মাধ্যমিক বাংলা সাজেশান : ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’
Q. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি সময়ের যে সংকটের কথা বলেছেন, তা নিজের ভাষায় লেখো।
Ans.
সময়ের সংকট : শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি ২০০৩ সালের গুজরাটের দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে লেখা।
স্বাভাবিকভাবেই এই কবিতায় তাই সময়ের এক গভীর সংকট ধরা পড়েছে। যদি মানুষের একপাশে থাকে গিরিখাদ আর অন্যপাশে ধস নামে, তাহলে পা রাখার জায়গাটুকু পাওয়া যায় না। তেমনই মানুষের সঙ্গে মানুষের ধর্মীয় বিভেদ মনুষ্যত্বে ফাটল ধরায়। এই সংকট কালে মানুষ মানুষকে হত্যা করতেও সংকোচ বোধ করে না। ফলে মানবিকতার অপমান হয়, মানুষ অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। আশ্রয়হারা, শিকড় ছেঁড়া মানুষ নিজের পরিচয় ভুলে যায়, ভুলে যায় তার ঐতিহ্য। দিশেহারা এই জাতি তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পথ দেখাতে পারে না। এই কারণে অজস্র শৈশব অন্ধকার ভবিষ্যতে হারিয়ে যায়। আর সেইসব শিশুদের শব যেন আমাদেরই কাছে-দূরে ছড়িয়ে থাকে। এমন অন্ধকার সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যেন সমগ্র জাতির মৃত্যু হয়। তাদের সামনে চলার পথ হারিয়ে যায়। যে ভারতবর্ষ সর্বধর্ম- সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির গৌরবে উজ্জ্বল, সেই ভারতবর্ষের মানুষই ধর্মীয় যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে ইতিহাসের গৌরব নষ্ট করে। এই ভয়াবহ সময়ে দেশের অর্থনৈতিক দীনতাও প্রকাশিত হয়ে যায়। এমন বিপন্ন সময়ের সংকটকে ব্যক্ত করে কবি মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সৌহার্দ্য কামনা করেছেন।
Q. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি অন্ধকার সময়ের থেকে উত্তরণের জন্য কী বলেছেন?
Ans. শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি ভারতবর্ষের এক অন্ধকার সময়ের সমস্যাকে তুলে ধরে, সেই অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রার পথ দেখিয়েছেন।
অন্ধকার সময় থেকে উত্তরণ : ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি ২০০৩ সালে গুজরাট দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে রচিত। সন্ত্রস্ত সেই সময়ে ভারতবর্ষের মানুষের মানবতা অপমানিত হয় । ধর্মীয় বিভেদের কারণে যেসময় মানুষ মানুষকে খুন করতে দ্বিধাবোধ করে নি, দাঙ্গাবিধ্বস্ত সেইসময়ে বোমারু বিমানের সতর্ক পাহারায় মানুষ সন্ত্রস্ত। মানুষের পায়ের তলার মাটি সরে যায়। এমন অন্ধকার সময়ে মানুষ তার আত্মপরিচয় ভুলে যায়। দেশের শিশুদের ভবিষ্যৎ ছিল অন্ধকারে। সমগ্র জাতি যেন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। কবি এই দিশাহীন সময় পেরিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষকে আরো কাছাকাছি, সংঘবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। সেইসময় ভারতবর্ষ তার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গৌরবময় ঐতিহ্য ভুলে গিয়ে মানুষে মানুষে ধর্মীয় বিভেদে লিপ্ত। ভারতবর্ষের এমন দৈন্য অবস্থায় অর্থনৈতিক দীনতা ভারতবাসীকে আরও পঙ্গু করে দিয়েছে। তবুও কবি আশাহত হননি। তিনি মনে করেছেন পৃথিবী ভয়ংকর সংকটের মুখোমুখি দাঁড়ালেও মানবতার মৃত্যু হয় না। মানবতার বন্ধনে একত্রিত হয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমানুভূতির মধ্যে দিয়েই এই অন্ধকার সময় থেকে উত্তরণ সম্ভব।
