বাংলা প্রতিবদেন রচনা সাজেসান

বাংলা প্রতিবদেন রচনা সাজেসান | মাধ্যমিক বাংলা প্রতিবেদন রচনা সাজেসান

মাধ্যমিক স্তরে ‘পাসফেল’ প্রথা চালু করা উচিত।

নিজস্ব সংবাদদাতা: এনায়েতপুর, মানিকচক : গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এনায়েতপুর ই.এ হাইস্কুল মাঠে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের উদ্যোগে দুটি উচ্চ বিদ্যালয়ের এলাকাভুক্ত অভিভাবক ও এলাকার বিশিষ্টজনদের নিয়ে একটি আলােচনা সভার আয়ােজন হয়েছিল। মূল আলােচ্য বিষয় ছিল মাধ্যমিক স্তরে ‘পাসফেল’ চালু করা। বিষয়টির পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য রাখার সুযােগ দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট দিনে বিকেল তিনটে থেকে আলােচনা সভা শুরু হয়। বিশিষ্টজনদের মধ্যে কয়েকজনের বক্তব্য ছিল পাসফেল চালু করার পক্ষে। অভিভাবকদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন পাসফেলের পক্ষে। উপস্থিত দর্শকরা পক্ষে-বিপক্ষের এই আলােচনাতে বেশ মজা উপভােগ করছিলেন এবং করতালির মধ্য দিয়ে উৎসাহিত করছিলেন। আলােচনাটি শেষপর্যন্ত এমন এক উৎকর্ষতায় পৌছেছিল যে, উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে থেকে অনেকেই মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখলেন, নির্ধারিত সময়ের থেকে অনেক বেশি সময় ধরে চলল সভা । তবে শতকরা প্রায় ৮৫-৯০ ভাগ বক্তব্যকারীর অভিমত ছিল পাসফেল প্রথা চালু করার পক্ষে।

বিদ্যালয়ের ১৩ জুলাই বনমহােৎসব পালন

নিজস্ব সংবাদদাতা: মালাদা, ১৩ জুলাই, ২০২১ :১৩ জুলাই বনমহােৎসবের দিনটিকে স্মরণ করে সাতমুখী ‘ মালদা জেলা স্কুল প্রাঙ্গনে ‘ সারাদিনব্যাপী একটি উৎসবের আয়ােজন করা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মহাশয় তাঁর সহকারীদের সহায়তায় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মনােজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলােচনা সভার আয়ােজন করেন। প্রথমে কয়েকজন শিক্ষক মিলে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রভাতফেরী বের করেন। প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর হাতে ছিল ছােটো ছােটো গাছের ডাল। ভ্যানের ওপর মাইক রেখে তাতে প্রচার করছিলেন আজকের দিনটির গুরুত্ব এবং বন্ধু হিসেবে বৃক্ষ আমাদের
কতবড়াে প্রিয়। এরপর স্থানীয় খালপাড়ে এবং চারদিকের বড়াে বড়াে রাস্তার ধারে উঁচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রীর সহায়তায় বেশ কিছু চারাগাছ রােপণ করা হয়। বিকেলে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—গান, কবিতা আবৃত্তি এবং বৃক্ষ নিয়ে তাৎক্ষণিক আলােচনা—সবকিছুতেই অংশগ্রহণ করে ছাত্রছাত্রীরা সবশেষে আজকের দিনটির আলােচনায় সমাপ্তিভাষণ
রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক জ্যোতি মল্লিক মহাশয়।

বাংলা প্রতিবদেন রচনা সাজেসান

নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী

নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা, ২০ মার্চ ২০২১ : চৈত্রের শুরুতেই রাজ্যে নেমে এসেছে গ্রীষ্মের দাবদাহের আগুন। কিন্তু রাজ্যের আপামর সাধারণ মানুষ বেশ কয়েকমাস ধরেই পুড়ছেন মূল্যবৃদ্ধির আগুনে। চাল, গম, আলু থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্যব্যবহার্য জিনিসের দাম এখন আকাশছোঁয়া। দিন দিন লাফিয়ে বেড়ে চলা সােনার দামের মতাে চাল, ডাল, মাছ, শাকসবজি ও ওষুধ অগ্নিমূল্য। সরকারি কর্মচারীদের কথা ছেড়ে দিলে অধিকাংশ মানুষ এবং তাদের পরিবার আজ এক দুর্বিষহ ব্যবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। নিম্নবিত্ত মানুষের অবস্থা আরও খারাপ। এদিকে বারবার ডিজেল ও পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অবস্থা আরও চরমে পৌঁছােচ্ছে। এরপর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে দাম আরও বাড়বে। কয়েকদিন আগে বাঁকুড়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের একটা গােটা পরিবার চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। সুতরাং সরকার যদি অবিলম্বে সাধারণ মানুষের পাশে এসে না দাঁড়ায়, তবে দেশ এক চরম সর্বনাশের অবস্থায় গিয়ে পৌঁছােবে।

