মাধ্যমিক বাংলা সাজেসন: অসুখী একজন

মাধ্যমিক বাংলা সাজেসন : অসুখী একজন

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর:

প্রশ্ন: অসুখী একজন কবিতার মূল বক্তব্য নিজের
ভাষায় লেখ। অথবা, অসুখী একজন কবিতায় কাকে অসুখী বলা হয়েছে? সে কেন অসুখী? কবিতা অবলম্বনে তা বুঝিয়ে দাও

উত্তর :

অসুখী একজন : সাম্যবাদী ভাবধারার কবি পাবলাে নেরুদা তার অসুখী একজন কবিতায় আক্ষরিক ভাবে দুজন অসুখী মানুষের ছবি রয়েছে। এজন কবিতার কথক এবং অন্যজন বক্তার ফেলে আসা প্রিয়জন। সেই প্রিয়জনের সুখহীনতার কথা বক্তা সমগ্র কবিতা জুড়ে তুলে ধরেছেন।
অসুখী হওয়ার কারণ : অসুখী একজন কবিতায় কবি দেখিয়েছেন যুদ্ধ মানুষকে অসুখী করে। কবি বক্তা রূপে একজনকে চিহ্নিত করে তার জবানীতে এক পারিবারিক তথা সামাজিক ও রাষ্ট্রনৈতিক জীবনের চালচিত্র অঙ্কন করেছেন। বক্তা যুদ্ধের প্রয়ােজনে ঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। আর তার প্রিয়জন মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে যায়। মেয়েটি তার অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকে। দিন, মাস, বছর পেরিয়ে গেলেও সে আর ফিরে আসে না। যুদ্ধে সমতলে আগুন ধরে। কবির মিষ্টি বাড়ি, বারান্দা, ঝুলন্ত বিছানা, করতলের মতাে পাতা, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ সবকিছু যুদ্ধের আগুনে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। যেখানে শহর ছিল সেখানে পড়ে থাকে
কাঠকয়লা। দোমড়ানাে লােহা। পাথরের মূর্তির বিভৎস মাথা, রক্তের কালাে দাগ। মানুষের জীবনের আশা ভরসার দেবতারা ভেঙে যায়। টুকরাে টুকরাে হয়ে তাদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়।
মূল্যায়ন : এরূপ প্রেক্ষাপটে একাকী দাঁড়িয়ে অসুখী মেয়েটি শুধু জীবন ধারণের কষ্ট নিয়ে অপেক্ষমান। তার পরিচিত ব্যক্তির আগমন। প্রত্যাশা তাকে অধীর করে তুলছে। অন্তরকে বিদীর্ণ করে তুলেছে। তাই বলা যায় কবিতাটি যুদ্ধ বিরােধী তথা মানবতাবাদী কবিতা।

প্রশ্ন: ‘সেই মেয়েটির মৃত্যু হল না’—মেয়েটি কে, কোন প্রসঙ্গে এই বক্তব্য? বক্তব্যটির তাৎপর্য লেখ।

উত্তর :

প্রিয়তমা মেয়েটি : সাম্যবাদী ভাবধারার কবি পাবলাে নেরুদা রচিত অসুখী একজন কবিতায় মেয়েটি হল কবির প্রিয়তমা। অর্থাৎ কবিতার কথক ও সৈনিকের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে।
প্রসঙ্গ : দরজার সামনে অনন্ত প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল প্রিয়তমা। কবি তাকে অপেক্ষায় দাঁড় করিয়ে চলে এসেছিলেন। অনেক সময় অতিক্রান্ত হলেও কবিতার
কথক ফিরতে পারেননি। যুদ্ধের ভয়াবহ আগুনে সবকিছু ধ্বংস হয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি তবুও অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল। সেই প্রসঙ্গ আলােচ্য অংশটির অবতারণা।
তাৎপর্য : কবির প্রিয়তমা কখনােই অনুমান করতে পারেননি যে, কবি কখনাে আর ফিরে আসবে না। সময়ের ধারায় একের পর এক বছর কেটে যায়। বৃষ্টির ধারা কবির পথচলা পায়ের চিহ্ন মুছে দেয়। ঘাম জন্ম নেয় পথের বুকে একের পর এক পাথরের মতাে বছরগুলাে চেপে বসে মেয়েটির বুকে। মাথার ওপর অসহ্য যন্ত্রণা নেমে আসে। যুদ্ধ শুরু হলে চারিদিকের সময়ে পরিবেশ যুদ্ধের আগুনে ধ্বংস হয়। শিশু আর বাড়িরা মৃত্যুবরণ করে। তবুও সেই মৃত্যুপুরীর মধ্যে প্রিয়তমা মেয়েটি অনন্ত প্রতীক্ষা নিয়ে বেঁচে থাকেন। সমস্ত ভাঙনের মধ্যে সে যেন একমাত্র জীবনের প্রতীক। যুদ্ধের বিধ্বংশী আগুনের মন্দিরের দেবতা পর্যন্ত মন্দির থেকে বাইরে বেরিয়ে এল। কবির স্বপ্নের বাসভূমি চূর্ণ হয়ে গেল। তবুও সেই মেয়েটি অনন্ত প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে রইল।

