জৈব অভিব্যক্তি : মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান

Biological Evolution and Adaptation: Secondary Life Sciences|Madhyamik Life Science

প্রশ্ন : জৈব অভিব্যক্তি বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : যে মন্থর এবং গতিশীল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিকভাবে কোন সত্তার বিকাশ ঘটে থাকে এবং ধারাবাহিক পরিবর্তনের মাধ্যমে উদবংশীয় নিম্নশ্রেণির জীব থেকে জটিল উন্নত জীবের আবির্ভাব ঘটে থাকে তাকেই আমরা জৈব বিবর্তন বা জৈব অভিব্যক্তি বলে অভিহিত করি।

প্রশ্ন: কোয়াসারভেট বলতে আমরা কি বুঝি?

উঃ বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ওপারিনের মতামত অনুসারে পৃথিবীর আদিম অবস্থায় উত্তপ্ত সামুদ্রিক পরিবেশে কার্বোহাইড্রেট, লিপিড এবং প্রোটিন জাতীয় বৃহৎ জৈব অণু গুলি আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের দ্বারা প্রভাবিত হয় লঘু তরল থেকে সম্পূর্ণরূপে পৃথক হয় যে গোলাকার এবং বৃহৎ কলয়েড কনা সৃষ্টি করে থাকে তাকেই আমরা কোয়াসারভেট বলে থাকি।

প্রশ্ন : হট ডাইলিউট স্যুপ কি?

উত্তর- আদিম পৃথিবীতে সমুদ্রের জলে ফ্যাট অ্যামিনো অ্যাসিড কার্বোহাইড্রেট এবং অন্যান্য জটিল জৈব যৌগ লাভ করেছিল।

বিজ্ঞানী হ্যালডেন সমুদ্র জলের সঙ্গে মিশ্রিত ওই সকল জৈব যৌগ সম্পন্ন তরল কে তপ্ত লঘু স্যুপ বলে আখ্যায়িত করেন।

তার মতামত অনুসারে এই হট ডাইলিউট স্যুপেই প্রথম প্রাণের উদ্ভব ঘটেছিল।

প্রশ্ন : মিলার এবং উরের পরীক্ষায় ব্যবহৃত বিক্রিয়ক গুলির নাম ও অনুপাত এবং এই পরীক্ষায় উৎপন্ন কয়েকটি জৈব যৌগের নাম উল্লেখ করো।

উত্তর : হ্যারল্ড উরে এবং স্ট্যানলি মিলার তাদের পরীক্ষাগারে পৃথিবীর প্রাথমিক বায়ুমণ্ডলীয় পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তারা তাদের পরীক্ষায় মিথেন অ্যামোনিয়া, এবং হাইড্রোজেনকে বিক্রিয়ক হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।
এই সকল রাসায়নিক পদার্থের অনুপাত ছিল পর্যায়ক্রমে 2 : 2 :1।

তারা এই সকল রাসায়নিক পদার্থকে জলীয়বাষ্পের মধ্যে রেখে এদের উপর বিদ্যুৎ বিচ্ছুরণ করেন। তারা লক্ষ্য করেন বন্ধ কাচের ফ্লাক্সে অ্যাসপারর্টিক অ্যাসিড, গ্লাইসিন এবং অ্যালানিন জাতীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সংশ্লেষিত হয়েছে এবং বিভিন্ন রকমের অ্যালডিহাইড ও কার্বক্সিলিক অ্যাসিড সংশ্লেষিত হয়েছে।

প্রশ্ন : ডারউইনবাদের ত্রুটি গুলি উল্লেখ করো।

উত্তর : ✶ ডারউইনবাদ নতুন প্রজাতির উৎপত্তি সম্পর্কে ধারণা প্রদান করলেও প্রকরণের উৎপত্তি ধারণা দিতে অক্ষম।

✶ ডারউইন বাদের দ্বারা যোগ্যতমের উদবর্তনকে ব্যাখ্যা করা যায় না।

✶ ডারউইন মিউটেশনকে প্রকৃতির খেলা বলে উপেক্ষা করেছেন।
✶ ডারউইনবাদ নিষ্ক্রিয় অঙ্গের উপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ।

প্রশ্ন : প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ বলতে কী বোঝো? বংশগত প্রকরণসমূহ প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে কিভাবে নির্বাচিত হয়?

