ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব|

Madhyamik Model Questions| মাধ্যমিক ইতিহাস মডেল প্রশ্ন

প্রশ্ন : ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথার গুরুত্ব কী ছিল ?

ভূমিকা :- আধুনিক ভারত -এর ইতিহাস রচনার যে সব উপাদান রয়েছে তার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হল বিভিন্ন আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক রচনা।

প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ: বিভিন্ন ব্যক্তি তাঁদের প্রত্যক্ষ করা বিভিন্ন ঘটনাবলি প্রসঙ্গক্রমে তাঁদের লেখা আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক রচনায় উল্লেখ করে থাকেন। সরকারি নথিপত্রে উল্লেখ নেই এমন বহু ঘটনার উল্লেখ এই সব রচনায় পাওয়া যায়। এসব তথ্য আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনা করতে বিশেষ সহায়তা করে।

রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের রচনা : ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতের বিভিন্ন জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের লেখা আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় ব্রিটিশ শাসনকালের নানা ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায়।

উল্লেখযোগ্য আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা: বিপিনচন্দ্র পাল -এর ‘সত্তর বৎসর’, মহাত্মা গান্ধির “দ্য স্টোরি অব মাই এক্সপেরিমেন্ট উইথ ট্রুথ’, সুভাষচন্দ্র বসুর ‘অ্যান ইন্ডিয়ান পিলগ্রিম’ (অসমাপ্ত), জওহরলাল নেহরুর ‘অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ -এর ‘আত্মকথা’, মুজাফ্ফর আহমেদের ‘আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (১৯২০ ২৯ খ্রি.), মণিকুন্তলা সেনের ‘সেদিনের কথা’, জ্যোতি বসুর ‘যতদূর মনে পড়ে’ প্রভৃতি হল স্মৃতিকথা ও আত্মজীবনী।

অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের রচনা : বিভিন্ন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের লেখা আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথাতেও আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন উপাদান পাওয়া যায়। যেমন – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -এর ‘জীবনস্মৃতি’, সরলা দেবী চৌধুরাণীর জীবনের ঝরাপাতা’, নিরোদ সি চৌধুরীর ‘অটোবায়োগ্রাফি অব অ্যান আননোন ইন্ডিয়া’, দক্ষিণারঞ্জন বসুর ‘ছেড়ে আসা গ্রাম’ প্রভৃতি।

উপসংহার:- উত্তম পুরুষে লেখা আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথাগুলি ইতিহাসের বহু ঘটনার সাক্ষী। বিশেষ বিশেষ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ জানার ক্ষেত্রে এই উপাদানগুলি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

Rlearn Education