মাধ্যমিক বাংলা সাজেসন: অসুখী একজন

প্রশ্ন: ‘তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না’—এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? কোন প্রসঙ্গে এই বক্তব্য? স্বপ্ন দেখতে না পারার কারণ কী?

উত্তর :

দেবতাদের কথা : চিলিয়ান কবি পাবলাে নেরুদার অসুখী একজন কবিতায় দেবতাদের কথা বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গ : যুদ্ধের সময় চারদিকে মৃত মানুষের শব জমে উঠেছিল। যে দেবতারা মানুষকে সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করে, মানুষের অনন্ত কল্যাণ করবেন, তারাও
মন্দির থেকে টুকরাে টুকরাে হয়ে ভেঙে পড়েছিল। সেই প্রসঙ্গে এই উক্তি।
স্বপ্ন দেখতে না পারার কারণ : অষ্টাদশ শতাব্দীর অন্নদামঙ্গলের কবি ভারতচন্দ্র লিখেছিলেন—“নগর পুড়লে দেবালয় কী এড়ায়? এই তির্যক বক্তব্যের কারণ সঙ্গত। যখন চারিদিকে ধ্বংসের কোলাহল শােনা যায় তখন দেবতারা যেন মানুষের মতাে অসহায় হয়ে পড়েন। যুদ্ধের আগমনে চারিদিকে শােনা যায় ভয়ংকর শব্দ দানবের রণ উন্মত্ততা। বাতাসে যখন বারুদের গন্ধ ঘরবাড়ি সবকিছু ভেঙে যায়। সারা অঞ্চল জুড়ে চলে আগুনের হােলি খেলা। ঈশ্বরের ধ্যানমগ্ন মূর্তিগুলি ছিন্নভিন্ন হয়। মন্দির থেকে তারা উল্টে পড়েন। টুকরাে টুকরাে হয়ে যায় দেবতাদের প্রতিকৃতি। কবির মনে হয়েছে এই দেবতারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না। তারা যেন অসহায় মানুষের মতাে বিপন্নতার শিকার হল। তারা আর মুক্তির পথ দেখাতে পারবে না। আশার আলাে তাদের জীবন থেকে দূরে চলে গেল কারণ তারা নিজেরাই অসহায়।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর:

প্রশ্ন: …ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ’-কে ধুয়ে দিল? কবি এ কথার মধ্যে দিয়ে কী বােঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর :

চিলিয়ান কবি পাবলাে নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতায় স্বয়ং কবির পায়ের দাগ ধুয়ে দিল বৃষ্টির জল। বৃহত্তর সমাজ ও পৃথিবীর দাবি কোনাে-কোনাে সময় মানুষকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করে। অগ্নিগর্ভ ভয়ানক বিপ্লবের পথকেই সে তার পথ বলে মনে করে। তার স্মৃতি, চেনা পৃথিবী, প্রিজনেরা সব কিছুকে পিছনে ফেলে সে এগিয়ে যায় চূড়ান্ত সংগ্রামের লক্ষ্যে। পৃথিবীতে ক্রমশ ধূসর হয়ে যায় মানুষটির স্মৃতি। এ প্রসঙ্গেই ‘ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ’ কথাটির অবতাড়না।

প্রশ্ন: “নেমে এল তার মাথার ওপর”—কী নেমে এল? কেন তা নেমে এল ?

