মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন| ইতিহাসের ধারণা | ইতিহাস সাজেশন-2022

  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রথম অধ্যায় :ইতিহাসের ধারণা 

  1. নর্মদা বাঁচাও’আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন

      [A] সুনীতি দেবী

      [ B] মেধা পাটেকর✅

      [C] সরলাদেবী

      [D] এঁদের কেউ নন।

  1. আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল—

      [A] সরকারি চিঠিপত্র

      [B] সরকারি নথিপত্র

      [C] আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা

      [D] সবকটি (Ans) 

  1. নতুন সামাজিক ইতিহাসের সূচনা হয়—

    [A] ১৯৪০-৫০ এর দশকে

    [B] ১৯৫০-৬০ এর দশকে

    [C] ১৯৬০-৭০ এর দশকে✅

    [D] ১৯৭০-৯০ এর দশকে

  1. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকাটি ছিল—

     [A] সাপ্তাহিক পত্রিকা

     [B] পাক্ষিক পত্রিকা

     [C] মাসিক পত্রিকা✅

     [D] দৈনিক পত্রিকা

  1. যুগান্তর দল’ গঠিত হয় নিম্নলিখিত কোন্ সালে

     [A] ১৯০২ খ্রিঃ

     [B] ১৯০৪ খ্রিঃ 

     [c] ১৯০৫ খ্রিঃ

     [D] ১৯০৬ খ্রিঃ✅

  1. ভারতে ক্রিকেট খেলার সূচনা হয়—

    [A] ১৭১৫ খ্রিস্টাব্দে

    [B] ১৭২০ খ্রিস্টাব্দে

    [C] ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে✅

    [D] ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে

  1. ইতিহাসের জনক’ নামে পরিচিত

   [A] থুকিডিডিস

   [B] ঐতিহাসিক র্যাঙ্কে

   [C] হেরােডােটাস✅

   [D] ঐতিহাসিক ফিশার

৪. ক্রিকেট খেলার উদ্ভব হয়েছিল—

     [A] ভারতে

     [ B] ইংল্যান্ডে ✅

     [C] জার্মানিতে 

     [D] অস্ট্রেলিয়াতে

  1. ভারতের প্রথম সচল ছবি নির্মিত হয়—

      [A] ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে

      [B] ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে

      [C] ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে

      [D] ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে✅

  1. ইংল্যান্ডে প্রথম রেলপথ চালু হয়—

     [A] ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে✅

     [B] ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে

     [c] ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে

     [D] ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে

  1. সরকারি নথিপত্র যেখানে রক্ষিত হয় তা হল

      [A] মিউজিয়াম

      [B] রাষ্ট্রীয় গ্রন্থাগার

      [C] মহাফেজখানা✅

      [D] জেলখানা

  1. জীবনস্মৃতি’ নামক আত্মজীবনীটি রচনা করেন

      [A] স্বামী বিবেকানন্দ

      [B] স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী

      [C] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর✅

      [D] সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

  1. ইতিহাস হল—

      [A] অতীতের বাস্তবতার অনুসন্ধান✅

      [B] বর্তমানের বাস্তবতার অনুসন্ধান

      [C] ভবিষ্যৎ-বিশ্লেষণ

      [D] কোনােটিই নয়

  1. জীবনের ঝরাপাতা’ প্রকাশিত হয়েছিল—

     [A] প্রবাসী-তে

     [B] গণবানী-তে

     [C] দেশ পত্রিকাতে✔️

     [D] আনন্দবাজার পত্রিকাতে

  1. বিপিনচন্দ্র পাল ছিলেন—

     [A] নরমপন্থী নেতা

     [B] চরমপন্থী নেতা☑️

     [C] নরপন্থী ও চরমপন্থী নেতা

     [D] ওপরের সবকটি অসত্য

  1. হিস্টোরিয়া (Historia) নামক শব্দ থেকে হিস্ট্রি (History) কথার উদ্ভব; শব্দটি হল

