উপগ্রহ চিত্র | মাধ্যমিক ভূগোল

উপগ্রহ চিত্র ( Satellite Image ) | মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশান

Topic :

  • উপগ্রহ চিত্র কাকে বলে ?
  • উপগ্রহ চিত্রের প্রকারভেদ |
  • উপগ্রহ চিত্রের সুবিধা |
  • উপগ্রহ চিত্রের অসুবিধা |
  • উপগ্রহ চিত্র তোলার বিভিন্ন পর্যায় |
  • উপগ্রহ চিত্রের বৈশিষ্ট্য |
  • উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার |

★★ উপগ্রহ চিত্রের সংজ্ঞা : মাধ্যমিক 2018, 2019

মহাকাশে প্রেরিত কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত পৃথিবীপৃষ্ঠের আলোকচিত্রকে উপগ্রহ চিত্র বলে |

উপগ্রহ চিত্রের শ্রেণিবিভাগ :

তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ওপর ভিত্তি করে উপগ্রহ চিত্রকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :

দৃশ্যমান উপগ্রহ চিত্র (Visible Satellite Imagery) :

তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের যে তরঙ্গদৈর্ঘ্যগুলি দৃশ্যমান (400 – 800 ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্য), সেগুলিকে প্রতিফলিত সূর্যরশ্মি থেকে আহরণ করে দৃশ্যমান উপগ্রহ চিত্র প্রস্তুত করা হয়। এই প্রকার চিত্রে উচ্চ প্রতিফলন ক্ষমতাসম্পন্ন বস্তুসমূহ যেমন— মেঘপুঞ্জ, বরফের আস্তরণ প্রভৃতিকে সাদা বর্ণের দেখায় এবং নিম্ন প্রতিফলন ক্ষমতাসম্পন্ন ভূপৃষ্ঠের বাকি অংশসমূহকে ধূসর বর্ণের বা কালচে দেখায় |

অবলোহিত উপগ্রহ চিত্র (Infrared Satellite Imagery) :

তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গের 10 – 12 মাইক্রোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট অবলোহিত তরঙ্গ দ্বারা ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থান থেকে তাপীয় শক্তির নিঃসরণ সঠিকভাবে বোঝা সম্ভব এক্ষেত্রে উষ্ণতার বৃদ্ধি ঘটলে বা তাপীয় নিঃসরণ অধিক হলে উপগ্রহ চিত্রে সেই স্থানটি ধূসর বা কালচে বর্ণ নির্দেশ করবে | অপেক্ষা – কৃত শীতল স্থান নির্দেশক স্থান হবে সাদা বর্ণের।

মাইক্রোওয়েভ উপগ্রহ চিত্র ( Satellite Microwave Imagery) :

তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের 6.7 মাইক্রোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যটিকে কাজে লাগিয়ে আবহমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের উল্লম্ব বিন্যাস (Vertical distribution) বুঝতে এই প্রকার উপগ্রহ চিত্র ব্যবহৃত হয়।

চ্যানেল-3 উপগ্রহ চিত্র (Channel-3 Satellite Imagery) :

এক্ষেত্রে 3.7 মাইক্রোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্য কাজে লাগিয়ে আবহ- মণ্ডলের একেবারে নিম্ন অংশের, ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী স্থানে কুয়াশা বা জলীয় বাষ্পের বিন্যাস বিশ্লেষণ করা হয়।

★★ উপগ্রহ চিত্রের সুবিধা :

উপগ্রহ চিত্রের বিশেষ কতকগুলি সুবিধা হল –

তথ্যসংগ্রহ : উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে দুর্গম অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ করা যায়, যেখানে উক্ত তথ্যাদি পাওয়া সহজসাধ্য নয়।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস : উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে আবহাওয়া, ঘূর্ণবাত ও ঘূর্ণবাতের গতিপথের পূর্বাভাস পাওয়া যায়।

সাশ্রয়কর : লোক মারফৎ জমি জরিপে বিশাল অর্থ ব্যয় হয় ও সময়ের অপচয় ঘটে এবং তাতেও সবসময় নিখুঁত তথ্য পাওয়া যায় না। কিন্তু উপগ্রহ চিত্রের তথ্য নিখুঁত এবং সাশ্রয়কর।

