
মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেসান 2022 | Madhyamik History suggestion 2022
প্রশ্ন : শিক্ষা বিস্তারে প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্যবাদী বিতর্ক কী? উচ্চ শিক্ষার বিকাশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা আলোচনা করো ।
শিক্ষাবিস্তারে প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্যবাদী বিতর্ক:
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনের ৪৩ নং অনুচ্ছেদে ভারতে শিক্ষার জন্য বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। দেশীয় শিক্ষার জন্য প্রাচ্যবাদীরা এবং ইংরেজি শিক্ষার জন্য পাশ্চাত্যবাদীরা এই টাকা দাবি করলে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। প্রাচ্যবাদীরা চাইতেন, দেশীয় শিক্ষার ব্যবহারে সরকার অর্থ ব্যয় করুক। অপরপক্ষে, পাশ্চাত্যবাদীদের দাবি ছিল ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পাশ্চাত্য শিক্ষাপ্রসারে সরকারের অর্থ ব্যয় করা উচিত। প্রাচ্যবাদের সমর্থক ছিলেন প্রিন্সেপ, কোল- ব্রুক প্রমুখ এবং পাশ্চাত্যবাদের সমর্থক ছিলেন আলেকজান্ডার ডাফ, স্যান্ডার্স প্রমুখ ব্যক্তি। সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব দেয় জেনারেল কমিটি অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশনকে।
দ্বন্দ্বের অবসান : বড়ােলাট উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক-এর আইনসভার সদস্য স্যার থমাস ব্যাবিংটন মেকলে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের এক মিনিটে বলেন, ইউরােপের একটি ভালাে লাইব্রেরির এক তাক বই সমগ্র প্রাচ্য সাহিত্যের থেকে মূল্যবান। তার যুক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বেন্টিঙ্ক ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ মার্চ পাশ্চাত্য শিক্ষাকে সরকারি শিক্ষানীতি হিসেবে গ্রহণ করেন। প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব বা বিতর্কের অবসান ঘটে।
উচ্চশিক্ষার বিকাশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা:
১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই বাের্ড অফ কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড-এর নির্দেশনামা অনুসারে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত (১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ) হয়।
উদ্দেশ্য : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি হল— ১) বাংলা প্রেসিডেন্সি তথা ভারতে আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটানাে।
২) নিজ এলাকাভুক্ত বিভিন্ন কলেজের অনুমােদন, পরীক্ষাগ্রহণ ও উপাধি প্রদান করা ইত্যাদি।
বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা লাহাের থেকে রেঙ্গুন পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। শ্রীলঙ্কাও এর এক্তিয়ারভুক্ত ছিল।
পরিচালনা : বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আচার্য, উপাচার্য ও সেনেট গঠিত হয়েছিল। স্যার জেমস উইলিয়ম কোলভিল ছিলেন এর প্রথম উপাচার্য। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে স্যার আশুতােষ মুখােপাধ্যায় উপাচার্য হিসেবে যােগদান করলে ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণযুগ’ শুরু হয়। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও যদুনাথ বােস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক হন। কাদম্বিনী গাগুলি ও চন্দ্রমুখী বসু ছিলেন এখানকার প্রথম মহিলা স্নাতক। প্রতিষ্ঠার পর কালক্রমে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ লাভ করে।
মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেসান 2022 | Madhyamik History suggestion 2022
প্রশ্ন : উনিশ শতকের বাংলায় সমাজসংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজগুলির কীরূপ ভূমিকা ছিল?
