জনন : জীবনের প্রবাহমানতা

জনন ( Reproduction):জীবের প্রবাহমানতা

জীবনের প্রবাহমানতা : জনন | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেস

প্রশ্নঃ কোনো জীবের জন্য প্রজনন গুরুত্বপূর্ণ কেন ?

উত্তরঃ প্রজননের প্রয়োজনীয়তাঃ 

অস্তিত্ব বজায় রাখাঃ জীবজগৎ জনন পদ্ধতির দ্বারা বংশধর উৎপত্তির মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখে।

জীবজগতে ভারসাম্য রক্ষাঃ জননের ফলে জীবের মৃত্যুজনিত সংখ্যা হ্রাস পূরণ করে. ফলে পৃথিবীতে জীবজগতের ভারসাম্য বজায় থাকে।

অভিব্যক্তিতে সহায়তাঃ যৌন জননের মাধ্যমে অপত্য বংশধরদের মধ্যে নানান বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় ঘটে , যার ফলে প্রজাতির মধ্যে প্রকরণ বা ভেদ পরিলক্ষিত হয় ৷ এই প্রকরণ জৈব অভিব্যক্তিকে সহায়তা করে। 

পরিব্যক্তির উদ্ভবঃ যৌন জননের সময় বংশগতি পদার্থের পরিব্যক্তি বা মিউটেশন ঘটার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়। 

প্রশ্নঃ ‘ পত্রজ মুকুল উদ্ভিদের প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে ‘- একটি উপযুক্ত উদাহরণের সাহায্যে বক্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন করো।

উত্তরঃ পাতার কিনারায় মুকুল সৃষ্টি হলে তাকে পত্রজ মুকুল বলে। এই সকল মুকুলের নিম্নাংশ থেকে অস্থানিক মূল সৃষ্টি হয়। এই অস্থানিক মূল সহ পত্রাশয়ী মুকুল পাতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয় ৷ পত্রাশয়ী মুকুল থেকে অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় এবং বংশবিস্তার ঘটায়। যেমন- পাথরকুচি , বিগোনিয়া প্রভৃতি ৷ 

প্রশ্নঃ উপযুক্ত উদাহরণসহ অযৌন জননের পাঁচটি পদ্ধতি বর্ণনা করো।

উত্তরঃ অযৌন জননের পদ্ধতিঃ 

বিভাজনঃ ১) অ্যামিবা দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় অযৌন জনন সম্পন্ন করে। 

২) প্লাসমোডিয়াম বহুবিভাজন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে।

কোরকোদগমঃ  ১) ইস্ট কোরকোদগম প্রক্রিয়ায় বংশবিস্তার করে। ইস্টের মাতৃকোশে এক বা একাধিক কোরক সৃষ্টি হয়। কোরকগুলুি মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য ইস্ট গঠন করে ৷

২) হাইড্রার দেহের বাইরের দিকে কোনো অংশ স্ফীত হয়ে কোরক সৃষ্টি করে। কোরক মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য হাইড্রা সৃষ্টি হয়। 

খন্ডীভবনঃ স্পাইরোগাইরার দেহটি সূত্রাকার৷ জলের স্রোত, আঘাত ইত্যাদি কারণে স্পাইরোগাইরার দেহটি কয়েকটি খন্ডে বিভক্ত হয়। প্রতিটি খন্ডক কোশ বিভাজনের মাধ্যমে অপত্য সৃষ্টি করে।

রেনু উৎপাদনঃ ১) মিউকর এর বায়বীয় অনুসুত্রের অগ্রভাগ স্ফীত হয়ে রেনুস্থলী গঠন করে। রেনুস্থলী বিদীর্ণ হলে রেনুগুলি মুক্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং অনকূল পরিবেশে অঙ্কুরিত হয়ে মিউকর অনুসূত্র গঠন করে। 

২) মস জাতীয় উদ্ভিদের রেনুস্থলীর মধ্যে রেনুগুলি সৃষ্টি হয়। রেনুস্থলী বিদীর্ন হয়ে রেনু মুক্ত হয়। এরপর অঙ্কুরিত হয়ে পুনরায মস জাতীয় উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। 

৩) ফার্ন উদ্ভিদের পত্রকের নীচে অসংখ্য সোরাই উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে রেনুস্থলী থাকে। রেনুস্থলী বিদীর্ণ হলে রেনুগুলি মুক্ত হয় এবং অপত্য ফার্ন সৃষ্টি হয়।

পুনরুৎপাদনঃ প্ল্যানেরিয়ার দেহটি কতকগুলি খন্ডে বিভক্ত হওয়ার পর প্রতিটি খন্ড থেকে অপত্য প্ল্যানেরিয়া সৃষ্টি হয়।