        [A] ইংরেজি শব্দ 

        [B] জার্মান শব্দ 

        [C] গ্রিক শব্দ ☑️

        [D] স্পেনীয় শব্দ

  1. “ইতিহাস হল অতীত ও বর্তমানের অন্তহীন কথােপকথন।”মন্তব্যটি করেছেন

       [A] থুকিডিডিস 

       [B] লর্ড অ্যাকটন 

       [C] এডমন্ড বার্ক

      [ D] ই. এইচ. কার☑️

  1. ভারতে প্রথম হকি ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়—

      [A] মুম্বাই

      [B] আমেদাবাদ 

      [C] কলকাতায় ✅

      [D] মাদ্রাজে

  1. চিপকো আন্দোলন (ভারতে) হল—

     [A] নারী আন্দোলন।

     [B] স্বাধীনতা আন্দোলন

     [C] পরিবেশ আন্দোলন☑️

     [D] শ্রমিক আন্দোলন

  1. ‘অগ্নিযুগের অগ্নিকন্যা’ বলা ।

    [A] ইন্দিরা গান্ধি

    [B] মাতঙ্গিনী হাজরা

    [C] সরলাদেবী চৌধুরানী☑️

    [D] কেউ নন

প্র:ভারতের নারী ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে কয়েক জন গবেষিকার নাম লেখাে।

উত্তর : ভারতী রায়, রত্নাবলী চট্টোপাধ্যায়, নীরা দেশাই, শমিতা সেন।

প্রঃ ‘জীবন স্মৃতি’ নামক আত্মজীবনী কার লেখা?

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

প্রঃ . পােশাক পরিচ্ছদের ইতিহাস চর্চার সঙ্গে যুক্ত একজন গবেষক ও তাঁর গ্রন্থের নাম লেখাে।

উত্তর : এল. টেলর। তাঁর গবেষণা গ্রন্থের নাম হল ‘দ্য স্টাডি অব ড্রেস হিস্ট্রি।

প্রঃ ভারতীয় যাদুঘর কবে প্রতিষ্ঠা হয় ?

উত্তর : ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে।

প্রঃ চিকিৎসাবিদ্যায় রেডিওলজি ব্যবহার কখন হয়?

উত্তর : ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে।

প্রঃ স্বদেশী আন্দোলনকালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর : সরলাদেবী চৌধুরানী।

প্রঃ কে ইতিহাসের জনক’ নামে পরিচিত?

উত্তর : গ্রিক ঐতিহাসিক হেরােডােটাস।

প্রঃ ইউরােপে খেলার ইতিহাসের চর্চা কখন শুরু হয়?

উত্তর : ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে।

প্রঃ . ‘সােমপ্রকাশ’ পত্রিকা কবে প্রকাশিত হয়?

উত্তর : ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে।

প্রঃ . মহাত্মা গান্ধির ব্যবহৃত টুপি কী নামে পরিচিত?

উত্তর : গান্ধি টুপি।

সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করাে :

(ক) আধুনিক ভারতের স্থাপত্যকর্মের সবথেকে বড় শিল্পী ছিলেন চার্লস কোরিয়া।

(খ) সরলাদেবীর স্বামী ছিলেন রামভুজ সাহা।

(গ) লরি বেকার একজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ছিলেন।

(ঘ) গিরিশচন্দ্র ঘােষ ছিলেন একজন বিখ্যাত মঞ্চ অভিনেতা।

(ঙ) ভরত মুনি রচনা করেন নাট্যশাস্ত্র।

উত্তর : (ক) সত্য। (খ) মিথ্যা। (গ) মিথ্যা। (ঘ) সত্য। (ঙ) সত্য।

শূন্যস্থান পূরণ করাে :

(ক) ধ্যানচাঁদ ছিলেন একজন – – – খেলােয়াড়।

(খ) রসগােল্লার ইতিহাস নিয়ে লেখা – – – – – এর গ্রন্থটি হল ‘রসগােল্লা : বাংলার জগৎ মাতানাে আবিষ্কার।