উত্তর : ভূমিকা: উনিশ শতকের সমাজসংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের উল্লেখযােগ্য ভূমিকা ছিল। ব্রাহ্মসমাজ বােঝাতে আদি ব্রাহ্ম সমাজ ,ভারতবর্ষের ব্রাহ্মসমাজ, সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজ, নববিধান ব্রাম্মসমাজ প্রভৃতিকে বােঝায়। রাজা রামমােহন রায় কলকাতায় ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রাহ্মসভা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে এর নাম হয় ব্রাহ্মসমাজ । রামমােহনের মৃত্যুর পরবর্তীকালে ব্রাহ্মসমাজের নেতৃত্ব দেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশবচন্দ্র সেন প্রমুখ।
[1] কুসংস্কারের বিরােধিতা ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার প্রসার: ব্রাক্ষ্মসমাজ ভারতীয় সমাজে প্রচলিত নানা কুসংস্কারের যেমন বিরােধিতা করেছিল, তেমনই মানুষের মধ্যে যুক্তিবাদী চিন্তাধারার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
[2] জাতিভেদপ্রথা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরােধিতা: ব্রাহ্মসমাজ হিন্দুসমাজের জাতিভেদপ্রথা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরােধিতা করে। হিন্দুধর্মের নামে নানা প্রচলিত কুপ্রথার প্রতিরােধে ব্রাহ্ম সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
[3] নারীকল্যাণের ভূমিকা: ব্রাহ্মসমাজ নারীকল্যাণের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। যেমন—পর্দাপ্রথার বিলুপ্তিসাধন, বিধবাবিবাহের আইনসিদ্ধকরণ, বহুবিবাহ নিষিদ্ধকরণ, নারীসমাজে শিক্ষার প্রচলন প্রভৃতি।
[4] জাতীয় সংহতির চেতনা: ব্রাত্মসমাজ ভারতবাসীর মধ্যে জাতীয় সংহতির চেতনা প্রসারের ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। উদারপন্থী ধর্মীয় আদর্শ ও জাতীয়তাবাদের আদর্শ প্রচারের মাধ্যমে ব্রাহ্মসমাজ জাতীয় সংহতি চেতনার জাগরণ ঘটায়।
[5] সমাজসেবা: ব্রাহ্ম সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা ছিল সমাজসেবা ও জনহিতকর কাজের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী আদর্শ প্রতিষ্ঠা, যেমন—দুর্ভিক্ষের সময় কেশবচন্দ্র সেন একদল বাঙালি তরুণকে নিয়ে ত্রাণের এক দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন।
উপসংহার: ব্রাহ্মসমাজ বাংলার সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে অনুকরণযােগ্য দৃষ্টান্ত রেখেছিল। এই প্রতিষ্ঠান সমাজসংস্কারের মাধ্যমে এক জাতীয় জাগরণ ঘটাতে চেয়েছিল। পরবর্তীকালে রামকৃষ্ণ মিশন ব্রাহ্মসমাজের কিছু আদর্শ গ্রহণ করে।
আরও দেখুন : মাধ্যমিক ৫ টি অধ্যায়ের অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর সাজেসান
প্রশ্ন : ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করাে?
উত্তর :-
ভূমিকা: ঔপনিবেশিক আমলে বাংলা তথা ভারতে আধুনিক মুদ্রণব্যবস্থা চালু হলে মানুষের হাতে প্রচুর ছাপা বইপত্র আসতে থাকে। এসব ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিস্তারের গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছাপা বই একদিকে যেমন শিক্ষার অগ্রগতি ঘটায়, অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান শিক্ষার অগ্রগতি ছাপা বইয়ের চাহিদা বৃদ্ধি করে।
[1] গণশিক্ষার দিকে যাত্রা : ইতিপূর্বে হাতে লেখা বইয়ের দাম খুব বেশি হত। তাই এসব বই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ছিল এবং শিক্ষাদান ব্যবস্থা ছিল উচ্চবিত্তদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু ছাপা বই দামে সস্তা হওয়ায় তা সাধারণ মানুষ কেনার ও পড়ার সুযােগ পায়। এভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ঘটে যা গণশিক্ষার প্রসারের পটভূমি তৈরি করে।
[2] পাঠ্যবইয়ের সহজলভ্যতা : ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রচুর পরিমাণ মুদ্রিত ও দামে সস্তা পাঠ্যবই বাজারে আসতে থাকে। ফলে বইয়ের অভাব দূর হয় এবং শিক্ষাবিস্তারের পথ মসৃণ হয়।
[3] মাতৃভাষায় শিক্ষা : ছাপাখানার মাধ্যমে বাংলা ভাষায় ভাষাশিক্ষা, গণিত, ইতিহাস, ভূগােল, বিজ্ঞান ইত্যাদি বই, বােধিনী বা সহায়িকা বই বাংলা ভাষায় ছাপা হতে থাকে। ফলে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষায় শিক্ষাগ্রহণের সুযােগ পায়।
[4] শিশুশিক্ষা : ছাপা বই শিশুশিক্ষার অগ্রগতি ঘটাতে সহায়তা করে। ছাপাখানায় মুদ্রিত মদনমােহন তর্কালংকারের ‘শিশুশিক্ষা, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয়’, রামসুন্দর বসাকের বাল্যশিক্ষা’র মতাে বইগুলি শিশুশিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা নেয়।
[5] উচ্চশিক্ষা: আশিস খাস্তগীর উল্লেখ করেছেন যে, উনিশ শতকের। মধ্যভাগে ব্যাপক পরিমাণে পাঠ্যবই প্রকাশ হতে থাকলে তা । উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হয়ে ওঠে। ফলে, বাঙালির উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি অনেক সহজ হয়।
নারীশিক্ষার অগ্রগতি : উনিশ শতকের শেষার্ধে নারীশিক্ষার দাবি ক্রমশ জোরদার হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে সুলভ ছাপা বই নারীদের হাতে পৌঁছালে নারীশিক্ষার গতি ত্বরান্বিত হয়।
উপসংহারঃ ছাপা বই একদিকে শিক্ষার বিস্তারে ভূমিকা নিয়েছিল, অন্যদিকে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেসান 2022 | Madhyamik History suggestion 2022
প্রশ্ন : বাংলায় মুদ্রণশিল্পের বিকাশে গঙ্গাকিশাের ভট্টাচার্যের কীরূপ অবদান ছিল ?