এলাকায় জল জমে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা, ২৫ জুলাই ২০২১ : বর্ষার জমা জলে নীরবে শহরে ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গুর মতাে মারণব্যাধি। টানা ৫ দিন ধরে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের বৃষ্টিতে নাকাল হয়েছিল শহরবাসী। কিন্তু বৃষ্টি থামলেও জমা জল থেকে এখনও মুক্ত হয়নি আমাদের এলাকা। আমাদের বেহালার বহু জায়গায় ডেঙ্গুর লার্ভার মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বেহালার কয়েকটি এলাকা থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বেলেঘাটা আইডি হসপিটাল বা এসএসকেএম হাসপাতালের সঙ্গে যােগাযােগ করা হলে, এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়। যদিও কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে জানানাে হয় যে, শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে নিয়মিত প্রতিষেধক স্প্রে এবং অন্যান্য প্রতিরােধমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনাে কারণ দেখছি না। কিন্তু প্রতি বছর বর্ষার সময় শহরে মশাবাহিত রােগগুলির বিশেষত ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকেই নীলরতন সরকার হাসপাতালে চার বছরের একটি শিশুকে ভরতি করা হয়েছে। যার রক্তে ডেঙ্গর নমুনা পাওয়া গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জমা জলের বিপদ সম্পর্কে বারবার সচেতন করা সত্ত্বেও, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে রদ করা সম্ভব হচ্ছে না।

বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকচক, ২০ জুন ‘২০২১ : গত ১৮ জুন, মানিকচক নিকেতন স্কুলে শিক্ষাবার্ষিক পুরস্কার বিতরণী উৎসব অনুষ্ঠিত হল স্কুলের প্রার্থনা সভাগৃহে। এই উপলক্ষ্যে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী ও স্বনামধন্য গায়িকা শ্রীমতী মধুজা সেন। তিনি তার বক্তব্যে বিদ্যালয়জীবনে এই ধরনের অনুষ্ঠানের প্রাসঙ্গিকতার দিকটি তুলে ধরেন। এরপর উদবােধনী সংগীত পরিবেশন করে স্কুলের ছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে সেনের হাত থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের কৃতী ছাত্রীরা পুরস্কার গ্রহণ করে। এরপর ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রীদের সারা বছরের পড়াশােনা, খেলাধুলা, নাচগান ও ছবি আঁকার জন্য পুরস্কৃত করা
হয়। তবে লেখাপড়ায় সাফল্যের জন্য কোনাে পৃথক পুরস্কার ছিল না। শেষে বিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও লেখাপড়া করেছে। তাই তাকেও বিশেষভাবে অভিনন্দন জানানাে হয়। বিদ্যালয়ের সকলের অংশগ্রহণে ও আন্তরিকতায় সত্যিই দিনটি উজ্জ্বলতায় ভরে উঠেছিল।

বাংলা প্রতিবদেন রচনা সাজেসান

পানীয় জল প্রকল্পের উদবােধন

নিজস্ব সংবাদদাতা: নির্মলপুর ১২ জানুয়ারি, ২০২০ : ডিপ টিউবওয়েল থাকা সত্ত্বেও নির্মলপুর এলাকায় গ্রীষ্মের সময় জলস্তর যখন অনেকটা নীচে নেমে যায় তখন ওই সমস্ত কলগুলিতে পানীয় জলের টানাটানি পড়ে। এ সমস্যা নতুন নয়। ফলে এলাকাবাসীর সুবিধার্থে পঞ্চায়েত মারফত সজলধারা প্রকল্পের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল বিগত প্রায় ১০ মাস পূর্বে। বর্তমানে সেই প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হওয়াতে এলাকাবাসীর মনে খুশির জোয়ার বইতে শুরু করেছে। সমগ্র এলাকায় মাটির নীচ দিয়ে জলের পাইপ মারফত পানীয় জল সরবরাহের শুভ উদবােধন হল ১১ জুন বিকেলে। এই উপলক্ষ্যে অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির জমায়েত হয়েছিল। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি এবং তাঁদের এই কর্মপ্রেরণার বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে প্রকল্পটির উদবােধন হল। এলাকার বিধায়ক মহাশয়ও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