রিমোট সেন্সিং-এর অসুবিধা দূরীকরণ :
অনেক সময় মেঘে ঢাকা অবস্থায় উপগ্রহ চিত্র পাওয়া যায় না, কিন্তু বর্তমানে মাইক্রোওয়েভ সেন্সরের সাহায্যে চিত্র গ্রহণ করার ফলে রিমোট সেন্সিং-এর এই অসুবিধা দূর হয়েছে। বর্তমানে দিন ও রাত উভয় সময়ই তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

পুনঃদৃশ্যযোগ্যতা : উপগ্রহ চিত্রের অন্যতম সুবিধা হল পুনঃদৃশ্যযোগ্যতা (Repetitivity)
উপগ্রহসমূহ ভূপৃষ্ঠের কোনো অঞ্চলের চিত্র নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে প্রদক্ষিণের সময়ানু – সারে বারবার পাওয়া যায়। ফলে বন্যা, খরা, শস্যে পোকার আক্রমণ প্রভৃতি সম্পর্কে সহজেই তথ্য পাওয়া যায়।

দ্রুত বিশ্লেষণ : উপগ্রহ চিত্রের তথ্যাদি ডিজিটাল ফর্মে পাওয়া যায়। তাই এর দ্বারা কম্পিউটারে বিশ্লেষণ দ্রুত করা সম্ভব।

যোগাযোগ স্থাপন : উপগ্রহ চিত্র দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপন করেছে।

★★ উপগ্রহ চিত্রের অসুবিধা :

বিভিন্ন সুবিধা থাকলেও উপগ্রহ চিত্রের কিছু অসুবিধাও আছে –

উচ্চতা নির্ণয়ে অসুবিধা : এর দ্বারা বস্তুর উচ্চতা নির্ণয় করা যায় না।

সমীক্ষাগত অসুবিধা : ভূমির অংশ বিশেষের অণুপর্যায়ে (Microlevel) সমীক্ষা সম্ভব নয়।
পৃথকীকরণে প্রতিবন্ধকতা : একই ধরনের দুটি বস্তুর পৃথকীকরণ ও ব্যাখ্যা অনেকক্ষেত্রে অসুবিধাজনক।

প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা : মেঘাচ্ছন্নতার কারণে মাইক্রোওয়েভ সেন্সর ছাড়া তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয় না।

ব্যয়বহুল : এর প্রাথমিক ব্যয় বেশি বলে অধিকাংশ দেশ এই ব্যবস্থায় স্বনির্ভর নয়।

ব্যবহারের জটিলতা : উপগ্রহ চিত্র
সংগ্রহ ও উপলব্ধি করতে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হওয়া প্রয়োজন। সঠিক জ্ঞানের অভাবে এই চিত্রের ব্যাখ্যা ভুলও হতে পারে।

উপগ্রহ চিত্র তোলার (Data Acquisition) বিভিন্ন পর্যায় :

উপগ্রহ চিত্র তোলার বিভিন্ন পর্যায় :

কৃত্রিম উপগ্রহ প্রতিস্থাপন : উপগ্রহ চিত্র তোলার প্রাথমিক পর্যায় হল মহাকাশে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে কৃত্রিম উপগ্রহের প্রতিস্থাপন করা। এই উপগ্রহে থাকা ক্যামেরা বা সেন্সর তথ্য সংগ্রহে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যেমন – সম্প্রতি 2015 সালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে PSLV-30 রকেটে করে ‘ASTROSAT’ নামক উপগ্রহ ISRO প্রতিস্থাপন করেছে।

লক্ষ্যবস্তুর চিহ্নিতকরণ : মহাকাশে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহগুলি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হওয়া বিভিন্ন বস্তু থেকে আলোক রশ্মির বিকিরণ গুলিকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন লক্ষ্য বস্তুর বৈশিষ্ট্য সমূহকে  চিহ্নিত করে।

যেমন- ভারতে মৌসুমিবায়ু সংক্রান্ত গবেষণার উদ্দেশ্যে প্রেরিত ‘GEOS INDIAN OCEAN’ উপগগ্রহটি ভারত মহাসাগর সংলগ্ন অঞ্চলগুলি সমীক্ষা করে।