জীবনের প্রবাহমানতা : জন

প্রশ্নঃ জনুক্রম কাকে বলে ? একটি ফার্নের জনুক্রম পর্যায়চিত্র রেখাচিত্রের মাধ্যমে দেখাও

উত্তরঃ জনুক্রমঃ জীবের জীবনচক্রে রেণুধর জনু বা ডিপ্লয়েড জনু এবং লিঙ্গধর জনু বা হ্যাপ্লয়েড জনুর পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে জনুক্রম বলে। 

ফার্নের জনুক্রমঃ ফার্নের জীবনচক্রে সুষ্পষ্ট জনুক্রম দেখা যায় ৷

ফার্নের জনুক্রমঃ
ফার্নের জনুক্রম

প্রশ্নঃ অঙ্গজ জনন বা অঙ্গজ বংশবিস্তার কাকে বলে ? প্রধান তিন প্রকার প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করো।

উঃ অঙ্গজ বংশবিস্তারঃ যে জনন পদ্ধতিতে জীবদেহের কোনো অঙ্গ বা অঙ্গাংশ জনিতৃ জীবদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য জীব সৃষ্টি করে তাকে অঙ্গজ জনন বলে।

প্রাকৃতিক অঙ্গজ জননঃ মূল, কান্ড ও পাতার সাহায্যে প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন হয়। যেমন-

১) মূলঃ কয়েকটি উদ্ভিদ মূলের সাহায্যে অঙ্গজ জনন সম্পন্ন করে। রাঙা আলু বা লাল আলুর রসালো মূল থেকে অস্থানিক মুকুল সৃষ্টি  হয় যা থেকে অঙ্গজ জনন পদ্ধতিতে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। 

২) কান্ডঃ শুশনি, থানকুনি ইত্যাদির অর্ধবায়ব কান্ডের ধাবক এবং কচুরিপানা, টোপাপানা ইত্যাদির খর্বধাবকের পর্ব থেকে অস্থানিক মূল সৃষ্টি হয়। অস্থানিক মূলসহ খন্ডিত বিটপ অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।

৩) পাতাঃ বিগোনিয়া, পাথরকুচি পাতার কিনারায় অসংখ্য পত্রজ বা পত্রাশ্রয়ী মুকুল সৃষ্টি হয় , যেগুলির নিম্নাংশ থেকে অস্থানিক মূল তৈরি হয়। অস্থানিক মূলসহ পত্রাশ্রয়ী মুকুল পাতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। পত্রাশ্রয়ী মুকুল থেকে অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়। 

প্রশ্নঃ কৃত্রিম উপায়ে কীভাবে অঙ্গজ জনন সম্পন্ন হয় তার কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বর্ণনা করো।

উত্তরঃ শাখাকলম বা কাটিং : জনিতৃ দেহ থেকে ২০-৩০ সেমি কান্ড  বা কান্ডের শাখা কেটে নিয়ে কাটা অংশটিকে ভিজে নরম মাটিতে পুঁতে রাখলে কয়েক দিন পর কাটা অংশ থেকে মূল সৃষ্টি হয় এবং বায়বীয় অংশ থেকে কাক্ষিক মুকুল সৃষ্টি হয়ে শাখা প্রশাখা সৃষ্টি করে। এইরকম কলম গোলাপ, লোবু, জাম, আম প্রভৃতি গাছে করা হয়।

জোড়কলম বা গ্রাফটিং : যে পদ্ধতিতে একই প্রজাতিভুক্ত দুটি ভিন্ন উদ্ভিদের শাখা জোড়া লাগানো হয় তাকে গ্রাফটিং বলে। আম, লেবু, পেয়ারা প্রভৃতি গাছে জোড় কলম বাঁধা হয়। মূলসহ যে গাছটিতে অন্য গাছের ডাল জোড়া লাগানো হয় তাকে স্টক বলে এবং যে গাছটির শাখা জোড়া হয় তাকে সিয়ন বলে। 

প্রশ্ন : মাইক্রোপ্রােপাগেশন কাকে বলে ? মাইক্রোপ্রােপাগেশন কীভাবে সম্পন্ন হয় ? সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জননের নিম্নলিখিত তিনটি পর্যায়ের ঘটনাগুলি বিবৃত করাে।

a. জনন কোশ বা গ্যামেট উৎপাদন, b. নিষেক, c. ভ্রুণসৃষ্টি ও নতুন উদ্ভিদ গঠন।

উত্তরঃ মাইক্রোপ্রােপাগেশন সম্পন্ন করার পদ্ধতি : মাইক্রো’ বা ‘অণু’ কথার অর্থ হল খুব ক্ষুদ্র। উদ্ভিদের কোনাে ক্ষুদ্র অংশ (কোশ, কলা,মুকুল) কৃষ্টি দ্রবণে পালন করে শিশু উদ্ভিদে পরিণত করার কৌশলকে অণুবিস্তারণ বা  মাইক্রোপ্রােপাগেশন বলে।

