বিশুদ্ধ কাঁচামালের প্রভাব ও অবিশুদ্ধ কাঁচামালের প্রভাব

বিশুদ্ধ ও অবিশুদ্ধ কাঁচামালের প্রভাব | মাধ্যমিক ভূগোল | ভারতের শিল্প | ক্লাস টেন ভূগোল | দশম শ্রেণির ভূগোল

বস্তুসূচকের (বস্তুসূচক = কাঁচামালের ওজন/উৎপাদিত পণ্যের ওজন) মানের উপর ভিত্তি করে শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালকে দুইভাগে
ভাগ করা হয়, যথা— বিশুদ্ধ কাঁচামাল এবং অবিশুদ্ধ কাঁচামাল |

শিল্পের অবস্থানে এই দুই ধরনের কাঁচামালের প্রভাব খুব বেশি, যেমন—

বিশুদ্ধ কাঁচামালের প্রভাব:

যখন নির্দিষ্ট ওজনের কাঁচামাল থেকে প্রায় একই ওজনের পণ্য উৎপাদিত হয়, অর্থাৎ বস্তুসূচকের মান 1 বা 1-এর কাছাকাছি থাকে, তাকে বিশুদ্ধ কাঁচামাল বলে | যেমন কার্পাস বা তুলো, পাট ইত্যাদি। এইসব বিশুদ্ধ কাঁচামাল নির্ভর শিল্পগুলির উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত কাঁচামালের ওজন ও উৎপাদিত পণ্যের ওজন প্রায় একই হয় বলে শিল্পগুলি কাঁচামালের উৎসের কাছে বা বাজারের কাছে বা অন্য যে-কোনো সুবিধা – জনক স্থানে গড়ে উঠতে পারে। এজন্য এগুলিকে শিকড় আলগা বা অস্থানু শিল্প বলে |

উদাহরণ: মহারাষ্ট্র-গুজরাটে উৎপাদিত কার্পাসের উপর ভিত্তি করে শুধু ওই দুই রাজ্যেই নয়, বহু দূরের হুগলি শিল্পাঞ্চল-সহ পূর্ব ও উত্তর ভারতের বহু স্থানেই কার্পাস বয়ন শিল্প গড়ে উঠেছে |

অবিশুদ্ধ কাঁচামালের প্রভাব:

যে কাঁচামালের ওজন উৎপাদিত পণ্যের ওজনের চেয়ে বেশি হয়, অর্থাৎ বস্তুসূচকের মান 1-এর বেশি হয়, তাকে অবিশুদ্ধ বা ওজন হ্রাসসীল কাঁচামাল বলে | যেমন— আখ, আকরিক লোহা ইত্যাদি। আখ থেকে চিনি উৎপাদন করলে তার ওজন কমে যায়। এজন্য পরিবহণ ব্যয় কমাতে অবিশুদ্ধ কাঁচামাল ব্যবহারকারী শিল্পগুলি কাঁচামালের উৎসের কাছে গড়ে ওঠে |

উদাহরণ: আখ উৎপাদনকারী মহারাষ্ট্র,
উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে ভারতের অধিকাংশ চিনি কল গড়ে উঠেছে |

Rlearn Education