সেন্সরের মাধ্যমে প্রতিচ্ছবি সংগ্রহ : কৃত্রিম উপগ্রহে অবস্থিত সেন্সর বা সংবেদক যন্ত্রটি মহাকাশ থেকে ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত কোনো লক্ষ্য বস্তুকে চিহ্নিত করে তার প্রতিচ্ছবি সংগ্রহ করে থাকে।

তথ্য আহরণ : এই পর্যায়ে সংবেদক বা সেন্সর যন্ত্রটি -এর মাধ্যমে প্রতিচ্ছবি থেকে তথ্য আহরণ করে এবং বিভিন্ন দেশের মহাকাশ দপ্তরে প্রতিচ্ছবি পাঠায়।

সংগৃহীত চিত্রের নথিভুক্তকরণ :

মহাকাশে অবস্থিত বিভিন্ন উপগ্রহগুলি       ভূপৃষ্ঠ বিভিন্ন উপাদানগুলির তথ্যাবলিকে সংখ্যাকারে (Digital) নথিভুক্ত করে |        কিন্তু ডিজিটাল আকারে প্রাপ্ত তথ্যগুলিকে কয়েকটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্র (Image) প্রস্তুতের উপযোগী করে তোলা হয়।

(iv) যাচাই করা তথ্যগুলিকে এই পর্যায়ে Reference Data (ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র,
সেন্সাস ডেটা) গুলির সঙ্গে মেলানো হয়। এইভাবে Digital Image Processing (DIP)-এর মাধ্যমে আদর্শ উপগ্রহ চিত্র প্রস্তুত হয়।

* * উপগ্রহ চিত্রের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য : মাধ্যমিক 2019 ( পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন )

কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পৃথিবীর যে আলোকচিত্র পাওয়া যায়, সেই সংগৃহীত চিত্রাবলিকে উপগ্রহ চিত্র (Satellite Imagery) বলে।

চোখে দেখে উপগ্রহ চিত্রের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য গুলিকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যাকে Visual Interpretation বলে।

বৈশিষ্ট্য :

দূর সংবেদন ব্যবস্থা : উপগ্রহ চিত্র সংগ্রহের
জন্য দূর সংবেদন ব্যবস্থার ব্যবহার করা হয়। এর সাহায্যে কোনো বস্তুর সরাসরি সংস্পর্শে না এসে দূর থেকেই তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

ডিজিটাল তথ্যসংগ্রহ : প্রত্যেক বস্তুই নির্দিষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট শক্তি বিকিরণ করে যা কৃত্রিম উপগ্রহের সেন্সর ডিজিটাল আকারে গ্রহণ করে।

ছদ্মরঙের ব্যবহার : উপগ্রহ চিত্রে ছদ্মরং (FCC) ব্যবহার করা হয়। ফলে, ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন বস্তুকে সহজেই পৃথকভাবে চিহ্নিত
করা যায় এবং চিত্রের গোপনীয়তা বজায় থাকে।

উপগ্রহ চিত্র সংগ্রহের সময় : কৃত্রিম উপগ্রহে সংস্থাপিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সেন্সরের সাহায্যে তড়িৎ চৌম্বকীয় শক্তির বিন্যাসের মাধ্যমে সবসময় দিন ও রাত্রির উপগ্রহ চিত্র তোলা হয়।

উচ্চতা ও স্কেল : উপগ্রহ চিত্র সাধারণত 600 থেকে 36,000 কিমি উচ্চতা থেকে তোলা হয়।
কৃত্রিম উপগ্রহগুলির উচ্চতা সর্বদা সমান থাকে বলে উপগ্রহ চিত্রের স্কেলে ত্রুটি লক্ষ করা যায় না।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস : উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে মেঘের অবস্থান, ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান প্রভৃতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় ফলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া সহজ হয়।

দ্রুত তথ্য সংগ্রহ : দূর সংবেদন ব্যবস্থার সাহায্যে খুব দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা যায়। জমি জরিপ বা ক্ষেত্র সমীক্ষার মতো অনেক লোকের দরকার হয় না তাই এতে অনেক সময় সাশ্রয় ঘটে।