(গ) – – – – – পাক প্রণালী’ বইটি লিখেছেন।

(ঘ)——— কলকাতা দর্পণ’-বইটি লিখেছেন

(ঙ) – – – – – – পরিবেশ সংক্রান্ত ইতিহাস চর্চা প্রথম শুরু হয়।

উত্তর : (ক) হকি। (খ) হরিপদ ভৌমিক। (গ) বিপ্রদাস মুখােপাধ্যায়। (ঘ) রাধারমন মিত্র। (ঙ) আমেরিকায়।

নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঠিক ব্যাখ্যা নির্বাচন করাে :

বিবৃতি : মানুষ নানা শহর ও নগর সৃষ্টি করেছে।

ব্যাখ্যা-১ : সহজভাবে খাদ্য জোগান পাওয়ার প্রয়ােজনে।

ব্যাখ্যা-২: জীবনকে গতিময় এবং আরাে সহজ করার প্রয়ােজনে।

ব্যাখ্যা-৩ : জীবিকার প্রয়ােজনে করেছে।

উত্তর : ২। জীবনকে গতিময় এবং আরাে সহজ করার প্রয়ােজনে।

দুটি অথবা তিনটি বাক্যে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

1. শহরের ইতিহাস কী?

উত্তর : শহরের উদ্ভব, বিকাশ, বিস্তার ও অবক্ষয় সম্পর্কিত ইতিহাস চর্চা হল শহরের ইতিহাস। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য ১৯২০-র দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শহরের ইতিহাসচর্চার সূচনা হয়।

2. বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী ‘সত্তর বছর’ থেকে কীভাবে স্বায়ত্তশাসনের ধারণা পাওয়া যায়?

উত্তর : ‘সত্তর বছর থেকে উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের কলকাতায় সামাজিক ও রাজনৈতিক মতাদর্শের উদ্ভবের ইতিহাস জানা যায়। বিপিনচন্দ্র তার এই আত্মজীবনীর ছাত্রাবাস না জনরাজ্য অংশে দেখিয়েছেন। এভাবে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক ধারণা থেকেই ভারতে স্বায়ত্তশাসনের ধারণার ইতিহাসের উপাদান পাওয়া যায়।

3. খেলার ইতিহাস বলতে কী বােঝায়?

উত্তর : আধুনিক সভ্যতায় অবসর বিনােদন ও শারীরিক দক্ষতা প্রদর্শনের বিশেষ ক্ষেত্র হল খেলা। বিশ শতকের থেকে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, টেনিস, দাবা প্রভৃতি খেলার উদ্ভব প্রসার ও প্রভাব সম্পর্কে শুরু হওয়া ইতিহাসচর্চা খেলার ইতিহাস নামে পরিচিত।

4. ভারতে কীভাবে ক্রিকেট খেলার সূচনা হয়?

উত্তর : ১৭২১ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের সূত্র ধরেই ভারতে ক্রিকেট খেলার সূচনা হয়।কিন্তু তা ইংরেজদের ক্লাব পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। আঠারাে শতকের শেষে ভারত প্রথম ক্রিকেট ক্লাব কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়—“ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব (১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে)।

5. চলচ্চিত্রের ইতিহাস বলতে কী বােঝায়?

উত্তর : ১৮৩০-এর দশকের বাণিজ্যিকভাবে ক্যামেরার ব্যবহার হয়। এবং উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে উন্নত ক্যামেরার মাধ্যমে সচল ছবি তােলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত বিশ শতকের গােড়ায় আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে সবাক ও সচল ছবি তৈরি হয়, যা চলচ্চিত্র নামে পরিচিত।

6. ভারতে রেলপথ ব্যবস্থার প্রবর্তন কীভাবে হয়?