সবুজ ধ্বংসের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা : ইংলিশবাজার, মালদা, ১৫ এপ্রিল’২০– নগরায়নের চাপে পরিবেশ বিপন্ন হতে চলেছে। ইংলিশবাজার সংলগ্ন গ্রামে । বড়াে বড়াে ফলের বাগান ধ্বংস করে বহুতল নির্মাণের প্রবণতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দুই-তিন বছরের মধ্যে এখানে বহুতল নির্মাণে প্রশাসনের অসাধু চক্রের সঙ্গে এক শ্রেণির প্রােমােটারের আঁতাত গড়ে উঠেছে। এরা স্থানীয় মানুষদের চোখে ধুলাে দিয়ে বা টাকার লােভ দেখিয়ে সংকীর্ণ স্বার্থ চরিতার্থ করতে অত্যন্ত সক্রিয়। কিন্তু গ্রামের একদল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ তাদের এই উদ্দেশ্যকে সফল হতে দিতে নারাজ। সমস্ত গ্রামবাসী এবং কাছেপিঠের স্থানীয় কিছু লােক প্রতিরােধ গড়ে তুলে রুখে দিয়েছে সেই প্রচেষ্টা। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে সবুজ গাছপালা রক্ষা করা জরুরি, এ বিষয়ে তারা স্থানীয় কাউন্সিলর বিমলবাবুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রয়ােজনে গ্রামবাসীরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বদ্ধ পরিকর।

বাংলা প্রতিবদেন রচনা সাজেসান

বিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

নিজস্ব সংবাদদাতা : এনায়েতপুর , ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২: গতকাল এনায়েতপুর হাই স্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিসব পালিত হল। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ভাষাশহীদদের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রপুঞ্জ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘােষণা করেছে। এই দিনটির তাৎপর্য ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বিশেষত, বাংলা ভাষার সঙ্গে মাতৃভাষা দিবসের যােগ প্রত্যক্ষ এবং গভীর। বাংলা ভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা, মনের ভাষা। একথা স্মরণে রেখেই ছড়া, কবিতা, গান, নাচ, নাটক ও ভাষ্যপাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটিকে গাঁথা হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার বিশিষ্ট গুণীজনেরাও উপস্থিত ছিলেন। শেষে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এই ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য শপথ নেয়। সভায় উপস্থিত সকলে মাতৃভাষাপ্রেমী সমস্ত শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বাংলা প্রতিবেদন রচনা সাজেসান
Credit: https://allresultbd.org

হেলমেটবিহীন বাইকের দৌরাত্ম্যে দুর্ঘটনা বাড়ছে

নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২‘ Safe drive, save life’ স্লোগানটির প্রচারের দৌলতে পথদুর্ঘটনা কিছুটা কমলেও হেলমেটবিহীন বাইকবাহিনীর দাপট এবং তার ফলে হওয়া দুর্ঘটনা ও মৃত্যু কোনােভাবেই রােধ করা সম্ভব হচ্ছে না। গভীর রাতে বড়াে বড়াে উড়ালপুলগুলাের ওপর হেলমেটহীনভাবে বেপরােয়া গতিতে বাইক চালনা, বিশেষ করে কলকাতার তরুণ কিশােরদের একটা ‘হবি’তে পরিণত হয়েছে। তারা না শুনছে গুরুজন বা অভিভাবকদের কথা। শিখছে অন্য দুর্ঘটনার ফলে জীবনহানির থেকে, না মানছে পুলিশ-প্রশাসনের জারি করা নির্দেশাবলী। গতরাতে ‘মা’ উড়ালপুলের ওপর বেপরােয়া গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের দেওয়ালে ধাক্কা লেগে চলে গেল দুটি তরতাজা প্রাণ – চালক এবং আরােহীর, কারাের মাথায় হেলমেট ছিল না। উভয়েরই বয়স কুড়ির নিচে।

জলের অপচয় রােধে সচেতনতা শিবির

নিজস্ব সংবাদদাতা: সােনারপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি’ ২০২১ – শনিবার ‘রাজপুর-সােনারপুর পৌরসভায় একটি সচেতনতা শিবিরের আয়ােজন করা হয়েছিল। শিবিরটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল একদিনের জন্য। উক্ত পৌরসভার অন্তর্গত সমস্ত কাউন্সিলর এই শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন। এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানীয় জল সরবরাহের যে ব্যবস্থা আছে, তা থেকে প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে জলের অপচয় হয়; কারণ যে সমস্ত
জায়গাগুলি থেকে জনসাধারণ জল সংগ্রহ করে তার বহু জায়গায় পাম্পের মুখে কোনাে ঢাকনা না থাকার কারণে যথেষ্ট জল কয়েকঘণ্টা ধরে পড়েই চলে। এ বিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান পল্লব বসু সচেতনতা শিবিরে প্রস্তাব আনলে কাউন্সিলর স্বীকার করেন যে, বিষয়টি তাঁদের দৃষ্টিগােচর হয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক জায়গায় ব্যবস্থাগ্রহণও করা হয়েছে। শিবির শেষে সবাই এ বিষয়ে আরও যত্নবান হওয়ার শপথ নিয়ে চেয়ারম্যান মহাশয়কে আশ্বাস দেন।

প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন শহর

নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতা, ২২ জুলাই’ ২০২১ – টানা তিনদিনের অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপাতে জলমগ্ন কলকাতার মানুষ বিপর্যস্ত। কলকাতার বেশকিছু বহুতল বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া উত্তর কলকাতার কিছু এলাকায় কয়েকটি পুরােনাে বাড়ি হেলে পড়েছে। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত খােলা থাকলেও উপস্থিতির হার নগণ্য। ২১ জুলাই বিকেল থেকে বৃষ্টি ধরে এলেও কলকাতার অনেক অঞ্চল এখনও জলমগ্ন। ফুটপাতবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তবে পৌরসভার কর্তাব্যক্তিরা এইসব এলাকা পরিদর্শন করে নিদান দিয়েছেন যে, নিকাশি ব্যবস্থার মাধ্যমে খুব দ্রুত অবস্থার উন্নতি করবেন। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় আবার ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা আছে।

বাংলা প্রতিবদেন রচনা সাজেসান

পথ নিরাপত্তা সপ্তাহে পথ দেখাল স্কুলের ছেলেমেয়েরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রামনগর, ৩ মার্চ ২০২১ —পথ নিরাপত্তা নিয়ে এত প্রচার, এত ‘ Safe drive, save life ‘ তবু দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত শনিবার রামনগর স্কুল বাজারসংলগ্ন রাস্তার ওপর এক পথচারী গুরুতর জখম হয়ে হসপিটালে ভরতি আছে, অবস্থা সংকটজনক। গত সােমবার বারুইপুরের মহকুমা শাসকের উদ্যোগে বারুইপুর সংলগ্ন মাঠে পথনিরাপত্তা নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হল, উক্ত
অনুষ্ঠানে বহুলােকের সমাগম থেকে মহকুমা শাসক পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনের উদবােধন করে স্থানীয় কয়েকটি স্কুলকে পালন করার দায়িত্ব অর্পণ করেন। স্থানীয় রামনগর বিদ্যালয়, ধপধপি উচ্চ বিদ্যালয়, বারুইপুর এবং গােবিন্দপুর স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকজন করে বাছাই করা ছাত্রছাত্রী টানা এক সপ্তাহ নিয়ম করে বারুইপুর কুলপী রােড এবং বারুইপুর ক্যানিং রােডের উপর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে এক অণুকরণীয় নজির স্থাপন করল।
অবশ্য উক্ত বিদ্যালয়গুলির প্রধানশিক্ষক এবং কিছুকিছু সহকারী শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের এই কাজে সর্বতােভাবে সাহায্য করেছিলেন। SDO সাহেবের নির্দেশে Office staff-এর কয়েকজন কর্মী প্রতিদিন Office-এর গাড়ি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের এই কাজে উৎসাহ প্রদান করে এলাকাবাসীদের সমীহ আদায় করে নেন। স্থানীয় BDO সাহেবও দু-দিন ঘুরে যান। ছাত্রছাত্রীদের এই কাজ দেখে এলাকার লােকজন
তথা অভিভাবক ও স্থানীয়েরা এতটাই উৎসাহিত এবং অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন যে, তাঁরাও নিজেদের ছেলেমেয়েদের এই কাজ দেখে আনন্দ উপভােগ করেছিলেন।