উত্তর:-
ভূমিকা: অষ্টাদশ শতকের শেষদিকে ইউরােপীয় খ্রিস্টান মিশনারিরা। প্রথম বাংলায় আধুনিক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন
বাঙালিও মুদ্রণশিল্পের বিকাশে উল্লেখযােগ্য অবদানের স্বাক্ষর রাখেন। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন গঙ্গাকিশাের ভট্টাচার্য।
[1] শিক্ষানবিশ : ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভট্টাচাৰ্য্য’ নামে গ্রন্থটি থেকে তার সম্পর্কে জানা যায়।গঙ্গাকিশাের প্রথম জীবনে শ্রীরামপুরের ব্যাপটিষ্ট মিশনের ছাপাখানায় কম্পােজিটরের কাজ করতেন। এখান থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তিনি পরবর্তীকালে কলকাতায় এসে বই প্রকাশের কাজ শুরু করেন।
[2] সচিত্র বই: গঙ্গাকিশাের ফেরিস এন্ড কোম্পানি প্রেস থেকে ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে কবি ভারতচন্দ্রের সচিত্র অন্নদামঙ্গল কাব্যটি ছাপেন। এটিই ছিল বাঙালিদের সম্পাদনায় প্রথম সচিত্র বই। তৎকালীন বিখ্যাত শিল্পী রামাদ রায়ের আঁকা ছবি এই বইয়ে ব্যবহার করা হয়।
[3] বাঙালি গেজেটি প্রেস : অন্নদামঙ্গলের ব্যাপক বিক্রিতে উৎসাহিত হয়ে গঙ্গাকিশাের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় বাঙ্গাল গেজেটি প্রেস স্থাপন করেন। এটি ছিল বাঙালি মালিকানায় প্রথম ছাপাখানা। তিনি এখান থেকে নিজ সম্পাদনায় বাঙ্গাল গেজেটি প্রকাশ করতে থাকেন।
[4] বিভিন্ন বই: অন্নদামঙ্গল কাব্য ছাড়াও গঙ্গাকিশাের বিভিন্ন বই প্রকাশ করেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিল এ গ্রামার ইনইংলিশ এন্ড বেঙ্গলি’, ‘গণিত নামতা ব্যাকরণ লিখবার আদর্শ, ‘দায়ভাগ’, ‘চিকিৎসার্ণব’, ‘শ্রীমদ্ভাগবতগীতা’, ‘দ্রব্যগুণ’ প্রভৃতি।
উপসংহার: বাঙালিদের মধ্যে গঙ্গাকিশাের ভট্টাচার্যই ছিলেন প্রথম সংবাদপত্র সম্পাদক, মুদ্রাকর ও প্রথম বাংলা সচিত্র বইয়ের প্রকাশক। তার সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে এরপর থেকে বহু বাঙালি নিজেদের। উদ্যোগে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করে বইপত্র ও সংবাদপত্র প্রকাশনার জগতে।
প্রশ্ন : বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে ড. মহেন্দ্রলাল সরকারের কীরূপ অবদান ছিল?
উত্তর :- ভূমিকা: বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার বিকাশে মহেন্দ্রলাল সরকারের অসামান্য অবদান রয়েছে।
[1] যুক্তিবাদের প্রচার : পেশায় চিকিৎসক মহেন্দ্রলাল সরকার মানুষের অন্ধবিশ্বাস দূর করে তাদের যুক্তিবাদের সমর্থক হতে বলেন।
[2] আই. এ. সি .এস-এর প্রতিষ্ঠা: পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় নিয়মিত মৌলিক গবেষণা, বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তৃতার আয়ােজন প্রভৃতি উদ্দেশ্যে মহেন্দ্রলাল ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার বৌবাজার স্ট্রিটে ‘ভারতবর্ষীয় বিজ্ঞান সভা’ (ইন্ডিয়ান অ্যাসােসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’ বা (আই এ সি এস) প্রতিষ্ঠা করেন। বিজ্ঞানের অধ্যাপক ফাদার ইউজিন লফো তাকে এ কাজে বিশেষ সহায়তা করেন।
[3] বিজ্ঞান পত্রিকা প্রকাশ : মহেন্দ্রলালের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আই এ সি এস তার নিজস্ব পত্রিকা প্রকাশ করে। ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ফিজিক্স’ নামক এই পত্রিকাতে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রকাশিত হত।
উপসংহার: বিজ্ঞানচর্চার প্রসারে মহেন্দ্রলালের উদ্যোগ বাংলা তথা ভারতের বিজ্ঞানচর্চাকে অনেক ধাপ এগিয়ে দেয়। জগদীশচন্দ্র বসু চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন, মেঘনাদ সাহা প্রমুখ বিখ্যাত বিজ্ঞানী তার প্রতিষ্ঠানে গবেষণা করেছেন। এখানে গবেষণা করেই চন্দ্রশেখর ভেকট রমন ক্রিয়া’ (রমন এফেক্ট) আবিষ্কার করেন, যার জন্য তিনি নােবেল পুরস্কার পান।