মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান :আলো
Part Number – – – – – – 2
1.গােলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাস ও ফোকাস দূরত্ব বলতে কী বােঝায় চিত্রসহ লেখাে।
Ans=> মুখ্য ফোকাস : একগুচ্ছ সমান্তরাল রশ্মি কোনাে গােলীয় দর্পণের প্রধান অক্ষের সঙ্গে সমান্তরালভাবে দর্পণে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর রশ্মিগুলি, অবতল দর্পণের ক্ষেত্রে, প্রধান কক্ষের ওপর অবস্থিত একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে মিলিত হয় এবং উত্তল দর্পণের ক্ষেত্রে, প্রধান অক্ষের ওপর অবস্থিত একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় এই নির্দিষ্ট বিন্দুটিকেই (F) মুখ্য ফোকাস বা ফোকাস বিন্দু বলে ।
ফোকাস দৈর্ঘ্য : কোনাে গােলীয় দর্পণের মেরু বিন্দু থেকে মুখ্য ফোকাস বিন্দু পর্যন্ত দূরত্বকে, ওই দর্পণের ফোকাস দূরত্ব (PF = f) বলে।
Q. দাড়ি কামানাের সময় সমতল দর্পণের পরিবর্তে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয় কেন?
অথবা, দাড়ি ফেলার সময় কোন ধরণের দর্পণ ব্যবহার করা হয় এবং কেন?
Ans=> দাড়ি কামানাের সময় সমতল দর্পণের পরিবর্তে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা বেশি সুবিধাজনক। কারণ,মুখের সামনে একটি অবতল দর্পণকে ওর ফোকাস দূরত্বের থেকে কম দূরত্বে রাখলে মুখের অসদ্ , সমশীর্ষ এবং বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব দেখা যায়। প্রতিবিম্ব বিবর্ধিত হয় বলে দাড়ি কামাতে সুবিধা হয়।
প্রঃ গাড়ির ভিউ ফাইন্ডার হিসাবে কোন ধরনের দর্পণকে ব্যবহার করা হয় ও কেন?
অথবা, মােটর গাড়ির ভিউফাইন্ডারে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয় কেন?
Ans=> দূরের বস্তু থেকে আগত আলােকরশ্মি উত্তল দর্পণের ওপর আপতিত হলে দর্পণটির পিছনে সােজা কিন্তু আকারে অনেক ছােটো প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। তাই গাড়ির চালকের পিছনে থাকা গাড়িগুলি থেকে আগত আলােকরশ্মি গাড়ির দর্পণে আপতিত হয়ে দর্পণে ওই সমস্ত গাড়ির সােজা ও আকারে ছােটো প্রতিবিম্ব হয় ।একটি উত্তল দর্পণের দৃষ্টিক্ষেত্র অনেক বড়াে হওয়ায় চালক গাড়ির পিছনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে আগত যানবাহনকে ওই দর্পণে দেখতে পায় ।তাই, মােটর গাড়ির ভিউফাইন্ডারে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয় ।
প্রঃ একটি দর্পণকে স্পর্শ না করে কীভাবে বুঝবে যে দর্পণটি সমতল , অবতল না উত্তল?
Ans=> দর্পণটির খুব কাছে একটি বস্তু নিয়ে যাওয়া হল। যদি প্রতিবিম্বটি
1.সমশীর্ষ ও বস্তুর সমান আকারের হয়, তবে দর্পণটি সমতল ।
2.সমশীর্ষ ও বস্তুর চেয়ে আকারে বড়াে হয়, তবে দর্পণটি অবতল ।
- সমশীর্ষ ও বস্তুর চেয়ে আকারে ছােটো হয়, তবে দর্পণটি উত্তল ।
প্রঃ কোনাে গােলীয় দর্পণকে জলে নিমজ্জিত করলে ওর ফোকাস দৈর্ঘ্যের কী পরিবর্তন হবে?