Q. ‘আমরাও তবে এইভাবে/এ-মুহূর্তে মরে যাব না কি?— এমনটা মনে হচ্ছে কেন?
[Madhyamilk 18]
Ans : শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে।
মনে হওয়ার কারণ : ২০০৩ সালের গুজরাট দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে লিখিত এই কবিতায় ভারতবর্ষের এক অন্ধকার সময়কে কবি ব্যক্ত করেছেন। এইসময় মানুষে মানুষে ধর্মীয় বিভেদ তীব্র আকার ধারণ করে। ফলে মানুষ মানুষকে হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করে না। এমন সংকটের সামনে মানুষ যেন তার পা রাখার জমিটুকুও হারিয়ে ফেলে। যুদ্ধকালীন সন্ত্রাসে সন্ত্রস্ত মানুষের মাথার উপর সারাক্ষণ বোমারু বিমানের পাহারা আর পায়ের তলায় ‘হিমানীর বাঁধ’-এর মতো ভঙ্গুর, অস্থায়ী মাটি। সেই সময় আশ্রয়হারা মানুষদের সামনের চলার পথে ছিল শুধু অন্ধকার ৷ এমন অন্ধকার ভবিষ্যতের সামনে শিশুদের রঙিন জীবনও বিপর্যস্ত হয়ে যায়, সেইসব উজ্জ্বল শৈশবের মৃত্যু হতে থাকে। যে জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অন্ধকারে, সেই জাতির মৃত্যু নিশ্চিত। তাই এক ভয়ংকর অস্থির সময়ে দাঁড়িয়ে, কবি সন্ত্রস্ত ও সংশয়ান্বিত হয়ে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেন।
ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
Q. ‘আমাদের ডান পাশে ধ্বস/আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ’- কবি কোন্ বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন? একথা বলার কারণ কী?
উত্তর : বিপর্যয় : শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে কবি জীবনধারনের প্রতি পদে বিপদের সম্ভাবনাকে ব্যক্ত করেছেন।
কারণ : ২০০৩ সালের গুজরাটের দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে রচিত এই কবিতায় কবি সময়ের গভীর সংকটকে চিহ্নিত করেছেন। একপাশে গিরিখাদ আর অন্যপাশে ধ্বস নামলে যেভাবে পা রাখার জায়গাটুকু পাওয়া যায় না তেমনই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও মানুষে মানুষে বিভেদ নীতি মনুষ্যত্বে ফাটল ধরিয়েছে। এই উক্তির মাধ্যমে কবি মানবতার গভীর সংকটকে ব্যঞ্জিত করেছেন।
Q. ‘আমাদের পথ নেই কোনো’—বলার কারণ কী?
উত্তর :
কারণ : গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে লেখা শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে কবি দাঙ্গাবিধ্বস্ত সময় থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই বলে উল্লেখ করেছেন।
মানুষে মানুষে ধর্মীয় বিভেদ যখন এত প্রবল হয়ে ওঠে যে, মানুষ মানুষকে হত্যা করতেও দ্বিধা বোধ করে না তেমন সংকট – জনক অবস্থায়, মনুষ্যত্বের চরম অপমান হয় বলে কবি মনে করেন। তাই মানবিকতার অবক্ষয়কে উপলব্ধি করে কবি উদ্ধৃত পঙক্তিটি ব্যবহার করেছেন।
Q. ‘আমাদের শিশুদের শব’—‘শিশুদের শব’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ‘শব’ কোথায় ছড়ানো রয়েছে?
উত্তর :
শিশুদের শব : শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে। যে সময় অবক্ষয়িত, দাঙ্গাবিধ্বস্ত সেইসময় মানুষের অস্তিত্ব সংকট দেখা যায়। আশ্রয়হীন,
শিকড়ছেঁড়া মানুষ আত্মপরিচয় ভুলে যায়। তাই যে জাতি নিজেই দিশেহারা সে তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কোনো নতুন পথ দেখাতে পারে না। একারণে অজস্র শৈশবের অন্ধকার ভবিষ্যতের অতলে অপমৃত্যু
ঘটে।
যেখানে ছড়ানো : আমাদের খুব কাছেই কিংবা কোনো দূর প্রান্তে ভবিষ্যৎ হারানো শিশুরা অর্থাৎ ‘শিশুদের শব’ ছড়িয়ে আছে।
