পশ্চিম ভারতে (মুম্বাই আমেদাবাদ অঞ্চলে) বস্ত্রবয়নশিল্পের উন্নতির কারণগুলি লেখো |
পশ্চিম ভারতের মুম্বাই আমেদাবাদ অঞ্চলে
অসংখ্য কার্পাস বয়নশিল্প কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। মুম্বাইকে ‘Cottonopolis of India‘ এবং আমেদাবাদকে ‘ভারতের ম্যাঞ্চেস্টার’ বলে। এই অঞ্চলে কার্পাস বয়ন শিল্পের কেন্দ্রী- ভবনের কারণগুলি হল –
কাঁচামালের সহজলভ্যতা: মহারাষ্ট্রের কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চলের খান্দেশ, বিদর্ভ, মারাঠা প্রভৃতি জেলায় এবং গুজরাটের আমেদাবাদ, সুরেন্দ্রনগর, বুলধানা প্রভৃতি অঞ্চলে প্রচুর কাঁচা তুলো উৎপাদিত হয়, যা এই শিল্পের প্রধান কাঁচামাল |
আর্দ্র জলবায়ু: আরব সাগরের তীরবর্তী মুম্বাই-আমেদাবাদ অঞ্চলের জলবায়ু আর্দ্র প্রকৃতির, যা সুতো বয়নের পক্ষে উপযোগী।
সুলভ শক্তিসম্পদ: এই শিল্পের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎশক্তি উকাই ও কাদানা (গুজরাট), ভিমপুরী, খোপোলি ও কয়না (মহারাষ্ট্র)
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ট্রম্বে, নাসিক (মহারাষ্ট্র) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এবং তারাপুর, রানাপ্রতাপসাগর ও কাকরাপাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পাওয়া যায়।
বন্দরের সান্নিধ্য: ভারতের তিনটি প্রধান বন্দর—মুম্বাই, কান্ডালা, জহরলাল নেহরু বন্দর এবং অন্যান্য অপ্রধান বন্দর—সুরাট, ওঘা, পোরবন্দর প্রভৃতি এই শিল্পের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উন্নতমানের তুলো এবং কার্পাস বস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে।
উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা: পশ্চিম, মধ্য ও কোঙ্কন রেলপথ এবং 47, 48, 64, 160 নং জাতীয় রাজপথ এই অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রসারিত হওয়ায় কার্পাস বয়ন শিল্পের বিকাশ সহজতর হয়েছে |
অন্যান্য কারণ: মুম্বাই-আমেদাবাদ অঞ্চলে কার্পাস বয়ন শিল্পের কেন্দ্রীভবনের অন্যান্য কারণগুলি হল—
(a) পর্যাপ্ত মূলধন প্রাপ্তির সুবিধা |
(b) শিল্প বিকাশের উপযুক্ত
পরিকাঠামো |
(c) সুলভ ও দক্ষ শ্রমিকের প্রাচুর্য
(d) বিপুল চাহিদা বা বাজার |