বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি | Method of waste management

CHECK POINT:
1. বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি

2. বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা

3. বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা

4. E- waste বা ইলেকট্রনিক বর্জ্য

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি : মাধ্যমিক ভূগোল |Method of waste management


বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা:

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। যেমন—
পরিবেশের সূরক্ষা : বর্জ্য পদার্থ প্রতিনিয়ত বায়ু, জল ও মৃত্তিকাকে দূষিত করে পরিবেশকে বিষময় করে তুলেছে। তাই এই সুন্দর পৃথিবীকে আগামী প্রজন্মের কাছে বাসযোগ্য করে তোলার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি।

মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা: বর্জ্য পদার্থ রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু বা প্যাথোজেন সৃষ্টি করে, যার প্রভাবে মানুষ বিভিন্ন মারণব্যাধির শিকার হয়। তাই মানুষের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরি।

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ : স্থলভাগ ও জলভাগের যত্রতত্র স্তূপাকারে বর্জ্য পদার্থ সঞ্চিত হওয়ার কারণে স্থলজ ও জলজ বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে। এগুলি সংরক্ষণের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত প্রয়োজন।

এ ছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা হল—
✧ সম্পদের পুনরুদ্ধার ও পুনর্ব্যবহার,
✧ সম্পদ সংরক্ষণ,
✧ মৃত্তিকার উর্বরতা বৃদ্ধি,
✧পরিবেশের সৌন্দর্যায়ন প্রভৃতি।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা:
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর প্রধান তিনটি ভূমিকা হল—

  • (a) প্লাস্টিক বা পলিথিন জাতীয় ব্যাগের পরিবর্তে কাপড় বা চর্টের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
  • (b) বিদ্যালয়, রাস্তাঘাট বা গৃহের চারপাশে ব্যবহার্য দ্রব্য না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে অর্থাৎ ডাস্টবিনে ফেলতে হবে।
  • (c) একবার মাত্র ব্যবহার্য পেনের পরিবর্তে কালিপেন শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা উচিত। এতে বর্জ্যের পরিমাণও কমে এবং খরচও হ্রাস পায় |


বৈদ্যুতিন বর্জ্য বা ই-বর্জ্য :

সংজ্ঞা : বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সামগ্রী থেকে যেসব বর্জ্য পরিবেশে বাতিল বলে চিহ্নিত হয়, তাকে বৈদ্যুতিন বর্জ্য বা ই-বর্জ্য বলে।

প্রভাব: এই সকল বর্জ্য থেকে উৎপন্ন সিসা, পারদ, নিকেল, আর্সেনিক প্রভৃতি মানব ও জীব শরীরে মিনামাটা, ব্ল্যাকফুট,
ইটাই-ইটাই নানা রোগের সংক্রমন ঘটায়।

উদাহরণ: কম্পিউটার, টিভি, সেলফোন, রেডিয়ো, টেপ রেকর্ডার প্রভৃতি থেকে বৈদ্যুতিন বর্জ্য পরিবেশে নিঃসৃত হয়।

Rlearn Education