Ans=> আলাের প্রতিফলনের সূত্রগুলি মাধ্যম নিরপেক্ষ । ফলে, যে কোনাে গােলীয় দর্পণের ফোকাস বিন্দুর অবস্থান তথা ফোকাস দৈর্ঘ্যের মান সংলগ্ন মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর আদৌ নির্ভর করে না। তাই, বায়ু বা জল না অন্য যে কোনাে মাধ্যমের জন্যই দর্পণের ফোকাস দূরত্ব সর্বদাই ধ্রুবক হয়।সুতরাং, গােলীয় দর্পণকে জলে নিমজ্জিত করলে ওর ফোকাস দৈর্ঘ্যের কোনাে পরিবর্তন হবে না।
আরও পড়ুন : মাধ্যমিক চলতড়িৎ সাজেশান
প্রঃ একটি গােলীয় দর্পণের ওপর একবার লাল আলাে ও একবার নীল আলাে ফেলা হল। দুই ক্ষেত্রে কি দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য একই হবে না আলাদা হবে?
Ans=> গােলীয় দর্পণের ফোকাস দৈর্ঘ্য ব্যবহৃত আলাের বর্ণের ওপর নির্ভর করে না। তাই, গােলীয় দর্পণের ওপর লাল বা নীল আলাে ফেললে দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্য একই থাকবে।
প্রঃ ? রৈখিক বিবর্ধন কাকে বলে? এর একক কী ?
Ans=>রৈখিক বিবর্ধন : কোনাে বিস্তৃত বস্তুর প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য ( বা আকার) এবং বস্তুর দৈর্ঘ্য (বা আকার) এর অনুপাতকে রৈখিক বিবর্ধন বলে।
একক : দুটি সমজাতীয় রাশির অনুপাত হওয়ায় রৈখিক বিবর্ধন এর কোনাে একক নেই ।
প্রঃ কোন ধরণের গােলীয় দর্পণে সর্বদা অসদ প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
Ans=> উত্তল দর্পণে সর্বদা অসদ প্রতিবিম্ব গঠিত হয় ।
প্রঃ কোন ধরণের গােলীয় দর্পণে সর্বদা বস্তুর চেয়ে ছােটো প্রতিবিম্ব গঠিত হয়?
Ans=> উত্তল দর্পণে সর্বদা বস্তুর চেয়ে ছােটো প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
প্রঃ উত্তল দর্পণকে অপসারী দর্পণ বলে কেন?
Ans=> সমান্তরাল আলােক রশ্মিগুচ্ছ উত্তল দর্পণে প্রতিফলিত হয়ে একটি বিন্দু দিয়ে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় তাই উত্তল দর্পণকে অপসারী দর্পণ বলে।
Q. অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলা হয় কেন?
উত্তরঃ অবতল লেন্স আপতিত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছকে অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত করে বলে অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলে। মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্কে লেন্সের উপাদানের প্রতিসরাঙ্কের চেয়ে বেশি হলে উত্তল লেন্স অপসারী লেন্সের মতো এবং অবতল লেন্স অভিসারী লেন্সের মতো আচরণ করে।
প্রঃ দন্ত চিকিৎসকেরা পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য কোন ধরণের দর্পণ ব্যবহার করে এবং কেন?
Ans=> দন্ত চিকিৎসকেরা পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য অবতল দর্পণ ব্যবহার করে ।দন্ত চিকিৎসকের দর্পণ যন্ত্রে লাগানাে অবতল দর্পণটিকে মানুষের দাঁতের খুব কাজে নিয়ে এলে দাঁতটি দর্পণটির ফোকাস দৈর্ঘ্যের মধ্যে থাকে এবং এর ফলে দাঁতের একটি সােজা ও বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব দর্পণে সৃষ্টি হয়। দর্পণে উৎপন্ন প্রতিবিম্বটি দেখে ডাক্তারবাবু সহজে ও নির্ভুলভাবে দাঁত পরীক্ষা করতে পারেন।
প্রঃ রাস্তার ল্যাম্পপােস্টের আলাের প্রতিফলক হিসাবে কী জাতীয় দর্পণ ব্যবহার করা হয় এবং কেন?