Q. ‘এ-মুহূর্তে মরে যাব না কি?’—কে, কেন এ সংশয় প্রকাশ করেছেন?
উত্তর :
যার সংশয় : শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার কথক এই সংশয় প্রকাশ করেছেন।
কারণ : আলোচ্য কবিতায় কবি এক অস্থির সময়ের সমস্যাকে চিহ্নিত করেছেন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মানুষের মধ্যে হিংসার বীজ বুনে মানবতার অপমান করে। সংকট – জনক সময়ে মানুষের অস্তিত্ব প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে। আশ্রয়হীন মানুষ ঐতিহ্যের গৌরবকে ভুলে গিয়েছে। তাই সমগ্র জাতি যেন শিকড় – ছেঁড়া। তার নতুন প্রজন্মের শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই কবিতাকথকের সংশয় জাগে যে অতীত-ভবিষ্যহীন মানুষ হিসেবে তারও মৃত্যু হবে।
Q. ‘আমাদের পথ নেই আর’—আমাদের আর পথ নেই বলে কী করতে হবে?
উত্তর :
যা করতে হবে : শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি সময়ের এক গভীর সমস্যাকে ব্যক্ত করেছেন। সাম্প্রদায়িক ভেদনীতি চরমে পৌঁছে মানুষে মানুষে যে দাঙ্গা বাধায়, তাতে মনুষ্যত্বের অপমান হয়। এমন মানবিকতাহীন সময়ে মানুষ প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কিত। চিরকালীন সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ভুলে গিয়ে মানুষ শিকড়হীন। গাঢ় অন্ধকারে তার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। অর্থাৎ সমগ্র জাতির ভবিষ্যৎ মৃত। এই সংকটকাল কাটিয়ে উঠতে মানুষের সঙ্গে মানুষের সৌহার্দ্য ভীষণ প্রয়োজন। তাই সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সহানুভূতি ও সহযোগিতার মাধ্যমে বাঁচতে হবে।
Q. ‘আমাদের ইতিহাস নেই’—কে, কেন একথা বলেছেন? [Madhyamik 19, Model Activity Task]
উত্তর :
যে বলেছেন : শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবিতা কথক উদ্ধৃত কথাটি বলেছেন।
কারণ : ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি সমগ্র মানবজাতির এক সংকটকে তুলে ধরেছেন। গুজরাটের দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে রচিত এই কবিতায় কবি মানুষের অস্তিত্বহীনতার সমস্যাকে ব্যক্ত করেছেন। ভারতের সংস্কৃতির ঐতিহ্য সর্বধর্ম সম্প্রীতির গৌরবে উজ্জ্বল। অথচ সেই ভারতবাসীই যখন মানবতা ভুলে ধর্মে-ধর্মে যুদ্ধ বাঁধায় তখন সেই ঐতিহ্যের ইতিহাস স্নান হয়ে যায়। তাই কবির মতে ভারতবাসী ইতিহাস-হারানো শিকড়ছেঁড়া জাতি।
Q. ‘আমরা ভিখারি বারোমাস’—এই উপলব্ধির মর্মার্থ লেখো। [Model Activity Tack]
উত্তর :
উৎস : শঙ্খ ঘোষের ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে’ কাব্যগ্রন্থের আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে।
মর্মার্থ : স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের অর্থনীতি বিদেশী ঋণের ভারে নুয়ে পড়েছিল। বিশ্বায়নের ফলে মুক্ত বাজার অর্থনীতি ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করে দিয়েছিল। ভারতবাসী এই সময় ভিখারির মতো বৈদেশিক পণ্য গ্রহণ করায় ভারতের নিজস্ব কুটিরশিল্প বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। একদিকে বিদেশের কাছে ভারতের বিপুল ঋণ ও ঘুন ধরা অর্থনীতি আর অন্যদিকে সস্তায় বিদেশী দ্রব্য ভোগ করার প্রবণতা ভারতবাসীকে বাস্তবিকভাবে ভিখারিতে পরিণত করেছিল।