 মাইক্রোপ্রােপাগেশন পদ্ধতি :

1. উপযুক্ত উদ্ভিদ অঙ্গ-কলা, কোশ, মুকুল ইত্যাদি নির্বাচন।

2. কালচার বা কৃষ্টি মাধ্যমে রেখে উপাদানটির বৃদ্ধি ঘটানাে এবং ক্যালাস গঠন।

3. ক্যালাসের বৃদ্ধি ঘটিয়ে এমব্রয়েড (embroid) গঠন।

4. এমব্রয়েড থেকে অসংখ্য প্লান্টলেট (plantlet) সৃষ্টি।

5. প্লান্টলেটগুলিকে পৃথক টবে স্থানান্তরকরণ এবং অসংখ্য চারাগাছ সৃষ্টি।

সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জননের পর্যায় :

জননকোশ বা গ্যামেট উৎপাদন : পুংকেশরের পরাগধানীতে  পুংগ্যামেট এবং গর্ভকেশরের ডিম্বাশয়ের ডিম্বকের মধ্যে ডিম্বাণু উৎপন্ন করে।

নিষেক : পুং ও স্ত্রী গ্যামেটের মিলনকে নিষেক বলে। সপুষ্পক উদ্ভিদের ডিম্বকের মধ্যে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু নিলন ঘটে।

ভ্রুণ সৃষ্টি ও নতুন উদ্ভিদ গঠনঃ নিষেকের পর নিষিক্ত ডিম্বাণু বা জাইগােট (2n) বারবার বিভাজিত হয়ে ডিম্বকের মধ্যে ভ্রুণ গঠন করে। এই ভ্রুণ থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়।

প্রশ্নঃ ইতর পরাগযোগের বাহকগুলি কি কি ? তারা যে সব ফুলে পরাগযোগ ঘটায় তাদের নাম ও ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখা ৷

উত্তরঃ ইতর পরাগযোগ যে বাহ্যিক প্রতিনিধির সাহায্যে ঘটে তাদের বাহক বলে। যেমন- বায়ু, জল, পতঙ্গ এবং পাখি ৷

বায়ুপরাগী ফুলঃ ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি ৷

১) ফুল বর্ণহীন, গন্ধহীন এবং অনুজ্জ্বল 

২) পরাগধানী লম্বা এবং দলমন্ডলের বাইরে অবস্থান করে।

৩) পরাগরেনু অসংখ্য হালকা এবং বাতাসে ভেসে স্থানান্তরিত হয়।

জলপরাগী ফুলঃ পাতাশ্যাওলা , পাতাঝাঁঝি 

১) ফুলগুলি বর্ণহীন, গন্ধহীণ ও অনুজ্জ্বল

২) পুংপুষ্প ও স্ত্রীপুষ্প ভিন্ন ফুলে জন্মায় ৷

৩) ফুল একলিঙ্গ 

পতঙ্গপরাগী ফুলঃ আম ,সূর্যমুখী 

১) ফুলগুলি উজ্জ্বল প্রকৃতির 

২) ফুলগুলি সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত ও মিষ্টি রস যুক্ত 

৩) গর্ভমুন্ড অমসৃণ ও  আঠালো হয়।

পাখি পরাগী ফুলঃ শিমূল, পলাশ 

১) ফুলগুলি বড়ো ও উজ্জ্বল প্রকৃতির

২) ফুলে মকরন্দ থাকে।

৩) পরাণধানী গুলি পাখির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।

প্রশ্নঃ স্বপরাগযোগ ও ইতর পরাগযোগ কাকে বলে। স্বপরাগযোগ ও ইতরপরাগযোগ এর সুবিধা ও অসুবিধা লেখো। 

অথবা, স্বপরাগযোগ ও ইতরপরাগযোগ এর পার্থক্য লেখো ৷

উত্তরঃ স্বপরাগযোগঃ যখন কোনো ফুলের পরাপরেণু সেই ফুলের বা সেই গাছের অন্য ফুলের গর্ভমুন্ডের ওপর পড়ে তখন তাকে স্বপরাগ যোগ বলে। শিম, টম্যাটো, সন্ধ্যামালতি প্রভৃতি ফুলে দেখা যায় ৷

বৈশিষ্ট্যঃ ১) একই ফুলে ঘটে।

২) বাহকের প্রয়োজন নেই।

৩) উভলিঙ্গ ফুলে ঘটে।

৪) পরাগরেণুর অপচয় কম হয়৷

ইতরপরাগযোগঃ যখন কোনো ফুলের পরাপরেণু একই প্রজাতির অন্য কোনো গাছের ফুলের গর্ভমুন্ডে পড়ে তাকে ইতর পরাগযোগ বলে। তাল, পেঁপে, লাউ প্রভৃতি ফুলে ৷

বৈশিষ্ট্যঃ ১) ভিন্ন ফুলে ঘটে।

২) বাহকের প্রয়োজন হয়।

৩) একলিঙ্গ ফুলে ঘটে।

৪) পরাগরেণুর অপচয় বেশি হয়।

জীবনের প্রবাহমানতা : জনন

প্রশ্নঃ নিষেক কাকে বলে ? পরাগযোগ থেকে শুরু করে কীভাবে শিশু উদ্ভিদ গঠিত হয় তার পর্যায় গুলিকে রেখাচিত্রের সাহায্যে দেখাও।

উত্তরঃ পুংজনন কোশ ও স্ত্রীজনন কোশের মিলন পদ্ধতিকে নিষেক বা গর্ভাধান বলে।

পরাগযোগ থেকে শিশু উদ্ভিদ গঠন পর্যন্ত রেখাচিত্র :

প্রশ্নঃ অযৌন ও যৌন জনন কাকে বলে? অযৌন ও যৌন জননের বৈশিষ্ট্য লেখো ৷ 

অথবা অযৌন ও যৌন জননের পার্থক্য লেখো ৷

উত্তরঃ অযৌন জনন : যে জনন পদ্ধতিতে গ্যামেট উৎপাদন ছাড়াই জনিতৃ জীবের দেহকোশ বিভাজিত হয়ে অথবা রেণু তৈরির মাধ্যমে অপত্য জীব সৃষ্টি হয় তাকে অযৌন জনন বলে।

অযৌন জননের বৈশিষ্ট্যঃ 

জনিতৃ জীবের সংখ্যাঃ একটি

গ্যামেট উৎপাদনঃ হয় না।

কোশবিভাজনঃ মাইটোসিস কোশবিভাজন ঘটে।

অপত্য জনুর প্রকৃতিঃ অপত্য জীব জিনগতভাবে জনিতৃ জীবের অনুরূপ হয়। 

যৌন জননঃ যে  জনন পদ্ধতিতে দুটি ভিন্নধর্মী  (  ও স্ত্রী গ্যামেট ) মিলিত হয়ে অপত্য জীব সৃষ্টি হয় তাকে যৌন জনন বলে।

যৌন জননের বৈশিষ্ট্যঃ 

জনিতৃ জীবের সংখ্যাঃদুটি

গ্যামেট উৎপাদনঃ পুং গ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেট সৃষ্টি হয়।

কোশবিভাজনঃ মাইটোসিস ও মিয়োসিস কোশ বিভাজন দেখা যায়।

অপত্য জনুর প্রকৃতিঃ অপত্য জীব জিনগত ভাবে জনিতৃ জীব অপেক্ষা ভিন্ন হয় ৷

প্রশ্নঃ আমাইটোসিস কোশ বিভাজনের বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ ১) এটি প্রত্যক্ষ বিভাজন

২) ক্রোমোজোম ও বেমতন্ত গঠিত হয় না।

যেমন: আ্যামিবার কোশবিভাজন।

প্রশ্নঃ যৌন জনন সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য লেখো 

উত্তরঃ যৌন জননে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপাদন অপরিহার্য।

প্রশ্নঃ সপুষ্পক উদ্ভিদের স্ত্রীস্তবক রোমস ও আঠালো গর্ভদন্ডের সাহায্যে পরাগরেনু সংগ্রহ করে – বক্তব্যটি সত্য না মিথ্যা।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্নঃ সপুষ্পক উদ্ভিদের দল বা পাপড়ির কাজ কী?

উত্তরঃ দল উজ্জ্বল বর্ণের সাহায্যে পরাগযোগের জন্য কীট পতঙ্গদের আকর্ষণ করে। 

প্রশ্নঃ যৌন জনন অভিব্যক্তি ও প্রকরণে কীভাবে সাহায্য করে।

অথবা যৌন জননের দুটি তাৎপর্য লেখো।

উত্তরঃ ভেদ বা প্রকরণ : যৌন জননে দুটি ভিন্ন জীবদেহ থেকে উৎপন্ন গ্যামেটদ্বয়ের মিলনের  ফলে জিনগত পুনঃসংযুক্তি ঘটে। এর ফলে প্রজাতির মধ্যে ভেদ বা প্রকরণ দেখা যায়।

অভিব্যাক্তিঃ যৌন জননের মাধ্যমে অপত্য বংশধরদের মধ্যে নানান বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় ঘটে , যার ফলে প্রজাতির মধ্যে প্রকরণ বা ভেদ পরিলক্ষিত হয় ৷ এই প্রকরণ জৈব অভিব্যক্তিকে সহায়তা করে। 

Also Read: বৃদ্ধি ও বিকাশ( জীবনের প্রবাহমানতা)