উত্তর : কবি পাবলাে নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতার কবি তাঁর প্রিয় আবাসভূমি ত্যাগ করে চলে যাওয়ায় তার ওপর অপস্রিয়মাণ বছরগুলি ভারি পাথরের মতাে নেমে এল।

কবি যখন দূরে অনেক দূরে, তখন ক্রমে তার প্রিয় আবাসভূমিতে, চারপাশে অনেককিছুই বদলে যেতে শুরু করে। এরই একটি হল ক্ৰম অপস্রিয়মাণ বছরগুলির মাথার ওপর পাথরের মতাে ভার নিয়ে নেমে আসা। এ হল অবস্থার সমকালীন পরিবর্তন। দেশ তার প্রিয় সন্তানকে দূরে সরিয়ে রেখে সুখী নয় বলেই যেন, বছরগুলি ক্রমে ভারি পাথর হয়ে তার মাথার ওপর নেমে আসে।

প্রশ্ন: “শিশু আর বাড়িরা খুন হল।”—“শিশু’ আর বাড়িরা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? কেন তারা খুন হল?

উত্তর :

সভ্যতার ইতিহাসে সব কিছুই মানুষের চিন্তা-চেতনা কর্মোদ্যমেই সৃজিত। সেখানে নগর সভ্যতা যে অবয়ব তৈরি করে তাতে ‘বাড়ি’ হল প্রিয় বাসস্থান, যার মধ্যে
মানুষের গৃহসুখের সদিচ্ছা প্রকাশময় হয়। আর ‘শিশু’ হল ভবিষ্যত স্বপ্নের কোরক। কবি তাই এই দুই পৃথক আবেগের কেন্দ্রকে, আধারকে যুদ্ধ দ্বারা ধ্বংস হতে দেখিয়েছেন। যুদ্ধ এসে সব কিছু ধ্বংস করে। মানুষের স্বপ্ন-সৃজন-প্রেরণা সব কিছুই যুদ্ধে খুন হয়। যেমন খুন হয় বসবাসের বাড়ি আর আত্মার আত্মীয় শিশুরা। যুদ্ধই তাদের খুন করে।

প্রশ্ন: “তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না”।-মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর :

যুদ্ধ হলে সমাজের স্থিরতার অবসান ঘটে। যুদ্ধ হল রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের মতাে, যাতে শিশু মৃত্যু ঘটে, মানুষ নিরাশ্রয় হয়। সমতলে যেন আগুন ধরে যায়। এই অবস্থায় যে ঈশ্বরেরা হাজার বছর ধরে মন্দিরে ধ্যানমগ্ন ছিল তারাও ভেঙে পড়ে টুকরাে টুকরাে হয়ে। তাদের স্বপ্ন দেখা, বিশ্ববিধানকে নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদির শেষ হয়। এ আসলে ঈশ্বরের ভেঙে পড়া নয়, ঐশ্বরিকতার বা মানুষের ঈশ্বর বিশ্বাসের ভেঙে পড়া।

মাধ্যমিক বাংলা সাজেসন: অসুখী একজন

প্রশ্ন: “সেই মেয়েটির মৃত্যু হল না।”—এই মৃত্যু না হওয়ার তাৎপর্যটি ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর :

পাবলাে নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন কবিতায় কবিতার কথক বা কবির জন্য অপেক্ষারতা সেই মেয়েটির উল্লেখ পাই, যাকে কবি দরজায় দাঁড় করিয়ে রেখে। স্বদেশ ছেড়ে দূর থেকে দূরতর কোনাে স্থানে চলে যান। কিন্তু সেই অপেক্ষারতা। জানত না যে এই মানুষটি আর কোনােদিনই ফিরে আসবে না। এরপর জীবন নিজের ছন্দে চলল, ক্রমে সপ্তাহ-বছর অতিক্রান্ত হল। কবির পদচিহ্ন ধুয়ে গেল বৃষ্টিতে। কিন্তু সেই মেয়েটির অপেক্ষা যেন অন্তহীন। পাথরের মতাে ভারি আর নিষ্ঠুর আঘাতকারী বছরগুলি নেমে এল তার মাথার ওপর। তারপর যুদ্ধ শুরু হল। রন্তে আর অস্ত্রের গর্জনে ‘শিশু আর বাড়িরা’ খুন হল। অর্থাৎ মানুষের অস্তিত্বের চিহ্ন, প্রাণের চিহ্ন নিমূর্ল হতে শুরু করল। ক্রমে ধ্বংসে আগুন নেমে পড়ল সমতলে। শান্ত হলুদ দেবতাদের মন্দির, কবির শৈশব-স্মৃতি বিজড়িত মিষ্টি বাড়িটিও ধ্বংস হল। অর্থাৎ, সমস্ত শহরটাই জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে গেল। এত ধ্বংসের মধ্যেও কিন্তু অপেক্ষারতা সেই মেয়েটির মৃত্যু হয় না। কারণ ভালােবাসার মৃত্যু হয় না—পার্থিব সবকিছুই ধ্বংসের আওতাহীন, নশ্বর। একমাত্র মানবীয় ভালােবাসাই অবিনশ্বর। সে সময় থেকে সময়ান্তরে বয়ে যায়, পথ চেয়ে প্রিয়জনের প্রতীক্ষায়।