Ans=> রাস্তার ল্যাম্পপােস্টের আলাের প্রতিফলক হিসাবে উত্তল দর্পণ ব্যবহার করা হয় ।
কারণ : উত্তল দর্পণের দৃষ্টিক্ষেত্র অনেক প্রশস্ত হওয়ায় এই দর্পণ প্রতিফলিত আলােকে অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে দেয়। ফলে, বিস্তীর্ণ অঞ্চল আলােকিত হয় ।
প্রঃ টিভির ডিশ অ্যান্টেনায় এবং সৌরচুল্লীতে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয় কেন? ব্যাখ্যা করাে।
Ans=> টিভির ডিশ অ্যান্টেনায় অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয় কারণ যােগাযােগ ব্যবস্থায় উপগ্রহ দ্বারা সম্প্রচারিত TV এর সংকেতগুলি প্রচুর সংখ্যায় এই ডিশ সংগ্রহ করে তার ফোকাসে অবস্থিত অ্যান্টেনায় কেন্দ্রীভূত করে এবং এর দ্বারা টেলিভিশন সম্প্রচারের উপযােগী শক্তিশালী বৈদ্যুতিন সংকেত উৎপাদন করা যায় ।
সৌরচুল্লিতে সূর্য থেকে আগত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছকে ঘণীভূত বা কেন্দ্রীভূত করার প্রয়ােজনে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়। সৌরচুল্লিটিকে একটি সুবৃহৎ অবতল দর্পণের কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়। এই অবতল প্রতিফলক আগত সৌরতাপ ও তরঙ্গকে দর্পণের ফোকাসে কেন্দ্রীভূত করে। এর ফলে চুল্লিতে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় , যা দিয়ে ইস্পাতকেও গলিয়ে দেওয়া যায় ।
প্রঃ মােটর গাড়ির হেডলাইটে বা সার্চলাইটে কোন ধরণের দর্পণ ব্যবহার করা হয় এবং কেন?
Ans=> মােটর গাড়ির হেডলাইটে বা সার্চলাইটে অবতল দর্পণ ব্যবহার করা হয় ।কারণ : আলােক উৎস বা বাল্বটিকে অবতল দর্পণের ফোকাসে রাখলে বাল্ব থেকে নির্গত আলােকরশ্মি দর্পণে আপতিত হয়ে প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে নির্গত হয়। ফলে, নির্গত আলাের তীব্রতা অনেক বেশি হয় ও অনেক দূর পর্যন্ত আলাে যেতে পারে।বর্তমানে আলাের তীব্রতা আরাে বাড়ানাের জন্য অধিবৃত্তীয় দর্পণ ব্যবহার করা হয়। কারণ অধিবৃত্তীয় দর্পণ বেশি প্রস্থচ্ছেদযুক্ত সমান্তরাল রশ্মি উৎপন্ন করে, ফলে অনেকটা অঞ্চল ভালােভাবে আলােকিত হয় ।
প্রঃ আলাের প্রতিসরণ কাকে বলে?
Ans=> আলাের প্রতিসরণ : আলােকরশ্মি যখন এক স্বচ্ছ ও সমসত্ত্ব মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমের বিভেদতলে তির্যকভাবে আপতিত হয়, তখন দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ করার পর আলােকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তন ঘটে ।আলােকরশ্মির গতির অভিমুখের পরিবর্তনের ঘটনাকে আলাের প্রতিসরণ বলে।বিভিন্ন আলােকীয় মাধ্যমে আলাের গতিবেগ বিভিন্ন হওয়ার জন্যই প্রতিসরণ হয় ।
প্রঃ আলােকরশির লঘু মাধ্যম থেকে ঘন মাধ্যমে এবং ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে গতিপথের রেখাচিত্র অঙ্কন করাে। চ্যুতিকোণের রাশিমালা লেখাে।
প্রঃ আলাের প্রতিসরণের সুত্রগুলি বিবৃত করাে।
প্রথম সুত্র : আপতিত রশ্মি , প্রতিফলিত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে দুই মাধ্যমের বিভেদতলের উপর অঙ্কিত অভুলম্ব সর্বদা একই সমতলে থাকে।
ব্যাখ্যা : আপতিত রশ্মি A0 , প্রতিসৃত রশ্মি 0B এবং আপতন বিন্দু 0 তে বিভেদতল এর ওপর অঙ্কিত অভিলম্ব NON’ একই সমতলে অবস্থান করে ।
দ্বিতীয় সূত্র : দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং নির্দিষ্ট বর্ণের আলােকরশ্মির প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইন এর অনুপাত সর্বদা ধ্রুবক হয়।
ব্যাখ্যা :আপাতন কোন i এবং প্রতিসরণ কোন r হলে – Sin i/Sin r= 1μ2 (ধ্রুবক)
ধ্রুবক 1μ2 কে প্রথম মাধ্যম সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বা আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক বলে। প্রতিসরাঙ্কের মান মাধ্যম দুটির প্রকৃতি ও ব্যবহৃত আলাের বর্ণের ওপর নির্ভর করে। আপতন কোণের মানের ওপর নির্ভর করে না ।দ্বিতীয় সূত্রটিকে আবিষ্কারকের নামানুসারে স্নেলের সূত্র বলা হয় ।
Q. স্নেলের সূত্রটি কখন প্রযােজ্য হয় না ব্যাখ্যা করাে।
Ans=> লম্ব আপতনের ক্ষেত্রে স্নেলের সূত্রটি প্রযােজ্য হয় না ।আলােকরশ্মি দুই মাভ্যমের বিভেদতলে লম্বভাবে আপতিত হলে আপতন কোন i = প্রতিসরণ কোন r = 0 হয় ।সুতরাং 1μ2 = Sin i / Sin r=0/ 0=অনির্নেয়।অথচ মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক নির্দিষ্ট। তাই এক্ষেত্রে সূত্রটি প্রয়োগ করা যায় না।
Q. প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে? এর একক ও মাত্রা উল্লেখ করাে ।
Ans=> প্রতিসরাঙ্ক : আলােকরশ্মির প্রতিসরণের সময় তির্যক আপতনের ক্ষেত্রে আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত কে প্রথম মাধ্যম সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বলে।
একে u (মিউ) প্রতীক দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ প্রতিসরাঙ্ক (u)=Sin i/ Sin r
• প্রতিসরাঙ্কের একক ও মাত্রা : প্রতিসরাঙ্ক দুটি সমজাতীয় রাশির অনুপাত , তাই এর কোনাে একক বা মাত্রা নেই।
Q. প্রতিসরাঙ্কের মান কোন কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ব্যাখ্যা করাে।
Ans=> প্রতিসরাঙ্কের মান মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ।
1. মাধ্যমন্বয়ের প্রকৃতি : শূন্যস্থানে বা সাপেক্ষে কোনাে মাধ্যমে আলাের বেগ যত কম হয়, ওই মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক তত বেশি হয়।
2. মাধ্যমের উষ্ণতা : সাধারণভাবে মাধ্যমের উষ্ণতা বৃদ্ধিতে নির্দিষ্ট বর্ণের আলাের জন্য মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক কমে। গ্যাসীয় মাধ্যমের এই পরিবর্তন উল্লেখযােগ্য হয়। কিন্তু , তরলের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন অতি সামান্য ও কঠিনের ক্ষেত্রে নগণ্য।
3. আপতিত আলাের বর্ণ বা তরঙ্গদৈর্ঘ্য : শূন্যস্থানে বিভিন্ন বর্ণ তথা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলাের বেগ সমান হলেও কোনাে জড় মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের ক্ষেত্রে বেগ ভিন্ন হয়। তাই বর্ণের পরিবর্তন হলে আলাের প্রতিসরাঙ্কও পরিবর্তিত হয় ।তরঙ্গদৈর্ঘ্য বাড়লে কোনাে মাধ্যমে প্রতিসরাঙ্ক কমে। দূশ্যমান বর্ণালির মধ্যে লাল আলাের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি এবং বেগুনি আলাের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম।তাই, কোনাে মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক লাল বর্ণের জন্য সর্বনিম্ন এবং বেগুনি বর্ণের জন্য সর্বাধিক হয়।