উত্তর : মূলত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক উদ্দেশ্যে ইংরেজ ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে রেলপথ ব্যবস্থা প্রবর্তন করে (২৬ এপ্রিল ১৮৫৩ খ্রি.)। প্রথমে মহারাষ্ট্রের বােম্বাই থেকে থানে পর্যন্ত ছিল এর ব্যাপ্তি। পরে “গ্যারান্টি” প্রথার মাধ্যমে ভারতে রেলপথের বিকাশ ঘটে।

7. নৃত্যশিল্পের ইতিহাস কয়েকটি দিক চিহ্নিত করাে।

উত্তর : ছন্দ বা গান তালে তালে মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালনই হল নৃত্য। ধর্মীয় নৃত্যের পাশাপাশি ভাবাবেগ প্রকাশেরও নৃত্য রয়েছে। উল্লেখযােগ্য নৃত্যগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিপ-হপ, চিনের ইয়াংকো, ভারতের কথক, ফ্রান্স ও রাশিয়ার ব্যালে নৃত্য।

৪. নতুন সামাজিক ইতিহাস কী?

উত্তর : ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে নাগরিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক আন্দোলনের কারণে ঘটনার নতুন ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের সূচনা হয়। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, জাতি-বর্ণ ও জাতিবিদ্বেষ হিংসা ও সম্প্রীতি।

9. ইতিহাস কী?

উত্তর : মানব সভ্যতার বিবর্তনের কাহিনি হল ইতিহাস। ইতিহাস শব্দটার ইংরেজি প্রতিশব্দ হল History। এই History শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘ইস্তোরিয়া’ (Istoria)অথবা লাতিন শব্দ ‘হিস্টোরিয়া’ (Historia) থেকে। উভয়ের অর্থ হল একই অনুসন্ধানের মাধ্যমে সঠিক তথ্য উপস্থাপনা করা। আবার History = His + Story! His-এর অর্থ মানুষের আর Story-এর অর্থ গল্প।

10. আধুনিক ইতিহাস চর্চা বৈচিত্র্যময় কেন?

উত্তর : আধুনিক ইতিহাস চর্চা অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়, কেননা আধুনিক ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে সরকারি নথিপত্র, কোন দেশে বা অঞ্চলের খেলাধুলা, খাদ্যাভাস, পােশাক-পরিচ্ছদ,যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থা, শিল্পচর্চা সমকালীন সংবাদক্ষেত্র ফটোগ্রাফ, পােস্টার প্রভৃতি বিষয়গুলির চর্চা আবশ্যিক হয়ে পড়ে।

সাত বা আটটি বাক্যে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

1. স্থাপত্য ইতিহাস বলতে কী বােঝায়?

উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীন স্থাপত্যগুলি হল ইতিহাসের সাক্ষী, তাই স্থাপত্যের ইতিহাস হল অনেকটাই জীবন্ত ইতিহাস।

ইতিহাস নির্মাণ : স্থাপত্যগুলির মাধ্যমে অতীত ও বর্তমান যুক্ত থাকে বলে স্থাপত্যগুলির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত সময়ের ইতিহাস রচনায় এগুলির ভূমিকা তুলে ধরা হয়।

স্থাপত্যরীতি : প্রতিটি পৃথক স্থাপত্যরীতির বৈশিষ্ট্য, বিবর্তন ও তার ধারাবাহিকতা তুলে ধরা এই ইতিহাসের বিশেষ লক্ষণ এ প্রসঙ্গে ইউরােপের স্থাপত্যে ডােরীয় রীতি,গথিক রীতির কথা বলা যায়।

প্রতিষ্ঠাকাল :স্থাপত্যের ইতিহাস মূলত ধর্মীয়, প্রশাসনিক বা নান্দনিকতার উদ্দেশ্য নির্মিত স্থাপত্যগুলির প্রতিষ্ঠাকাল ও প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি চিহ্নিত করা হয়।

উপসংহার : স্থাপত্যের ইতিহাসচর্চার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতি, রাজনীতি ও সংস্কৃতির ইতিহাসও জড়িয়ে থাকায় স্থাপত্য ইতিহাস সামগ্রিক ইতিহাসের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

2. সরকারি নথিপত্র বলতে কী বােঝাে? অথবা, 

সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব ইতিহাস উপাদানে কতটা?