প্রশ্ন: “রক্তের একটা কালাে দাগ”।-রক্তের দাগ কালাে কেন ? পঙক্তিটির মধ্য দিয়ে কোন বীভৎসতার পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে?

উত্তর :

রক্ত ক্ষরণের সময় রক্ত থাকে সতেজ তাজা। তখন তার রং স্বাভাবিক রক্তাভ। কিন্তু এই দাগের ওপর দিয়ে যখন কালের প্রবাহ চলতে থাকে, তখন বাসি রক্তের দাগ হয়ে পড়ে কালাে।
প্রশ্নোদ্ধৃত পঙক্তিটির মধ্য দিয়ে যুদ্ধের ভয়াবহ আত্মপ্রকাশের রক্তক্ষয়ী রূপ প্রত্যক্ষ করা যায় যুদ্ধের। শুধু খুন করে, ধ্বংস করে এখানে এই খুন ও ধ্বংসের প্রতীক যেন ওই শুকনাে রক্তের কালাে দাগ। কবি সচেতনভাবেই মাটির বুকে অঙ্কিত কালাে রক্ত চিহ্ন দেখিয়ে যুদ্ধের বীভৎসতার বিরােধিতা করেছেন।

প্রশ্ন: “সেই মিষ্টি বাড়ি, সেই বারান্দা” এই পঙক্তিটির মধ্য দিয়ে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন এর অন্তর্নিহিত কারণ উল্লেখ করাে।


উত্তর :

প্রশ্নোদ্ধৃত পক্তিটিতে যে মিষ্টি বাড়ি ও বারান্দার উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি আসলে কবির সেই। বিশিষ্ট স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি ও বারান্দা; যার সঙ্গে কবির‌ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, আবালা সান্নিধ্যে তিনি যেখানে বড়াে হয়ে উঠেছেন। যুদ্ধ এসে অনাবশ্যক হামলা করলে কবির সেই মিষ্টি বাড়ি, বারান্দা আর পূর্বের অবস্থায় অবশিষ্ট রইল না। যুদ্ধ তাদের আগুনে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খুন করে দেয়। ফলে বারান্দাটিও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। যেখানে এক সময় কবি ঝুলন্ত বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়েছিলেন। যুদ্ধের আগুন সেই সবুজ স্মৃতিটুকুও ধ্বংস হয়ে গেল।

প্রশ্ন: “প্রাচীন জলতরঙ্গ সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে”—বলতে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর : প্রশ্নোদ্ধৃত পঙক্তিটি পাবলাে নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতা থেকে গৃহীত।
আগ্নেয় পাহাড়ের মতাে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের লেলিহান আগুন, সমতলকেও গ্রাস করেছিল। কবির শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত মিষ্টি বাড়িটিও যুদ্ধের নির্মম অভিঘাতে
ধ্বংস হয়ে গেছিল। সেই বাড়ির বারান্দার ঝুলন্ত বিছানা, গােলাপি গাছ, ছড়ানাে করতলের মতাে পাতা চিমনি ও প্রিয় প্রাচীন জলতরঙ্গ সবই ভেঙে গেল, সম্পূর্ণ ভস্ম হল যুদ্ধের আগুনে। অর্থাৎ কবির আশ্রয় অস্তিত্বের একমাত্র প্রতীক চিহ্নটিও যুদ্ধের নিষ্ঠুর ধ্বংসলীলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল।