2008 সালের যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের বেশিরভাগ সদস্যই বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছেন

Most of the members of the 2008 Youth World Cup winning team are currently away from international cricket

2008 সালের বিরাট কোহলির নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপ জিতেছিল ভার‍ত। সেই যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের বেশিরভাগ সদস্যই বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছেন, কিন্তু চারজন দুর্দান্ত প্রতিভার আন্তর্জাতিক মঞ্চে উন্মোচন না হওয়ার জন্য আক্ষেপ হয়তো থেকেই যাবে!

☞  তন্ময় শ্রীবাস্তব – 6 ইনিংসে 262 রান, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। একজন দারুণ টপ অর্ডার ব্যাটার হয়ে ওঠার ক্ষমতা ছিল তার মধ্যে। কিন্তু সেই সময় শচীন-সেওয়াগ-গম্ভীর-কার্তিক-উথাপ্পাদের ভীড়ে জাতীয় দলে তার জায়গা হয়ে ওঠেনি! আইপিএলে কয়েকটা ম্যাচে খেললেও ব্যাটিং করার সুযোগ আসেনি সেভাবে। 2020 সালে প্রফেশনাল ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর বর্তমানে আম্পায়ারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তন্ময়।

☞ তরুওয়ার কোহলি – 6 ইনিংসে 218 রান, টানা তিন ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি। বিরাটের পাশাপাশি সেই দলে আরও একজন কোহলি ছিলেন, যিনি জুনিয়র লেভেলে দুর্দান্ত প্রদর্শন করেছিলেন। ফার্স্ট-ক্লাস ক্রিকেটে তার দু’টো ট্রিপল সেঞ্চুরিও রয়েছে! তবে আইপিএলে গুটিকয়েক ম্যাচে সুযোগ পেলেও শেষমেশ ব্যর্থ হয়েছেন। আগের মাসেই প্রফেশনাল ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ‘দ্য আদার কোহলি’।

☞ ইকবাল আবদুল্লা – 6 ম্যাচে 10 উইকেট, টুর্নামেন্টে ভারতের হয়ে সর্বাধিক উইকেট সংগ্রাহক। ইকবাল আবদুল্লার নাম আশা করি অনেকেই শুনেছেন, কারণ একটা সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। 2012 সালে কেকেআরের হয়ে প্রথম আইপিএল ট্রফিও জিতেছিলেন ইকবাল। আইপিএলে ইমার্জিং ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি ‘ইন্ডিয়া এ’ দলের হয়েও খেলেছেন। কিন্তু কোনওদিনও ভারতের সিনিয়র দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি তার! সর্বশেষ লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে খেলেছেন ইকবাল।

☞ অজিতেশ আরগাল – 6 ম্যাচে 8 উইকেট, ফাইনালের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ (5-2-7-2). ফাইনালে একটা ছোট টার্গেট ডিফেন্ড করতে নেমে শুরুতেই পিটার মালান এবং রাইলি রুশোর উইকেট তুলে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন ডান-হাতি পেসার অজিতেশ। আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবে সুযোগ পেলেও একটাও ম্যাচ খেলা হয়নি তার। পরবর্তীকালে স্পোর্টস কোটায় ইনকাম ট্যাক্স অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তন্ময়ের মতো তিনিও আম্পায়ারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন।

2008 সালের সেই অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপজয়ী দল থেকে বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা এবং মনীশ পান্ডেই একটা লম্বা সময় ধরে ভারতের সিনিয়র দলের হয়ে খেলেছেন। কয়েকটা ম্যাচ খেলেই অভিনব মুকুন্দ, সিদ্ধার্থ কল, সৌরভ তিওয়ারির আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের ইতি হয়েছে! প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও সিনিয়র দল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি তন্ময় শ্রীবাস্তব, তরুওয়ার কোহলি, ইকবাল আবদুল্লা, অজিতেশ আরগাল, শ্রীবৎস গোস্বামী, প্রদীপ সঙ্গওয়ানরা! এটাই হয়তো বিধির বিধান! সেবারের অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর কে-ই বা ভেবেছিল যে একজন কোহলি রাজ করবেন গোটা ক্রিকেটবিশ্বে, এবং আর একজন কোহলি থেকে যাবেন যুব ক্রিকেটের অলিখিত নায়ক হয়েই!

Rlearn Education