অথবা, আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের ভূমিকার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সরকারি নথিপত্র। এই সরকারি নথিপত্রের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল সরকারি প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন পদাধিকারীদের প্রতিবেদন ঘটনার বিবরণ চিঠিপত্র ইত্যাদি। যা ইতিহাস রচনার প্রয়ােজনীয় উপাদান।

সরকারি প্রতিবেদন : সরকারি আধিকারিকরা, গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারী, পুলিশ বা গােয়েন্দা,সচিব প্রভৃতিরা বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবেদন পাঠাতে সরকারের কাছে। আন্দোলন বা গুপ্তবিপ্লবী কার্যকলাপ বা নিছকই দিনলিপি বা সব ধরনের প্রতিবেদনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষ কমিশনের প্রতিবেদন : সরকার বিশেষ বিশেষ সমস্যার জন্য কমিশন গঠন করে এবং সেই কমিশন সরকারকে রিপাের্ট জমা দিত। এই রিপাের্টে বিভিন্ন ঐতিহাসিকযতথ্য পাওয়া যায়। সাইমন কমিশন, হান্টার কমিশন প্রভৃতি প্রতিবেদন থেকে ঐতিহাসিক উপাদান সংগ্রহ করা যায় তাই এই প্রতিবেদনগুলি গুরুত্বপূর্ণ।

চিঠিপত্রের আদান-প্রদান : সরকারি ব্যবস্থায় চিঠিপত্র আদান-প্রদান করা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। বিশেষ করে প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শাসনকর্তাদের চিঠিপত্রের ব্যাপক আদান-প্রদান ঘটত। এই চিঠিপত্রের মাধ্যমে তারা শাসনকার্য পরিচালনায় বিভিন্ন প্রস্তাবের যেমন আলােচনা করতেন, তেমনি কোনাে শাসনতান্ত্রিক সমস্যার সমাধানের জন্য চেষ্টা করতেন।

নথির গ্রহণযােগ্যতা : সরকারি কর্মচারী এবং আধিকারিকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সাথে প্রতিবেদন তৈরি করেন, কারণ নথিপত্রগুলির বিশেষ গ্রহণযােগ্যতা থাকে ঐতিহাসিক উপাদান হিসাবে।

প্রশাসনিক নথি : সরকারি প্রশাসনের অন্যতম স্তম্ভ পুলিশ, গােয়েন্দা ও সরকারি আধিকারিকরা বিভিন্ন সময়ে সরকারকে গােপন প্রতিবেদন পাঠায়। এই প্রতিবেদনগুলি থেকে বিভিন্ন জাতীয় গণ-আন্দোলন ও বিপ্লবী আন্দোলন সম্বন্ধে প্রচুর তথ্য পাওয়া যায়।

উপসংহার : ঔপনিবেশিক সময়কাল থেকে বর্তমান কাল অবধি এই সরকারি নথিগুলি যত্নের সাথে সংরক্ষিত হয়। গােয়েন্দাদের প্রতিবেদন, আধিকারিকদের বিবরণ প্রভৃতি নথিপত্র ইতিহাস রচনার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

3. ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাস ও পােশাক-পরিচ্ছদের ইতিহাস লেখাে

উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক ভারতের শিল্প সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ হল চলচ্চিত্র।আর বর্তমানে বিপুল অর্থ ব্যয়ে প্রচুর সংখ্যক চলচ্চিত্র নির্মিত হতে চলেছে।আধুনিক ভারতে নারী ও পুরুষের পােশাক ও পরিচ্ছদ ভিন্ন প্রকৃতির।

ভারতীয় চলচ্চিত্র : ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে দাদাসাহেব ফালকে ‘হরিশচন্দ্র’ নামে ভারতে প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র রূপায়ণ করেন। প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘আলমআড়া’ এর আবির্ভাব ঘটে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে প্রমথনাথ বড়ুয়ার পরিচালনায় শরৎচন্দ্রের ‘দেবদাস’।চলচ্চিত্র জগতে আলােড়ন সৃষ্টিকারী তিনজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব হলেন সত্যজিৎ রায়,ঋত্বিক ঘটক ও মৃণাল সেন প্রমুখ।

বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্র : আধুনিক ভারতে গত তিন-চার দশক ধরে সিনেমা তৈরির পিছনে সামাজিক সম্পর্ক তৈরির বিষয় অপেক্ষা দর্শকের আধুনিকতার জৌলুস দেখানাের বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পেয়েছে।

বিভিন্ন প্রদেশের নারীর পােশাকের বৈচিত্র্য : উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজস্থান অঞ্চলের নারীরা অধিকাংশই সালােয়ার কামিজ ব্যবহার করেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম অঞলের নারীরা মেখলা চাদরে অভ্যস্ত। অধিকাংশ মুসলিম নারীরা বােরখা পড়ে চলতে অভ্যস্ত। শহর ও নগরাঞ্চলের গ্রামাঞ্চলের কমবয়সি নারীদের পােশাক-পরিচ্ছদ চুড়িদার-পাজামা ও সালােয়ার কামিজ-এ আধিক্য।

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের পুরুষ ও নারীদের পােশাক ও পরিচ্ছদ : ভারতবর্ষের বাঙালি পুরুষ আবহমান কাল ধরে ধুতি-পাঞ্জাবিতে অভ্যস্ত। দক্ষিণ ভারতের পুরুষেরা ধুতিকে দোপাট্টা করে খালি গা বা উত্তরীয় পড়তে অভ্যস্ত। উত্তর ভারতের সাধারণ মানুষেরা হাঁটুর ওপরে ধুতি ও গায়ে একটা গামছা জাতীয় পােশাক পড়েন। মুসলিমরা অনেক সময় শেরওয়ানি পরে ও অনেক ক্ষেত্রে লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি পরেন। বর্তমানে শিক্ষিত ও কর্মরত পুরুষেরা জামা-প্যান্ট পরতেই বেশি আগ্রহী।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমানে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক স্থাপন সূত্রে ও নারীদের বাড়ির বাইরে কাজের সূত্রে পােশাক-পরিচ্ছদের বৈচিত্র্য ক্রমশ কমে আসছে।

4. বিপিনচন্দ্র পাল তাঁর ‘সত্তর বৎসর’ আত্মজীবনীতে কী ব্যাখ্যা করেছেন?

অথবা

বিপিনচন্দ্র পালের আত্মচরিত সত্তর বৎসর’ কীভাবে ভারতের আধুনিক ইতিহাসের উপাদান হয়ে উঠেছে তা বিশ্লেষণ করাে।

অথবা

ঐতিহাসিক উপাদান হিসাবে ‘সত্তর বৎসরের গুরুত্ব কী?

উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক ইতিহাস রচনার উপাদানের অন্যতম উপাদান হল স্মৃতিকথা আত্মকথন। প্রখ্যাত চরমপন্থী বিপ্লবী, সমাজসংস্কারক বিপিনচন্দ্র পালের লেখা আত্মজীবনী হল ‘সত্তর বৎসর।

জীবন কাল: এই রচনার তার জন্মস্থান শ্রীহট্টের কথা, তার পরিবার এবং সেই সমাজের কথা, কলকাতায় আসা, প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্রজীবন ইত্যাদি বিষয়েও নানা তথ্য পাওয়া যায়।

বাংলার ইতিহাস : আলােচ্য গ্রন্থটি বাংলার সামাজিক জীবন ও সমাজ তথা রাষ্ট্রের যুগ পরিবর্তনের সাক্ষী। কেননা বিপিনচন্দ্র ঊনবিংশ ও বিংশ দুটি শতাব্দীর পট পরিবর্তন লক্ষ করেছেন।

সংস্কৃতি :‘সত্তর বৎসর’ থেকে গ্রামীণ সংস্কৃতি অর্থাৎ দোল-দুর্গোৎসব, যাত্রাগান ও পুরাণপাঠ, বিবাহ প্রথার পাশাপাশি কলকাতার তৎকালীন সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস ও বিধিনিষেধ,মধ্যপান ও মদ্যপান নিবারণী সমিতির কথা জানা যায়।

