সূচীপত্র :
- রেলওয়ে কোচ নির্মাণ কেন্দ্র |
- পণ্যসূচক কি ?
- সান-সিনক্রোনাস বা সূর্যসমলয় উপগ্রহ |
- রিমোট সেন্সিং বা দূর সংবেদন |
- বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কি ?
- কম্পোস্টিং কি ?
- সোডা সমভূমি কাকে বলে ?
- ফিয়র্ড কি ?
- গ্রেট গ্রিনওয়াল কি ? এর বৈশিষ্ট্য |
- তাপদ্বীপ কাকে বলে |
ভারতের দুটি রেলওয়ে কোচ নির্মাণ শিল্পকেন্দ্রের নাম :
ভারতের দুটি রেলওয়ে কোচ নির্মাণ শিল্পকেন্দ্রের নাম পেরাম্বুর (ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি) এবং ম্যাঙ্গালুরু (ভারত অর্থ-সুভার্স লিমিটেড)।
পণ্যসূচক :
জার্মান অর্থনীতিবিদ আলফ্রেড ওয়েবারের মতে, কোনো শিল্প কাঁচামালের উৎস স্থানে গড়ে উঠবে না বাজারে স্থাপিত হবে তা নির্ভর করে দ্রব্যসূচক বা পণ্যসূচকের ওপর| পণ্যসূচক হল শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের মোট ওজন এবং উৎপাদিত দ্রব্যের মোট ওজনের অনুপাত | পণ্যসূচক নির্ণয় করার পদ্ধতিটি হল— কাঁচামালের মোট ওজন/উৎপাদিত দ্রব্যের মোট ওজন |
সান-সিনক্রোনাস বা সূর্যসমলয় উপগ্রহ :
যে উপগ্রহগুলি সূর্যরশ্মির পতনকোণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণে মেরু কক্ষপথে পরিক্রমণ করে তাদের সান- সিনক্রোনাস বা সূর্যসমলয় উপগ্রহ বলে|এই উপগ্রহ গুলি পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে 700 900 কিমি উচ্চতায় অবস্থান করে। এই ধরনের উপগ্রহ গুলির মাধ্যমে সাধারণত মৎস্য – সম্পদ, জলসম্পদ- সহ বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক সম্পদের সন্ধান করা হয়। উদাহরণ: IRS, LANDSAT প্রভৃতি।
রিমোট সেন্সিং বা দূর সংবেদন :
রিমোর্ট সেন্সিং বা দূর সংবেদন হল ভূপৃষ্ঠের কোনো বস্তু বা উপাদানকে স্পর্শ না করে দূর থেকে তার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া |
বৈশিষ্ট্য: সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেই বস্তু বা উপাদান সম্পর্কে ধারণা লাভ করার এটি একটি উন্নত প্রযুক্তি |
অক্লুসান :
নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ঘূর্ণবাতের এমন একটি পর্যায় যখন শীতল সীমান্ত, উম্ন সীমান্তের চেয়ে বেশি দ্রুত এগোতে থাকে এবং শীতল সীমান্ত খুব তাড়াতাড়ি উষ্ণ সীমান্তকে ধরে ফেলে। এই সময় মধ্যবর্তী উষ্ণ বায়ু ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরে উঠে যায়। এই অবস্থাকে অক্লুসান বলে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা :
যে কার্যকরী পরিচালন পদ্ধতির মাধ্যমে বর্জ্য বস্তুর সংগ্রহ, অপসারণ, পরিবহণ, শোধন, ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস ও পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করা হয়, সেই পদ্ধতিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলে| প্রকৃতপক্ষে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোনো একক কাজ নয়, অনেকগুলি কাজের সমষ্টি।
এই ব্যবস্থাপনার প্রধান দিকগুলি হল – বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস (Reduce),বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার (Reuse), বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ (Recycle) এবং প্রত্যাখ্যান ((Refuse) এগুলিই 4R নামে পরিচিত।
কম্পোস্টিং :
কম ক্ষতিকারক জৈব বর্জ্য থেকে বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সাহায্যে জৈব সার বা কম্পোস্ট সার উৎপাদনের পদ্ধতিকে কম্পোস্টিং বলে|
পদ্ধতি: দুটি পদ্ধতিতে কম্পোস্টিং হয়-
1. মাটিতে পরিখা বা ট্রেঞ্চের মতো লম্বা গর্ত
করে তার মধ্যে নানা ধরনের জৈব বর্জ্য ফেলে |
2. ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক প্রভৃতি দ্বারা বিয়োজন, এবং যান্ত্রিক পদ্ধতিতে অর্থাৎ একটি যন্ত্রের মধ্যে জৈব বর্জ্যগুলিকে চূর্ণবিচূর্ণ করে তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া মিশিয়ে বিয়োজন।
সোডা সমভূমি :
কাশ্মীর উপত্যকার উত্তর-পূর্ব প্রান্তের নাম ‘সোডা সমভূমি’। অঞ্চলটি আকসাই চিন অঞ্চলের উত্তর ও কারাকোরাম পর্বতশ্রেণির পূর্বে অবস্থিত। এই সোডা সমভূমি আসলে একটি উচ্চভূমি | পর্বতবেষ্টিত এই উচ্চভূমির উপরিভাগ প্রায় সমতল বলে একে সোডা সমভূমি বলে।
ফিয়র্ড :
ফিয়র্ড (fiord) হল সমুদ্রোপকূলসংলগ্ন পার্বত্যভূমিতে হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট হিমবাহ উপত্যকা| সমুদ্রোপকূলে হিমবাহ
তার উপত্যকাকে এমন গভীরভাবে ক্ষয় করে যে সেই উপত্যকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকেও নীচু হয়ে যায়। এরপর হিমবাহ অপসারিত হলে সেই গভীর উপত্যকাগুলি সমুদ্রের জলে ভরে যায়। হিমবাহের ক্ষয়কার্যের দ্বারা সৃষ্ট কিন্তু বর্তমানে সমুদ্রের জলে পূর্ণ এই ধরনের উপত্যকা ফিয়র্ড নামে পরিচিত |
উদাহরণ: নরওয়ে, সুইডেন এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা উপকূলে অনেক ফিয়র্ড দেখা যায়। এর মধ্যে নরওয়ের সোগনে বা সোজনে বা সোভনে পৃথিবীর গভীরতম ফিয়র্ড।
গ্রেট গ্রিন ওয়াল :
আফ্রিকা মহাদেশের সমগ্র উত্তরভাগ জুড়ে থাকা পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণ মরুভূমি সাহারার সম্প্রসারণ প্রতিরোধের জন্য মরুভূমিটির দক্ষিণ সীমা বরাবর যে একটি সবুজ উদ্ভিদের প্রাচীর গড়ে তোলা হয়েছে, তারই নাম গ্রেট গ্রিন ওয়াল |
বৈশিষ্ট্য: এই সবুজ উদ্ভিদ প্রাচীরটি পূর্বে জিবুতি থেকে পশ্চিমে সেনেগাল পর্যন্ত 11 টি দেশের ওপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। পূর্ব-পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য প্রায় 7775 কিমি এবং উত্তর-দক্ষিণে এর বিস্তৃতি প্রায় 15 কিমি৷
তাপদ্বীপ :
যখন কোনো অঞ্চল সাধারণত সেই অঞ্চলের চারপাশের অঞ্চলের থেকে বেশি উষ্ণ হয় সেই সেই অঞ্চলকে তাপদ্বীপ বলে।