সেন্সরের ব্যবহার : এই চিত্র প্রস্তুতিতে দু-ধরনের সেন্সর ব্যবহার করা হয়।

দুর্গম অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহ : দূর সংবেদন ব্যবস্থার সাহায্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয় বলে দুর্গম অঞ্চলেরও তথ্য সংগ্রহ করা যায়।

তথ্য সংরক্ষণ : ডিজিটাল আকারে তথ্য সংগ্রহ করায় তা কম্পিউটারের সাহায্যে সংরক্ষণ করা হয়।

উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব ★★★ [MP 2017] পর্ষদ নমুনা প্রশ্ন |

অথবা, ভূগোল পাঠে উপগ্রহ চিত্রের প্রয়োজনীয়তা : ★★

উত্তর : উপগ্রহের চিত্রগুলি থেকে প্রাপ্ত ভূপৃষ্ঠের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের তথ্য বিবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হয়। সময় ও স্থানভেদে প্রাপ্ত এই সকল চিত্র থেকে গৃহীত তথ্যসমূহের ব্যবহারিক গুরুত্ব অসীম, যা নিম্নে আলোচনা করা হল –

সম্পদ নিরীক্ষণ : ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক সম্পদ নিরীক্ষণ ও সম্পদের বণ্টনের প্রকৃতি নিরূপণে ভূপৃষ্ঠস্থ তথা ভূগর্ভস্থ জলসম্পদ মূল্যায়নে, জলদূষণ চিহ্নিতকরণে ব্যবহার করা হয়।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস : আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া বা ঝড়ের গতিবিধির ওপর নজর রাখার ক্ষেত্রে, বৃষ্টিপাতের বণ্টন, মৌসুমি বায়ুর গতিবিধি প্রভৃতি সম্পর্কে প্রতি মুহূর্তে তথ্য সংগ্রহ করতে উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার করা হয়। যেমন— Met OP, Meteosat
প্রভৃতি।

কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার : কৃষিজমির বিভিন্ন চরিত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শস্যের চাষ ও ফসলের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে, মৃত্তিকার গুণগত মান, মৃত্তিকার জরিপ মানচিত্র প্রস্তুত করে তার ব্যবহার নির্ধারণে সাহায্য করে। যেমন – LANDSAT

ভূমি ব্যবহার মানচিত্র প্রস্তুত : ভূমির ব্যবহার ও শ্রেণিবিভাগে এবং ভূমির আবরণ মানচিত্র তৈরিতে উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার করা হয়। উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে শিল্পাঞ্চল, জনবসতি প্রভৃতি শনাক্তকরণ করা হয়। যেমন— IRS P5, CARTOSAT প্রভৃতি।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা : উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ব্যাপকতা, চরিত্র, দুর্যোগ কবলিত এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্য : বিভিন্ন সামরিক ক্ষেত্রে ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করা যায়। যেমন – ভারতীয় উপগ্রহ RISAT-2 ভারতীয় সীমানা পর্যবেক্ষণ, বহিরাগত অনুপ্রবেশ প্রভৃতি নিরীক্ষণ করে।

গবেষণা : বিভিন্ন প্রকার গবেষণামূলক কাজ যেমন—মানচিত্র তৈরি, সরকারি তথ্য সংগ্রহ, কোনো স্থানের সময়ের ভিত্তিতে ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন বিশ্লেষণে উপগ্রহ চিত্র বিশেষ সহায়তা করে।

পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা : আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবেই উপগ্রহ নির্ভর। বিশেষ করে টেলিফোন, দূরদর্শন, ইন্টারনেট সহ নানান ক্ষেত্রগুলি সম্প্রসারণের জন্য উপগ্রহ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। তাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থায় যে GPS (Global Positioning System) পরিষেবা প্রদান করা হয় তা সম্পূর্ণ উপগ্রহ ভিত্তিক।

পরিবেশ সংরক্ষণ : পরিবেশ প্রত্যক্ষ করা ও তার পর্যবেক্ষণগত কাজে উপগ্রহ চিত্র ব্যবহার করে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।

Rlearn Education