উত্তর : প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ অথবা ন্যাচারাল সিলেকশন হল সেই বিশেষ প্রক্রিয়ার যার দ্বারা অনুকূল প্রকরণ যুক্ত জীবেরা অন্যান্য জীব এদের তুলনায় বেশি সুযোগ সুবিধা অর্জন করে থাকে এবং জীবন সংগ্রামে সহজে জয় লাভ করতে পারে।

পৃথিবীতে বসবাসকারী বিভিন্ন প্রাণীরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের থেকে বিভিন্ন দিক থেকে আলাদা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকরণ বা ভেদ কেবলমাত্র সেইসকল প্রাণীর মধ্যেই লক্ষ্য করা যায় যারা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশের সাথে নিরন্তর লড়াই করে জয়লাভ করে।

কেবলমাত্র অনুকূল প্রকরণ জীবের জীবন সংগ্রামে সহায়তা প্রদান করে থাকে; প্রতিকুল প্রকরণ জীবের জীবন সংগ্রামে পথে বাঁধা হয়ে দাড়ায়।

প্রশ্ন : ডারউইনবাদ অনুযায়ী জিরাফের গলা লম্বা হওয়ার ঘটনাটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : ডারউইনের মত অনুসারে ‘জিরাফের লম্বা গলার’ বিবর্তনের ব্যাখ্যা :

উত্তর : ডারউইনের মতে জিরাফের পূর্বপুরুষদের বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের গলা দেখতে পাওয়া যেত। প্রথম দিকে যখন জিরাফেরা ঘাস, বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদকে খাদ্য হিসেবেগ্রহণ করত, তখন তাদের লম্বা গলার প্রয়োজন হতো না।

কিন্তু পরবর্তীকালে যখন এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের উদ্ভিদের ঘাটতি হয়েছিল তখন তারা উঁচু গাছের পাতা খেতে বাধ্য হয়েছিল। যার ফলে দীর্ঘ গ্রীবার প্রয়োজন হয়েছিল।
এই সময় স্বল্প গ্রীবা দৈর্ঘ্যের জিরাফগুলি না খেতে পেয়ে মারা যায় এবং শুধুমাত্র দীর্ঘ গ্রীবা দৈর্ঘ্যের জিরাফরাই বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়েছিল এবং জননের মাধ্যমে এই বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমে সঞ্চারিত হতে থাকে। তার ফলে একসময় খর্ব গ্রীবা যুক্ত জিরাফদের অবলুপ্তি ঘটে। প্রাকৃতিক নির্বাচনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, দীর্ঘ গ্রীবা যুক্ত জিরাফগুলি প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিল।

প্রশ্ন :নতুন প্রজাতির উৎপত্তি লাভের ক্ষেত্রে প্রকরণের ভূমিকা গুলি উল্লেখ করো।

ডারউইন এর মতামত অনুযায়ী এই পৃথিবীতে একই রকম কোন দুটি জীব লক্ষ্য করা যায় না।

বিভিন্ন জীবের মধ্যে কিছু মৌলিক সাদৃশ্য লক্ষ্য করা গেলেও তাদের মধ্যে আকার অথবা গঠনগত কিছুটা পিছু বৈসাদৃশ্য অবশ্যই থাকবে।

ডারউইন এইসকল পার্থক্য গুলিকে প্রকরণ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

জীবের জীবন সংগ্রামের অনুকূলে যে সকল প্রকরন হয়ে থাকে, তাদেরআমরা অনুকূল প্রকরণ বলে থাকি এবং বিভিন্ন প্রাণীকে পরিবেশেরসঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে থাকে। অন্যদিকে প্রতিকূল প্রকরণ জীবের অস্তিত্ব বজায় রাখার পথে বাধা সৃষ্টি করে থাকে।

প্রশ্ন : ল্যামার্কের মতবাদ অনুযায়ী ‘অর্জিত বৈশিষ্ট্যের বংশানুসরন’- উক্তিটির ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : বিজ্ঞানী ল্যামার্কের মতবাদ অনুসারে পরিবেশের প্রভাবে, ব্যবহার অপব্যবহার জনিত কারণে এবং শব্দ প্রচেষ্টার দ্বারা প্রত্যেক প্রাণীই তার জীবনকালে কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য অর্জন করে থাকে।

এই সকল অর্জিত বৈশিষ্ট্য সমূহ কেবলমাত্র ওই নির্দিষ্ট প্রাণীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনা,তা বংশানুক্রমে আপাত্তের মধ্যে সঞ্চারিত হয়।এই পদ্ধতিতে একটি নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয়ে থাকে।

প্রশ্ন : যোগ্যতমের উদবর্তন বলতে কী বোঝায় ?

