ন্যাস্টিক চলন | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান

ন্যাস্টিক চলন – rlearn.in

প্রশ্ন : ন্যাস্টিক চলন কাকে বলে? উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার ন্যাস্টিক চলন উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করো। (2 + 3 = 5)

ANS  সংজ্ঞা: উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে না হয়ে উদ্দীপকের তীব্রতা অনুসারে হয়, তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বলে।

• ন্যাস্টিক চলনের প্রকারভেদ: ন্যাস্টিক চলন নিম্নলিখিত প্রকারের হয়; যেমন- ফোটোন্যাস্টি, থার্মোন্যাস্টি, কেমোন্যাস্টি এবং সিসমোন্যাস্টি।

① ফোটোন্যাস্টি: আলোর তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের যে চলন হয়, তাকে ফোটোন্যাস্টিক চলন বলে।

উদাহরণ: পদ্মফুল, সূর্যমুখী ফুল প্রভৃতি তীব্র আলোকে ফোটে, আবার কম আলোকে মুদে যায়।

② থার্মোন্যাস্টি : উষ্ণতার তীব্রতার প্রভাবে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে থার্মোন্যাস্টি চলন বলে।

উদাহরণ: টিউলিপ ফুল বেশি উষ্ণতায় ফোটে এবং কম উষ্ণতায় মুদে যায়।


③ কেমোন্যাস্টি : কোনো রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে সংঘটিত ন্যাস্টিক চলনকে কেমোন্যাস্টি চলন বলে।

• উদাহরণ: সূর্যশিশির উদ্ভিদের পাতার রোম প্রোটিনের (পতঙ্গ) সংস্পর্শে আসা মাত্রা পতঙ্গের দিকে বেঁকে যায় এবং পতঙ্গকে আবদ্ধ করে।

④ সিসমোন্যাস্টি : স্পর্শ, ঘর্ষণ বা আঘাতের ফলে যে ন্যাস্টিক চলন হয়, তাকে সিসমোন্যাস্টি চলন বলে।

উদাহরণ: লজ্জাবতী লতার পাতা স্পর্শ করা মাত্র পাতার পত্রকগুলি মুদে যায় বা নুয়ে পড়ে।

Rlearn Education