ব্রাহ্ম সমাজের রাজনৈতিক আদর্শ : তিনি দেখিয়েছেন ইংরেজি শিক্ষিত বাঙালিরা নতুন সামাজিক আদর্শের সন্ধান পেয়েছিল। তৎকালীন ব্রাম্মসমাজও এই শিক্ষিত বাঙালিদের মধ্যে স্বাধীনতার আদর্শের সার করেছিল।

উপসংহার : বিপিনচন্দ্র পাল এই আত্মজীবনীটি রচনা করেছেন ১৯২৬ খ্রিঃ বাঙলার সমাজ, কলকাতার অবস্থা জাতীয়তাবাদ বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এই সবই স্থান পেয়েছে। সত্তর বৎসর ইতিহাসের উপাদান হিসাবে এর বিশেষ গুরুত্ব আছে।

5.টীকা : আধুনিক ইতিহাসচর্চা। অথবা

 আধুনিক ইতিহাসচর্চার বৈচিত্র্য সম্পর্কে আলােচনা করাে। অথবা

আধুনিক ইতিহাসচর্চা কীভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে?

উত্তর : ভূমিকা : ইতিহাস হল মানুষের কাহিনি, মানুষের এগিয়ে চলার কাহিনি,জয়যাত্রার কাহিনি, এই কাহিনির ব্যাখ্যা ও গবেষণা করেন ,ঐতিহাসিকদের কাজকে বলা হয় ইতিহাস চর্চা।

ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য : ইতিহাস বহমান, তাই নির্দিষ্ট স্থান ও কালের সীমানার মধ্যে ইতিহাসকে আবদ্ধ রাখা যায় না। এর জন্য কোনাে কোনাে ঐতিহাসিকও বিশ্বজনীন ইতিহাসের কথা বলেছেন। অনেকে আবার অনুন্নত জাতি গােষ্ঠি বা নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

সামাজিক ইতিহাস : সমাজের দরিদ্র কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর সবাইকে নিয়েই নতুন সামাজিক ইতিহাসচর্চা শুরু হয়েছে।

খেলার ইতিহাস : বর্তমানে খেলাকে দেশ এবং জাতির সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যেমন—ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, দাবা।

খাদ্যাভাষ ইতিহাস : মানুষ খাদ্য ছাড়া বাঁচতে পারে না। তাই যুগ যুগ ধরে একই রকম ভাবে খাদ্যের জন্য সংগ্রাম বা লড়াই করে জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে প্রথমে গাছের ফলমূল খায় পরে মাছ জীবজন্তু খাবার খেতে শুরু করে।

পােশাক পরিচ্ছদ : সৃষ্টির প্রথমে কোনাে পােশাক ছিল না। পুরােনাে পাথরের যুগে মানুষ পশুর চামড়া ও গাছের ছাল পরিধান করত। পরে যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কার্পাস ও পশমের বস্ত্র ব্যবহার শুরু হয়।

মূল্যায়ন : খেলাধূলা যদিও বিনােদন তবুও সমাজ সংস্কৃতির একটি অঙ্গ। মানুষ দেশ ও জাতির প্রতিফলন ঘটে এই খেলার মাধ্যমে।

6. ইতিহাসের উপাদান হিসাবে বঙ্গদর্শনের গুরুত্ব নির্ণয় করাে। অথবা, বঙ্গদর্শন পত্রিকার গুরুত্ব লেখাে।

উত্তর : ভূমিকা : বাংলাদেশে ঊনবিংশ শতাব্দীতে প্রচুর সাময়িক পত্র প্রকাশিত হতে থাকে, তৎকালীন সময়ের ইতিহাস রচনায় তাদের গুরুত্ব ব্যাপক, ঠিক এরকমই একটি উল্লেখযােগ্য পত্রিকার নাম ‘বঙ্গদর্শন।

বঙ্গদর্শনের প্রকাশ : প্রথমে ১৮৭২ খ্রিঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এই পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন সঞ্জীব চন্দ্র।