Q. ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’—কবি কেন একথা বলেছেন?
উত্তর :
কারণ : শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি ‘ কবিতায় কবি এক সংকট কালকে তুলে ধরেছেন। যে সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মানবিকতা হারিয়ে মানুষে মানুষে যুদ্ধ বাঁধে সেই সময় মানুষের অস্তিত্ব প্রশ্নের সামনে এসে যায়। যে সময় মানুষ তার ইতিহাসের গৌরবময় ঐতিহ্য ভুলে গেছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মৃত্যু অনিবার্য, সেই সময় কবি সমস্ত বিপন্নতা দূর করে পারস্পরিক সহযোগিতায় নতুনভাবে বেঁচে ওঠার জন্য উদ্ধৃত আহ্বানটি জানিয়েছেন।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
Q. আমাদের ডান ও বাঁ পাশে কবি কীসের উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: বিপন্ন ভারতবাসীর ডান পাশে রয়েছে ধস, তার বাঁ পাশে আছে ‘গিরিখাদ’ যা অনিবার্য মৃত্যুর প্রতীক।
Q. “আমাদের মাথায় বোমারু”—এ কথা বলার কারণ কী?
উত্তর : বর্তমান পৃথিবীতে দেশে-দেশে, জাতিতে-জাতিতে যুদ্ধের ভয়ংকর অবস্থা, যা মনুষ্যত্বের অপমান করে। এই পরিস্থিতিকে
বোঝাতেই কবি মাথার উপর বোমারু অর্থাৎ যুদ্ধবিমানের কথা বলেছেন।
Q. পায়ে পায়ে ‘হিমানীর বাঁধ’ বলতে কবি কী বলেছেন?
উত্তর : হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবীতে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার পথ ক্রমশ দুর্গম হয়ে উঠছে। ‘হিমানী’ অর্থাৎ তুষারাবৃত পথে চলা যেমন দুষ্কর, তেমনই মানবতাহীন বেঁচে থাকার পথ ধরে এগোনোও কষ্টকর।
Q. “ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে।”—কী ছড়ানো রয়েছে? [Madhyamik 19]
উত্তর : শঙ্খ ঘোষের ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতাটি থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে নিষ্পাপ মানবশিশুর শব বা মৃতদেহ ছড়ানো রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
Q. “আমাদের পথ নেই আর”—তাহলে আমাদের করণীয় কী? [Madhyamilk 17]
উত্তর : মানবতাহীন, হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবীতে বাঁচার পথ যখন ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে আসে, তখন সহমর্মিতার সঙ্গে আরও বেশি
সংঘবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে।
Q. “বেঁধে বেঁধে থাকি”—বেঁধে বেঁধে থাকার অর্থ কী?
উত্তর : বেঁধে বেঁধে থাকার অর্থ মিলেমিশে এক হয়ে থাকা, সংঘবদ্ধ হয়ে সহমর্মিতার সঙ্গে বাঁচা।
Q. “আমাদের চোখমুখ ঢাকা”—’চোখমুখ’ ঢাকার কারণ কী?
উত্তর : ভারতবাসী যখন তার ধর্মীয় মৈত্রীর গৌরবময় ঐতিহ্য ভুলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মেতে ওঠে, তখন তার চেতনা হারিয়ে যায়। এই অন্ধত্বকেই ‘চোখমুখ” ঢাকা বলা হয়েছে।
Q. “তবু তো কজন আছি বাকি”—’তবু তো’ বলার কারণ কী?
উত্তর : সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, যুদ্ধের ভয়াবহতা, আশ্রয়হীনতা, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মৃত্যু সত্ত্বেও এখনও বেঁচে আছে কিছু মানুষ যারা মনুষ্যত্ব ভোলেনি। তাই ‘তবু তো’ কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে।