বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা | মাধ্যমিক ভূগোল

★★★ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা আলোচনা করো। [Madhyamik 2019] | পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন |

উত্তর : বর্জ্য পদার্থ পরিবেশ দূষণ তথা অবনমনের অন্যতম কারণ। বিদ্যালয়ের পরিবেশ, বাড়ির পরিবেশ তথা সামগ্রিক পরিবেশ বর্জ্য পদার্থ দ্বারা কীভাবে দূষিত হচ্ছে এবং এই দূষণ কীভাবে রোধ করা যায় সে সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করা শিক্ষার্থীদের অন্যতম কর্তব্য। জ্ঞানলাভের পাশাপাশি বর্জ্য পদার্থের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন।

বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের ভূমিকা
নিম্নলিখিত :
কম বর্জ্য উৎপাদন :

পরিবেশে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ কমানোর জন্য শিক্ষার্থীদের উচিত –

  • (i) পরিবেশের ক্ষতি করে এমন দ্রব্যসামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করা। যেমন— প্লাস্টিক।
  • (ii) Use and Throw দ্রব্যের ব্যবহার কমানো। যেমন- পেন।
  • (iii) জৈব ভঙ্গুর দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি। যেমন— চটের ব্যাগ ব্যবহার করা প্রভৃতি।

বর্জ্য পৃথকীকরণ :

বাড়ির তথা বিদ্যালয়ের জীব বিশ্লেষ্য ও জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য পদার্থগুলিকে চিনে নিয়ে সেগুলিকে আলাদা আলাদা ভাবে সংগ্রহ ও অপসারণ করা শিক্ষার্থীদের অন্যতম কর্তব্য।

উপযুক্ত স্থানে বর্জ্য সংগ্রহ :

বিদ্যালয়ে, বাড়িতে বা আশেপাশের পরিবেশে, যত্রতত্র খাবারের প্যাকেট, কাগজ, পেন প্রভৃতি নানধরনের বর্জ্য পদার্থগুলি না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায়, যেমন— ডাস্টবিনে, ময়লার সংগ্রহের গাড়িতে ফেলা আবশ্যক। এক্ষেত্রে ডাস্টবিনের অভাবে শিক্ষার্থীদের কার্ডবোর্ড দিয়ে Waste Box’ তৈরি করা উচিত।

বর্জ্যের উপযোগিতা বৃদ্ধি :

বিদ্যালয় জীবন থেকেই বর্জ্যের উপযোগিতা বৃদ্ধি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা এবং বাস্তব জীবনে তা প্রয়োগ করা শিক্ষার্থীদের অন্যতম কর্তব্য। যেমন— বিভিন্ন বাতিল দ্রব্য দিয়ে পুতুল, খেলনা তৈরি।

কম্পোস্ট সার তৈরি :

বাড়িতে সবজির খোসা, খাবারের উচ্ছিষ্ট, বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের উচ্ছিষ্ট নির্দিষ্ট স্থানে সংগ্রহ করলে তা কিছুদিন পরে পচে কম্পোস্ট সারে পরিণত হবে। এই সার গাছের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত উপযোগী।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি :

বর্জ্য পদার্থ সঠিক স্থানে ফেলা, বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ হ্রাস, বর্জ্য পদার্থের পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য পদার্থ থেকে সার তৈরি, বায়োগ্যাসের উপযোগিতা প্রভৃতি সম্পর্কে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড তৈরি করে বিদ্যালয়ে, বিদ্যালয়ের আশপাশে, বাড়ির আশপাশে লাগাতে হবে। এছাড়া পথনাটিকা, সেমিনার, আলোচনা সভা প্রভৃতির ব্যবস্থা করতে হবে।

সর্বোপরি, ছাত্রজীবন থেকেই যদি আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন হতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ নাগরিক জীবন বর্জ্য পদার্থের কুপ্রভাব মুক্ত হবে, আশা করা যায়।

Rlearn Education