নিউরোন : জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় ৷ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান |
প্রশ্ন : স্নায়ুকোশ বা নিউরোন কাকে বলে ? এর কাজ লেখো।
উত্তর : কোশদেহ সহ সমস্ত রকম প্রবর্ধক নিয়ে গঠিত স্নাযুতন্ত্রের গঠনগত ও কার্যগত একককে নিউরোন বা স্নায়ুকোশ বলে ।
নিউরোনের কাজ : প্রধান কাজ উদ্দীপনা বা স্মাযুস্পন্দন বহন করা সংজ্ঞাবহ বা সেনসরি নিউরোন রিসেপটর থেকে কেন্দ্রীয় স্মায়ুতন্ত্রে এবং আজ্ঞাবহ বা মোটর নিউরোন কেন্দ্রীয় স্মায়ুতন্ত্র থেকে ইফেকটরে স্মায়ুস্পন্দন বহন করে ।
প্রশ্ন : একটি আদর্শ নিউরোনের পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করো এবং নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো – (ক) ডেনড্রন (খ) অ্যাক্সন (গ) মায়েলিন সিদ (ঘ) র্যান ভিয়ারের পর্ব (ঙ) সোয়ান কোশ |

নিউরোন : জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়
প্রশ্ন : অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের পার্থক্য লেখো । অথবা, অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের বৈশিষ্ট্য লেখো ।
উত্তর : অ্যাক্সনের বৈশিষ্ট্যঃ ১) আজ্ঞাবহ প্রবর্ধক ২) এটি দীর্ঘ ৩) সোয়ান কোশ থাকে। ৪) নিজল দানা থাকেনা ৷ ৫ ) র্যানভিয়ারের পর্ব থাকে ।
ডেনড্রনের বৈশিষ্ট্যঃ ১) সংজ্ঞাবহ প্রবর্ধক ২) এটি ক্ষুদ্র ৩) সোয়ান কোশ থাকেনা । ৪) র্যানভিয়ারের পর্ব থাকে না।
প্রশ্ন : নিজল দানা কোথায় অবস্থিত এবং এদের কাজ কী ?
উত্তর : নিজলদানা নিউরোনের কোশদেহের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত ।
কাজ : প্রোটিন সংশ্লেষ করা প্রধান কাজ ।
প্রশ্ন : র্যানভিয়ারের পর্ব কাকে বলে ?
উত্তর : অ্যাক্সনের বিচ্ছিন্ন মেডুলারি আবরণের স্থানে নিউরিলেমা সংকুচিত হয়ে যে পর্ব গঠন করে, তাকে র্যানভিয়ারের পর্ব বলে ।
প্রশ্ন : প্রান্তবুরুশ কাকে বলে ?
উত্তর : অ্যাক্সনের শেষপ্রান্ত সূক্ষ্ম শাখান্বিত হয়ে যে বুরুশের আকার গঠন করে, তাকে প্রান্ত বুরুশ বলে।
প্রশ্ন : অ্যাক্সন হিলক কাকে বলে ?
উত্তর : অ্যাক্সনটি কোশদেহের যে অংশে সংযুক্ত থাকে সেই অংশটিকে অ্যাক্সন হিলক বলে।
প্রশ্ন : অ্যাক্সনের ও ডেনড্রনের কাজ লেখো
উত্তর : অ্যাক্সন : অ্যাক্সন কোশদেহ থেকে স্নায়ু-সংবেদন পরবর্তী নিউরোনে বা কারকে বহন করে ।
ডেনড্রন : রিসেপটর থেকে বা পূর্ববর্তী নিউরোন থেকে স্নায়ু-উদ্দীপনা গ্রহণ করে কোশদেহে প্রেরণ করে ৷
নিউরোন : জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়
প্রশ্ন: কার্যানুসারে নিউরােন কতপ্রকারের সংক্ষেপে লেখাে।
উত্তর : নিউরােনের প্রকারভেদ : কাজ অনুসারে নিউরােন তিন প্রকারের, যথা—সংজ্ঞাবহ নিউরােন, আজ্ঞাবহ নিউরােন এবং সহযােগী নিউরােন।
সংজ্ঞাবহ বা সেনসরি নিউরােন: এই প্রকার নিউরােন স্নায়ু স্পন্দনকে (আবেগ) গ্রাহক থেকে স্নায়ুকেন্দ্রে প্রেরণ করে।
আজ্ঞাবহ বা মােটর নিউরােন : এই প্রকার নিউরােন স্নায়ু স্পন্দনকে (সাড়া) কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে ইফেকটরে বা কারকে নিয়ে যায়।
সহযােগী বা অ্যাডজাসটর নিউরােন : এই প্রকার নিউরােন সংজ্ঞাবহ ও আজ্ঞাবহ নিউরােনের মধ্যে সংযোেগ সাধন করে।
প্রশ্ন: একটি নিউরোনের গঠন লেখো
উত্তর : নিউরোনের প্রধান অংশ দুটি – 1. কোশদেহ এবং 2. প্রবর্ধক
কোশদেহ : নিউরোনের কোশ দেহকে নিউরোসাইটন বলে ৷ কোশদেহের অংশগুলি হল –
কোশ ঝিল্লি , সাইটো প্লাজম, নিউক্লিয়াস, নিজলদানা, নিউরোফাইব্রিল , মাইটোকেনড্রিয়া, গলগি বডি, সেন্ট্রোজম ।
প্রবর্ধক : স্নায়ুকোশের কোশদেহ থেকে নির্গত সূক্ষ্ম সূত্রাকার প্রোটোপ্লাজমীয় অংশকে প্রবর্ধক বলে। প্রবর্ধক দুরকমের হয় – অ্যাক্সন ও ডেনড্রন ।
অ্যাক্সন এর বৈশিষ্ট্য : ১) এটি স্নায়ু কোশের আজ্ঞাবহ প্রবর্ধক ২) এটি দীর্ঘ প্রবর্ধক ৩) এতে সোয়ান কোশ থাকে। ৪) নিজল দানা থাকেনা ৷ ৫ ) র্যানভিয়ারের পর্ব থাকে ।
ডেনড্রনের বৈশিষ্ট্যঃ ১) এটি স্নায়ু কোশের সংজ্ঞাবহ প্রবর্ধক ২) এটি ক্ষুদ্র প্রবর্ধক ৩) এখানে সোয়ান কোশ থাকেনা । ৪) র্যানভিয়ারের পর্ব থাকে না।