি কি সমর্থন করো?

৩.৬ “আমাদের আলংকারিক গণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন”-আলংকারিক দের বলা ‘শব্দের ত্রিবিধ কথা’ কি? এই বিষয়কে ভিত্তি করে প্রাবন্ধিক সাধারণ সাহিত্য থেকে বৈজ্ঞানিক সাহিত্যকে আলাদা করেছেন কেন?

৩.৭ বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ কী? বাংলা ভাষায় বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ লেখার জন্য কেমন রচনাপদ্ধতি প্রয়োজন বলে লেখক মনে করেন?

৩.৮ “আরেকটি দোষ নজরে পড়ে”-কে, কোন দোষের কথা বলেছেন? এই দোষের ফলে কি ঘটে? দোষ খন্ডনের উপায় কি?

৩.৯ ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ -রচনায় প্রাবন্ধিক বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে যেসব অসুবিধার কথা বলেছেন তা আলোচনা করো।

৩.১০ ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রাবন্ধটির নামকরণের যথার্থতা আলোচনা করো।