কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতি | মাধ্যমিক ভূগোল

Different methods of solid waste management

|Madhyamik Geography

কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতি :

যে সমস্ত বর্জ্য পদার্থ প্রকৃতিতে কঠিন বস্তু যা সহজে ভাঙে না এবং যা সহজে মাটির সঙ্গে মিশে যায় না, তাকে কঠিন বর্জ্য বলে |কঠিন বর্জ্য গৃহস্থালির বর্জ্য, নির্মাণ ধ্বংসাবশেষ, ইলেকট্রনিক বর্জ্য এবং বিপজ্জনক বর্জ্য সহ বিভিন্ন আকারে আসতে পারে | বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে কঠিন বর্জ্য পদার্থের অপসারণ
করা হয়, যেমন—

খোলাস্থানে স্তূপীকরণ: শহর, নগরের কঠিন বর্জ্যগুলিকে শহরের বাইরে কোনোস্থানে স্তূপাকারে জমানো হয়। এটি প্রাচীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা | এতে পরিবেশ খুব দূষিত হয়।

স্যানিটারি ল্যান্ডফিল: এই পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট স্থানে মাটির নীচে পর্যায়ক্রমে জৈব বর্জ্য পদার্থ ও মাটির পরপর কয়েকটি স্তরে নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত সজ্জিত করা হয়। মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকা ওই জৈব পদার্থ কালক্রমে বিয়োজিত হয়ে তা থেকে মিথেন, অ্যামোনিয়া প্রভৃতি ল্যান্ডফিল গ্যাস উৎপন্ন হয়।

কম্পোস্টিং: মাটিতে পরিখা বা ট্রেঞ্চের মতো লম্বা গর্ত করে তার মধ্যে নানা ধরনের জৈব বর্জ্য, পয়ঃপ্রণালী ও গবাদিপশুর মলমূত্র প্রভৃতি মিশিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওই বর্জ্য পদার্থ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিয়োজিত হয়ে কম্পোস্ট সারে পরিণত হয়| এ ছাড়া যান্ত্রিক পদ্ধতিতেও জৈব বর্জ্য থেকে কম্পোস্ট
সার তৈরি করা হয়।

পুড়িয়ে ফেলা: কোনো কোনো সময় সংগ্রহ করা বর্জ্যকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তবে যদিও প্লাস্টিক, পলিথিন প্রভৃতি দ্রব্য পোড়ালে ভয়ংকর বায়ুদূষণের সম্ভাবনা থাকে।

ম্যানিওর পিট: বাড়ির আবর্জনা একটি গর্তের মধ্যে জমা করা হয়| গর্তটি আবর্জনাপূর্ণ হলে মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় | পাঁচ-ছয় মাস পরে ওই আবর্জনা জৈব সারে পরিণত হয়।

Rlearn Education