Q. সাধারণ কাগজ অস্বচ্ছ কিন্তু তৈলাক্ত কাগজ ঈষৎ স্বচ্ছ হয় কেন?
Ans=> সাধারণ কাগজের তল অসমৃণ হয় বলে, এই কাগজে আলাে আপতিত হলে তার বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন হয় ,কোনাে অংশই প্রতিসৃত হয় না। সেজন্য সাধারণ কাগজ অস্বচ্ছ।কিন্তু কাগজ তৈলাক্ত হলে কাগজের মধ্যের ফাঁকগুলি তেল দ্বারা পূর্ণ মত অবস্থায় কিছু পরিমাণ আলাে প্রতিসৃত হয়। তাই তৈলাক্ত কাগজ ঈষৎ স্বচ্ছ হয় ।
Q. একটি গ্লিসারিনপুর্ণ পাত্রে কাচদণ্ড ডােবালে তা অদৃশ্য হয়ে যায় কেন
Ans=> গ্লিসারিন (1.47) ও কাচের (1.48 – 1.6) প্রতিসরাঙ্ক প্রায় সমান হওয়ায় গ্লিসারিনের মধ্যে ডােবালে দুই মাধ্যমের বিভেদতলে আলােকরশ্মির প্রতিফলন বা প্রতিসরণ হয় না বললেই চলে। তাই কাচদন্ডকে অদৃশ্য মনে হয়
Q. প্রমাণ করাে যে, সমান্তরাল কাচ ফলকের মধ্য দিয়ে আপতিত ও নির্গত আলােকরশিদ্বয় পরস্পর সমান্তরাল হয়। অথবা, সমান্তরাল কচি ফলকের মধ্য দিয়ে আলাের প্রতিসরণের ক্ষেত্রে কোনাে কৌণিক চ্যুতি ঘটে না-ব্যাখ্যা করাে ।
Q:উপাক্ষীয় রশ্নির ক্ষেত্রে, কোনাে গােলীয় দর্পণের জন্য প্রমাণ করাে r = 2f
( r = বক্রতা ব্যাসার্ধ , f = ফোকাস দূরত্ব)।
Q. কাচের স্লাবের মধ্যে দিয়ে আলাের প্রতিসরণে আলােকরশির পার্শ্বসরণের পরিমাণ কীসের উপর নির্ভর করে?
Ans=> কাচের স্ল্যাবের মধ্যে দিয়ে আলাের প্রতিসরণে আলােকরশ্মির পার্শ্বসরণের পরিমাণ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর নির্ভর করে। (i) কাচের স্ল্যাবের বেধ (ii) আপতন কোণ এবং (ii) স্ল্যাবের উপাদানের প্রতিসরাঙ্কের উপর ।
Q. প্রিজমের মধ্য দিয়ে আলাের প্রতিসরণে চ্যুতিকোণের মান নির্ণয় করাে।
Q. লেন্স কী? লেন্সের কয়েকটি ব্যবহার লেখাে।Ans=> লেন্স : সাধারণত দুটি গােলীয় তল অথবা একটি গােলীয় তল এবং একটি সমতল দ্বারা সীমাবদ্ধ কোনাে স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে লেন্স বলে।
লেন্সের ব্যবহার : চশমা, ক্যামেরা, অণুবীক্ষণ যন্ত্র, টেলিস্কোপ ইত্যাদি যন্ত্রে লেন্স ব্যবহার করা হয় ।