কৃষক স্বার্থ সংরক্ষণ : চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ও জমিদারি প্রথার কারণে কৃষক-স্বার্থ নষ্ট হলে ‘বঙ্গদর্শন’-এ কৃষক স্বার্থ সংরক্ষণের কথা প্রকাশ করা হয়।

উদারপন্থী বাঙালির পত্রিকা :বঙ্গদর্শন ছিল মধ্যবিত্ত উদারপন্থী বাঙালির পত্রিকা,বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং শুধু বঙ্কিমচন্দ্র নন তখনকার বিখ্যাত লেখক চন্দ্রনাথ বসু, রামদাস সেন, দীনবন্ধু মিত্র প্রমুখদের রচনা প্রকাশ পেত ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায়।

ইতিহাসের উপাদান : সুযােগ্য সম্পাদক ও প্রখ্যাত লেখকদের অবদানে এই পত্রিকায় তৎকালীন সামাজিক অবস্থা, রাজনৈতিক অবস্থা, ধর্মচিন্তা প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কিত প্রবন্ধ প্রকাশিত হত। ব্রিটিশ সরকার ও বাংলার অভিজাত সম্প্রদায়ের অত্যচার নিয়েও লেখা হতে থাকে তাই এই পত্রিকা সেই সময়কার ইতিহাস রচনার বিশেষ উপাদান।

উপসংহার :বঙ্গদর্শন পত্রিকা তখনকার বাঙালির মনে বিরাট প্রভাব ফেলেছিল।গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিপিনচন্দ্র পাল-এর পত্রিকা সম্পর্কে যে উক্তি তার থেকেও এই ধরাণাই স্পষ্ট হয়।

7. যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার ইতিহাস বর্ণনা করাে অথবা, 

ভারতের যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার ইতিহাস সম্পর্কে টীকা লেখাে।

অথবা, 

যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করাে।

উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক ইতিহাসচর্চার অন্যতম একটি দিক হল যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থা। প্রথম ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৭০-এর দশকে এই ইতিহাসচর্চার সূচনা হয়।

যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য/অবদান :

আবিষ্কার : প্রথমে চাকার আবিষ্কার শুরু হয়েছিল। এরপর যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার সময় এর সঙ্গে সঙ্গে যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে তিন ভাবে—(ক) জলপথ,(খ) স্থলপথ ও (গ) আকাশপথ।

যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নততম দিকগুলাে হল—চিঠিপত্র, টেলিফোন, রেডিও, টিভি,ফ্যাক্স, মােবাইল ফোন, কম্পিউটার ইত্যাদি।

রেলপথ স্থাপন : লর্ড ডালহৌসি ১৮৫৩ সালে ১৫ এপ্রিল বােম্বে থেকে থানে পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করেন।ভারতীয় সাম্রাজ্যকে চালানাের জন্য সেনাদের দ্রুত পাঠানাের জন্য, কঁচামাল ও শিল্পজাত দ্রব্য দ্রুত আমদানি ও রপ্তানি করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ভারতে রেলপথ নির্মাণ করেন।

প্রযুক্তির উন্নতি : টেলিগ্রাফ ও ডাক ব্যবস্থা একটি উন্নত প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ দিক।১৮৫১ খ্রি. ভারতবর্ষে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং ১৮৫৮ খ্রি. ডাক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।

প্রভাব : যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থা বাণিজ্য যাতায়াত সাম্রাজ্যবাদের প্রসার,নগরায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে।

মূল্যায়ন : যানবাহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থা মানবজীবনকে সহজ করে তুলেছিল সেই সময় একটি আমূল পরিবর্তন এনেছিল যার প্রভাব আজও অস্বীকার করতে পারি না।

One thought on “মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন| ইতিহাসের ধারণা | ইতিহাস সাজেশন-2022”

  1. Pingback: 5 টি অধ্যায়ের ইতিহাস সাজেশন|Madhyamik History Suggestion 2022|rlearn - Rlearn Education

Comments are closed.