মাধ্যমিক ভূগোল সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন | সেট নম্বর-2

সূচীপত্র :

  • ড্রামলিন এর সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট|
  • রসে মতানের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য |
  • বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা |
  • নিত্যবহ খাল|
  • সামাজিক বনসৃজন |
  • অরণ্য সংরক্ষণ |

মাধ্যমিক অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন : মান-2

ড্রামলিন :
হিমবাহের সঞ্চয়কার্যের ফলে অনেক সময় হিমবাহের শেষ প্রান্তে বরফগলা জল প্রবাহের মাধ্যমে হিমবাহবাহিত প্রস্তরখণ্ড, নুড়ি,কাঁকর, বালি প্রভৃতি এমনভাবে টিলার মতো সঞ্চিত হয় যে, সেগুলিকে দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন উলটানো নৌকা বা চামচ উলটানো অবস্থায় আছে। এই ধরনের ভূমিরূপগুলি ড্রামলিন নামে পরিচিত।

বৈশিষ্ট্য:

1. ড্রামলিন সঞ্চয়কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ|

2. এগুলির উচ্চতা 6 মি থেকে 60 মি হয়|

3. এগুলি হিমবাহ প্রবাহের দিকে অমসৃণ ও খাড়াই এবং বিপরীত দিকে মসৃণ ও ঢালু হয়।

উদাহরণ: সুইটজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতে এই ধরনের ভূভাগ দেখা যায়।

রসে মতানে :
হিমবাহের প্রবাহপথে শিলাখণ্ড ঢিবির আকারে উঁচু হয়ে থাকলে ক্ষয়কার্যের ফলে হিমবাহের প্রবাহের দিকে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় শিলাখণ্ডটি মসৃণ এবং বিপরীত দিকে উৎপাটন প্রক্রিয়ায়
এবড়োখেবড়ো বা অসমৃণ হয়। এই ধরনের ঢিবির নাম রসে মতানে |

বৈশিষ্ট্য:

[i] রসে মতানে একটি মাত্র শিলার ওপর গঠিত হয়।

[ii] রসে মতানের মসৃণ ঢালকে স্টস এবং অমসৃণ খাড়া ঢালকে লি বলে।

[iii] এর উচ্চতা বেশি।

[iv] এর বিস্তৃতি দৈর্ঘ্য কম।

উদাহরণ: কাশ্মীরে ঝিলামের উপনদী লিডার
উপত্যকায় রসে মতানে আছে |

বহুমুখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা :
যে পরিকল্পনার মাধ্যমে পার্বত্য বা পাহাড়ি অঞ্চলে নদীর ওপর আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলসেচ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, জলপথে পরিবহণ, মাছ চাষ, পানীয় জল সরবরাহ, ভূমিক্ষয় নিবারণ প্রভৃতি বহুবিধ উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় এবং নদী উপত্যকা অঞ্চলের সার্বিক কল্যাণ সাধিত হয়, তাকে বহুমখী নদী উপত্যকা পরিকল্পনা বলে।

উদ্দেশ্য : বহুমুখী নদী পরিকল্পনার উদ্দেশ্য গুলি হল- সেচ ব্যবস্থার উন্নতি, জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নৌচলাচল এবং জল সরবরাহ।

নিত্যবহ খাল :
যেসব নদীতে সারাবছর জল থাকে, সেইসব নদী থেকে খনন করা খালগুলিকে নিত্যবহ খাল বলে। এই নদীগুলি সারাবছর জলপূর্ণ থাকে বলে নিত্যবহ খালের মাধ্যমে সারাবছরই কৃষিজমিতে জলসেচ করা হয়। উদাহরণ: পাঞ্জাবের পশ্চিম যমুনা খাল।

সামাজিক বনসৃজন :
প্রধানত অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষদের প্রয়োজনীয় কাঠ, ফলমূল, পশুখাদ্য ও অন্যান্য বনজ দ্রব্যের চাহিদা পূরণ করতে যখন নির্ধারিত অরণ্যসীমার বাইরে, অব্যবহৃত জমি বা পতিত জমিতে (যেমন—খাল ও নদী পাড়ের জমি, বিদ্যালয়,
অফিস, ধর্মস্থান প্রভৃতির উন্মুক্ত জায়গা, রেল ও সড়কপথের দু- পাশের ফাঁকা জমি প্রভৃতি স্থানে) অরণ্য সৃষ্টি করা হয়, তখন তাকে সামাজিক বনসৃজন বলে।

অরণ্য সংরক্ষণ :
অরণ্য সংরক্ষণ বলতে বোঝায়,যথেচ্ছ ভাবে ও নির্বিচারে গাছ না কেটে এমন- ভাবে বিচারবিবেচনা করে ও সংযতভাবে অরণ্য ব্যবহার করা যাতে অরণ্যের সম্ভাব্য বিকাশ পরিপূর্ণ হয় এবং তার ফলে যেমন বর্তমানে অরণ্য সম্পদের উৎপাদন অব্যাহত থাকবে, তেমন ভবিষ্যতেও প্রয়োজনমতো অরণ্য – জাত দ্রব্যগুলি পাওয়া যাবে।

Rlearn Education