উত্তর : চার্লস ডারউইন এর মতে জীবন সংগ্রামের ফলে জীবদেহে যে সমস্ত ভেদ বা প্রকরণ তৈরি হয় সেগুলির মধ্যে কিছু প্রকরণ ওই জিবের জন্য অনুকূল ও কিছু প্রকরণ প্রতিকূল হয়ে দাঁড়ায়। অনুকূল প্রকরণ গুলি জীবকে অভিযোজনে সাহায্য করে কিন্তু প্রতিকূল প্রকরণ গুলি অভিযোজনে সাহায্য করতে পারে না।ফলে প্রতিকূল প্রকরণ যুক্ত জীব ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয় এবং অনুকূল প্রকরণ যুক্ত যে পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য নির্বাচিত হয়। একেই যোগ্যতমের উদবর্তন বা যােগ্যতমের বেঁচে থাকা বলে। উপযুক্ত প্রকরণ যুক্ত জীবকে প্রাকৃতি নিজেই পরিবেশে টিকে থাকার জন্য নির্বাচিত করে। একেই প্রাকৃতিক নির্বাচন বলা হয়।

এই প্রসঙ্গে অবশ্যই উল্লেখ্য যে বিজ্ঞানী হার্বাট স্পেন্সার সর্বপ্রথম যোগ্যতমের উদবর্তন বা Survival of the fittest কথাটি ব্যবহার করেন। পরবর্তীকালে চার্লস ডারউইন তত্ত্বের মধ্যে কথাটি ব্যবহার করেন।

প্রশ্ন : ল্যামার্কের ব্যবহার এবং অব্যবহার এর সূত্রটি সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তর : কোন প্রাণী তার দেহের কোন অঙ্গের যদি ধারাবাহিকভাবে ক্রমাগত ব্যবহার করতে থাকে, তাহলে তার সেই বিশেষ অঙ্গটি সুদৃঢ় ও সবল এবং সুগঠিত হয়ে ওঠে।
অপরদিকে যদি কোন প্রাণী তার কোন অঙ্গের ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার বন্ধ করে দেয় তাহলে তার সেই অঙ্গটি ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে চলে এবং সর্বশেষে নিষ্ক্রিয় অঙ্গে বা লুপ্তপ্রায় অঙ্গ পরিণত হয়।

প্রশ্ন : ল্যামার্কের তত্ত্ব অনুযায়ী জিরাফের গলা লম্বা হওয়া কারণটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : বিজ্ঞানী ল্যামার্কের তত্ত্ব অনুযায়ী বর্তমানে আমরা যে জিরাফ লক্ষ্য করতে পারি, তাদের পূর্বপুরুষদের গলার আকৃতি ছিল ছোট প্রকৃতি।
কিন্তু পরিবেশের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের মূল গাছের পাতা খাওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে।
মূলত খাদ্যের প্রয়োজন তাদের মধ্যে উঁচু গাছের পাতা খাওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায় এবং এই প্রচেষ্টা বংশানুক্রমে সঞ্চারিত হতে থাকে।

এর ফলে খুব ধীরগতিতে জিরাফের গলা লম্বা হতে শুরু করে। মূলত সজ্ঞান প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জিত এই বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমে সংবাহিত হতে থাকে। বর্তমান জিরাফের গলা মূলত এই কারণের জন্যই লম্বা হয়েছে।

প্রশ্ন : ঘোড়ার জীবাশ্ম থেকে বিবর্তনের কী কী উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য পাই?অথবা, ঘোড়ার বিবর্তনে চারটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য লেখো যা পরিবর্তিত হয়েছে।
উত্তর:- ঘোড়ার জীবাশ্ম থেকে প্রাপ্ত বিবর্তনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য : ঘোড়ার বিবর্তনে যেসব বিশেষ পরিবর্তন ঘটেছে সেগুলি হল –

(i) দৈহিক উচ্চতা বৃদ্ধি,

(ii) দেহের আকার ও আয়তনের পরিবর্তন, (ii) অগ্র ও পশ্চাৎপদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি,

(iv) সোজা ও শক্ত পৃষ্ঠীয় ভাগ,

(v) পায়ে আঙুলের সংখ্যা হ্রাস।

প্রশ্ন : জলজ অভিযোজনের জন্য রুই মাছের পটকার ভূমিকা কী?
উত্তর:- জলজ অভিযোজনে রুই মাছের পটকার ভূমিকা : (i) অস্থি যুক্ত রুই মাছের পটকাটি মেরুদণ্ডের নীচে উদর গহ্বরে অবস্থিত। পটকাটি দুটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত। সামনের প্রকোষ্ঠে থাকা রেড গ্রন্থি থেকে নির্গত গ্যাসে পটকা (O2)স্ফীত হয়ে মাছকে জলে ভাসতে সাহায্য করে।
(ii) পিছনের প্রকোষ্ঠে থাকা রেটিয়া মিরাবিলিয়া নামক রক্তজালক ওই গ্যাস শোষণের মাধ্যমে মাছকে জলে ডুবতে সাহায্য করে। (iii) পটকার অগ্রপ্রকোষ্ঠে অক্সিজেন গ্যাস ভর্তি থাকায় এটি শ্বসনে সাহায্য করে।