Q. উত্তল লেন্স (Convex Lens) ও অবতল লেন্স (Concave Lens) কাকে বলে?
Ans=> উত্তল লেন্স : যে লেন্সের মধ্যস্থল মােটা এবং দু-প্রান্ত সরু তাকে উত্তল লেন্স বলে ।
- অবতল লেন্স : যে লেন্সের মধ্যস্থল সরু এবং দু-প্রান্ত মােটা তাকে অবতল লেন্স বলে।
Q. অভিসারী ও অপসারী লেন্স কী?
Ans=> লেন্সের মাধ্যম অপেক্ষা লঘু মাধ্যমে (যেমন – বায়ু মাধ্যমে) উত্তল বা অবতল লেন্স থাকলে তাদের ওপর আপতিত সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ যথাক্রমে অভিসারী ও অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিনত হয় । তাই উত্তল লেন্সকে অভিসারী এবং অবতল লেন্সকে অপসারী লেন্স বলে।
Q. একটি উত্তল লেন্স কখন অবতল লেন্সের (অপসারী) মতাে এবং একটি অবতল লেন্স উত্তল লেন্সের (অভিসারী) মতাে আচরণ করে?
Ans=> পারিপার্শ্বিক মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক লেন্সের উপাদানের প্রতিসরাঙ্ক অপেক্ষা বেশি হলে, আপতিত সমান্তরালরশ্মিগুচ্ছ উত্তল লেন্স দ্বারা প্রতিসৃত হওয়ার পর পরস্পর থেকে দূরে সরে যায়।একইভাবে অবতল লেন্সে প্রতিসৃত হওয়ার পর পরস্পরের কাছে চলে আসে ও ফোকাসে মিলিত হয়।
সুতরাং, এই শর্তে উত্তল লেন্স অপসারী ও অবতল লেন্স অভিসারী আচরণ দেখায়।
Q. বায়ুর সাপেক্ষে কাচের প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে কী বোঝো?
উত্তর: বায়ুর সাপেক্ষে কাচের প্রতিসরাঙ্ক 1.5 বলতে বোঝায় হলুদ বর্ণের আলোকরশ্মি বায়ু মাধ্যম থেকে কাচ মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হলে আপাতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের অনুপাত 1.5 হবে।
Q. একটি বস্তুকে একটি উত্তল লেন্সের ফোকাস রাখা হলে ঐ বস্তুর প্রতিবিম্ব কোথায় গঠিত হবে?
উত্তর: লেন্স থেকে বস্তুর বিপরীত দিকে ফোকাস দূরত্বের দ্বিগুণ দূরত্বে তৈরি হবে।
Q. কোন লেন্স সর্বদা অসদ বিম্ব গঠন করে?
উত্তর: অবতল লেন্স
Q. দীর্ঘ দৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তি কে কি ধরনের লেন্স ব্যবহার করতে হয়?
উত্তর: উত্তল লেন্স।
Q. স্বল্প বা রহস্য দৃষ্টি ত্রুটি যুক্ত লোক কি ধরনের লেন্স ব্যবহার করেন?
উত্তর: অবতল লেন্স।
Q. চোখের উপযোজন কাকে বলে?
উত্তর: চোখের লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য পরিবর্তন করে দূরের বা কাছের বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনায় উৎপন্ন করার ক্ষমতাকে চোখের উপযোজন ক্ষমতা বলে।
Q. স্বাভাবিক ও সুস্থ মানুষের চোখের ক্ষেত্রে স্পষ্ট দর্শনের নূন্যতম দূরত্বের মান কত?
উত্তর: 25 সেন্টিমিটার।
Q. কোন বর্ণের আলোর জন্য উত্তল লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য সর্বাধিক?
উত্তর: লাল বর্ণের আলোর।
Excellent