প্রশ্ন : ক্যাকটাসের পর্ণকাণ্ডের অভিযোজনগত গুরুত্ব লেখো।
উত্তর:- (i) পর্ণকাণ্ড চ্যাপটা, পুরু, রসালো ও ক্লোরোফিল যুক্ত হওয়ায় সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করতে সক্ষম। (ii) কাণ্ডত্বক পুরু ও কিউটিকলযুক্ত বা মোমজাতীয় আবরণ যুক্ত হওয়ায় বাষ্পমোচন রোধ করে।

প্রশ্ন : পায়রার ফুসফুসের সঙ্গে বায়ুথলি যুক্ত থাকার কারণ কী ?
অথবা, পায়রার অভিযোজনে বায়ুথলির ভূমিকা লেখো।
অথবা, পায়রার বায়ুথলি কী সুবিধা প্রদান করে?

উত্তর:- পায়রার অভিযোজনে বায়ুথলির ভূমিকা : (i) ফুসফুসের সঙ্গে যুক্ত বায়ুথলিতে গরম বাতাস থাকায় পায়রার দেহ হালকা হয়। (ii) বায়ুথলিগুলি ফুসফুসে অতিরিক্ত বাতাস সরবরাহ করে যা অধিক শক্তি উৎপাদনের
জন্য প্রয়োজন। (iii) বায়ুথলি দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। (iv) বায়ুথলির বায়ু দ্বি-শ্বসনে সাহায্য করে।

প্রশ্ন : সুন্দরী গাছের দুটি অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য লেখো।
অথবা, সুন্দরী গাছ তার দেহের অতিরিক্ত লবণ কীভাবে রেচিত করে?

উত্তর:- সুন্দরী গাছের অভিযোজনগত বৈশিষ্ট্য: সুন্দরী গাছে নিম্নলিখিত অভিযোজন দেখা যায় – (i) জলের মাধ্যমে শোষিত লবণ পাতার লবণ গ্রন্থি ও মূলের মাধ্যমে দেহ থেকে বার করে দিয়ে লবণের বিষক্রিয়া থেকে
উদ্ভিদকে রক্ষা করে। (ii) কচিপাতা অপেক্ষা পরিণত পাতাতে অধিক লবণ জমা থাকে। পাতা ঝরে পড়ার আগে পাতায় লবণের পরিমাণ বাড়তে থাকে। সুতরাং পাতা ঝরে যাওয়ার মাধ্যমে এরা লবণ বার করে দেয়। (iii) সুন্দরী গাছের কোশগুলির ভ্যাকুওল কোশের প্রায় 90% জায়গা দখল করে থাকে। ভ্যাকুওলের কোশরসে এরা লবণ জমা রেখে কোশের অন্যান্য অংশকে বিষক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

প্রশ্ন : উটের রক্তকণিকার কী বিশেষ পরিবর্তন লক্ষণীয় ?
অথবা, উটের অভিযোজনে RBC-এর ভূমিকা কী?

উত্তর:- মরুভূমিতে অভিযোজনের নিমিত্ত উটের লোহিত রক্তকণিকার পরিবর্তন :

(i) উটের RBC গোলাকার না হয়ে ডিম্বাকার ও নিউক্লিয়াসবিহীন। RBC-র মধ্যে জল প্রবেশ করলেও RBC-র হিমোলাইটিসস ঘটে না কারণ, উটের RBC প্রায় 240 শতাংশ প্রসারিত হতে পারে (অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীতে 150 শতাংশ)। এর ফলে উট
অতিরিক্ত জল শোষণ করতে পারে। অতিরিক্ত জল পান উটকে জল বিয়োজন ও শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। (ii) RBC ডিম্বাকৃতি হওয়ায় রক্ত থেকে জল বেরিয়ে রক্ত ঘন হয়ে গেলেও এরা সংকীর্ণ রক্তবাহ দিয়ে চলাচল করে, ফলে শারীরবৃত্তীয় কাজে উটের অসুবিধা হয় না

প্রশ্ন : ওয়াগল নৃত্য কী?

উত্তর:- ওয়াগল নৃত্য : খাদ্যের অবস্থান চাক থেকে 100 মিটারের দূরে অবস্থিত হলে কর্মী মৌমাছিরা চাকের সামনে উল্লম্ব তলে ইংরেজি ‘৪’ সংখ্যার মতো নৃত্যের ভঙ্গিতে উড়তে থাকে, যা দেখে অন্য কর্মী মৌমাছিরা খাদ্যের অবস্থান নির্ণয় করতে পারে। একে ওয়াগল নৃত্য বা ওয়াগটেল নৃত্য বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *